রাষ্ট্র বদলে দেওয়ার ৭ ঘোষণা এনসিপির
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতটি বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। সোমবার (১৯ মে) নিজের ফেসবুকে এ দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন তিনি।
‘কয়েকটি বিষয়ে এনসিপির দৃষ্টিভঙ্গি’ শিরোনামে নাহিদ ইসলাম যা লিখেছেন তা নিচে তুলে ধরা হলো:
১. বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি হলো মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের সাম্য, ইনসাফ ও মানবিক মর্যাদার আদর্শ এবং চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের বৈষম্যহীন ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই এনসিপির পথচলা। এছাড়াও আমরা বাংলার হিন্দু-মুসলমান-দলিতের উপনিবেশবিরোধী ও ব্রাহ্মণ্যবাদবিরোধী সংগ্রামের ধারাবাহিকতাকে রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করি।
২. এনসিপি নাগরিকের ধর্মবিশ্বাস ও আত্মিক অনুভবের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ধর্ম ইসলাম—তার নৈতিকতা ও মানবিকতা এবং বাঙালি মুসলমানের ভাষা, সংস্কৃতি ও জীবনচর্চাকে এনসিপি মূল্যায়ন করে। সংখ্যালঘু ধর্মীয় ও নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও নাগরিক অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে এনসিপি। এনসিপি মনে করে রাষ্ট্রের উচিত প্রতিটি জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অখণ্ডতা রক্ষা করা। এনসিপি ইসলামবিদ্বেষ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরোধিতা করে এবং ধর্মীয় উগ্রতা বা চরমপন্থাকে সমর্থন করে না। এনসিপি সেকুলারিস্ট বা ধর্মতান্ত্রিক (Theocratic)—কোনো মতবাদকেই আদর্শ হিসেবে বিবেচনা করে না; বরং ধর্মীয় সহাবস্থান, সম্প্রীতি ও দায়-দরদ অনুশীলনের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়াই এনসিপির লক্ষ্য।
৩. এনসিপি জাতি, ধর্ম বা গোত্রভিত্তিক পরিচয়ের পরিবর্তে সভ্যতাগত জাতীয় পরিচয় ধারণ করে। বহু ভাষা ও সংস্কৃতির মিলনক্ষেত্র বঙ্গীয় বদ্বীপের সভ্যতাগত পরিচয়কে ধারণ করে জাতীয় সংস্কৃতি গড়ে তুলবে এনসিপি।
৪. নারীর মর্যাদা ও ক্ষমতায়ন এনসিপির অন্যতম মূলনীতি। নারীর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, নেতৃত্ব ও কর্মসংস্থান নিশ্চিতে এনসিপি সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। পারিবারিক আইনের আওতায় সম্পত্তিতে নারীর ন্যায্য অধিকার আদায়ে এনসিপি কাজ করবে।
৫. দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও হিন্দুত্ববাদ বাংলাদেশের জন্য একটি সাংস্কৃতিক ও ভূরাজনৈতিক হুমকি। এনসিপি এই আধিপত্যবাদী প্রবণতার বিরুদ্ধে কঠোর রাজনৈতিক অবস্থান গ্রহণ করবে। এনসিপি মনে করে বাংলাদেশের উচিত ন্যায্যতা, মর্যাদা, সভ্যতা ও জাতীয় স্বার্থের ভিত্তিতে অন্য রাষ্ট্রের সাথে কৌশলগত সম্পর্ক বৃদ্ধি করা।
৬. এনসিপি বৈষম্যহীন ইনসাফভিত্তিক দুর্নীতিমুক্ত একটি আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে যা একটি কল্যাণ রাষ্ট্রের অনুরুপ হবে। শিক্ষা, জনস্বাস্থ্য, কৃষি, জলবায়ু, নগর ব্যবস্থাপনা, শ্রম অধিকার ও কর্মসংস্থান হবে এনসিপির প্রধান নীতিনির্ধারণী ক্ষেত্র। বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে একটি নতুন অর্থনৈতিক জোন তৈরির ভিশন আছে এনসিপির।
৭. এনসিপি বিশ্বাস করে, একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়তে হলে রাষ্ট্রীয় কাঠামো পুনর্গঠন, প্রতিষ্ঠান সংস্কার এবং নতুন সংবিধান প্রণয়ন জরুরি। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ঘটিয়ে একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করা এনসিপির প্রধানতম রাজনৈতিক কর্তব্য। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপের জন্য প্রথম ধাপটি হচ্ছে রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার ও নতুন সংবিধান প্রনয়ণ।
মুসআব/
পাঠকের মতামত:
- ওসমান হাদিকে বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতি
- দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি
- ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব, যা বলল দিল্লি
- ইসির নির্দেশ, ছোট-খাট ভুলে বাতিল হবে না মনোনয়ন
- ই-হু-দিদের উৎসবে হা-মলা, নি-হ-ত ১০
- হাদির ওপর হা-মলার ঘটনায় আরও দুইজন গ্রেফতার
- মির্জা আব্বাসকে নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচারের অভিযোগে মামলা
- স্বাধীনতা বিরোধীদের পুনরায় বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই: মির্জা ফখরুল
- আইপিএল মক নিলাম: মুস্তাফিজ, তানজিম সাকিবের ভিত্তিমূল্য কত-কোন দলে?
- ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব, প্রত্যর্পণ ইস্যুতে কড়া বার্তা ঢাকার
- প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সংকটের চূড়ান্ত সমাধান: চীনা রাষ্ট্রদূত
- মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, দেখবেন যেভাবে
- নির্বাচন সামনে রেখে সব দলের জন্য পুলিশের নিরাপত্তা প্রটোকল
- ১৪ ডিসেম্বর ব্লকে ৭ কোম্পানির বড় লেনদেন
- রেকর্ড লোকসানে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক
- ভারত বনাম পাকিস্তান: বোলিংয়ে ভারত-খেলাটি সরাসরি দেখুন
- ১৪ ডিসেম্বর লেনদেনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ১৪ ডিসেম্বর দর পতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ১৪ ডিসেম্বর দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার
- সূচক কমলেও ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় বিনিয়োগকারীরা
- নি-হ-ত ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর পরিচয় মিলেছে
- হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক
- মার্কিন সেনা হ-ত্যার ঘটনায় প্রতিশোধের ঘোষণা ট্রাম্পের
- এজিএম এর নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে দুলামিয়া কটন
- ‘এ’ থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে নামল তালিকাভুক্ত কোম্পানি
- ব্যবহারকারীদের জন্য বড় আপডেট চালু করেছে গুগল
- আইপিএল নিলামে ফিজের সম্ভাব্য ঠিকানা কোথায়?
- কারখানা বন্ধ, প্রতিবেদন নেই ৪ বছর; তবু শেয়ারদর দ্বিগুণ
- ১৪ বছর পর আরপিও তহবিল ব্যয় করল বিএসসি
- দেশবিরোধী শক্তি আবারও সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ছে: মির্জা ফখরুল
- কম্বোডিয়া সীমান্তে থাইল্যান্ডের নতুন অভিযান
- কার্যক্রম স্থগিত করল হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার
- জাতিসংঘ ঘাঁটিতে হা-মলা, ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নি-হ-ত
- হাদির ওপর হা-মলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল শনাক্ত, গ্রেফতার ১
- সেন্ট্রাল ফার্মা নিয়ে নিরীক্ষকের ‘গোয়িং কনসার্ন’ শঙ্কা
- দুই বছরের মধ্যেই কেনিয়ায় মুনাফার মুখ দেখল স্কয়ার ফার্মা
- ফেসবুকে ছড়াল হাদির ওপর গুলিবর্ষণকারীর পরিচয়
- সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাজুস
- চড়া সুদে আমানত টানবে সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক
- জীবন বীমার বাজিমাত, টেলিকম খাতে বড় ধস
- চলতি সপ্তাহে ৪ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস ঘোষণা
- চলতি সপ্তাহে ৩০ কোম্পানির ডিভিডেন্ড অনুমোদন
- আমি যা বলছিলাম তা ধীরে ধীরে সত্য হচ্ছে: তারেক রহমান
- প্রার্থীরা আবেদন করলে অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- মনোনয়নপত্র জমা ও জামানত সংক্রান্ত নতুন নির্দেশনা প্রকাশ
- ইউক্রেন-রাশিয়া শান্তি খুব বেশি দূরে নয়: এরদোয়ান
- নবজাতকের সংক্রমণের প্রথম লক্ষণ বুঝবেন যেভাবে
- ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত ক্রিটিক্যাল
- চিকিৎসা খাতে প্রতিবছর ৫ বিলিয়ন ডলার বিদেশে যাচ্ছে
- অবশেষে নিয়ন্ত্রণে এসেছে কেরানীগঞ্জের আ-গু-ন
- বাংলাদেশ বনাম আর্জেন্টিনা : ম্যাচটি সরাসরি দেখুন
- চড়া সুদে আমানত টানবে সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক
- সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক: দুই লাখ করেও টাকা ফেরত পাচ্ছেন না গ্রাহকরা
- টেক্সটাইল শিল্পের কফিনে শেষ পেরেক মারে আ.লীগ
- আর্থিক ঝুঁকিতে শেয়ারবাজারের তিন তেল বিপনন কোম্পানি
- ডিএসই’র এক ব্রোকারেজ হাউজের লাইসেন্স বাতিল
- ব্যাংকের শেয়ার কারসাজিতে তিন বিনিয়োগকারীর বিশাল জরিমানা
- দুই বছরের মধ্যেই কেনিয়ায় মুনাফার মুখ দেখল স্কয়ার ফার্মা
- দুই কোম্পানির বোনাসে শেয়ারে সম্মতি দিল বিএসইসি
- ১০০ কোটি টাকা লাভের কোম্পানির ৮৬ কোটি টাকা লোকসান
- তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানির অস্তিত্ব নিয়ে শঙ্কায় নিরীক্ষক
- আবারও ৪.৫০ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা দিলেন কোম্পানির এমডি
- আর্জেন্টিনা বনাম বাংলাদেশ: জমজমাট খেলাটি শেষ, জেনে নিন ফলাফল
- চাকরিজীবীদের পে–স্কেল নিয়ে বড় আপডেট
- ডিএসইর কাছে ৭ হাজার বিনিয়োগকারীর ৬৮ কোটি টাকা দাবি






.jpg&w=50&h=35)



.jpg&w=50&h=35)



