ঢাকা, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
Sharenews24

হাসিনা নন, মোদির ‘গুরু’ এখন ড. ইউনূস

২০২৫ এপ্রিল ১২ ১০:১২:২০
হাসিনা নন, মোদির ‘গুরু’ এখন ড. ইউনূস

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্ব অর্থনীতি যখন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসনের বাড়তি শুল্ক আরোপের কারণে টালমাটাল, তখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন বাংলাদেশের নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

তাঁর লেখা একটি চিঠিই আমূল বদলে দিয়েছে মার্কিন নীতির দিকনির্দেশনা—যা এখন আন্তর্জাতিক পরিসরে ব্যাপক আলোচিত বিষয়।

ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি ঘোষণা দেয়, বাংলাদেশসহ একাধিক দেশের ওপর ৩৭ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক আরোপ করা হবে। ভারতের ওপরেও এই শুল্ক ছিল ২৭ শতাংশ পর্যন্ত। বিশ্ববাজারে এর প্রভাব ছিল তাৎক্ষণিক; অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা হুঁশিয়ারি দেন, এই পাল্টাপাল্টি শুল্ক যুদ্ধ বন্ধ না হলে বিশ্বজুড়ে মন্দা ও দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা বাড়বে।

এই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে ড. ইউনূস ব্যক্তিগতভাবে একটি চিঠি লেখেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। চিঠিতে তিনি অনুরোধ করেন, অন্তত ৯০ দিনের জন্য শুল্ক স্থগিত রেখে আলোচনার সুযোগ তৈরি করা হোক।

চিঠি পাঠানোর মাত্র দুই দিনের মধ্যেই ট্রাম্প হঠাৎ এক ঘোষণায় জানিয়ে দেন—চীন বাদে অন্যান্য দেশের ওপর আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। ভারতের ওপরও শুল্ক হার কমিয়ে আনা হয়।

বিশ্লেষকদের মতে, এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের পেছনে ড. ইউনূসের ভূমিকা ছিল প্রত্যক্ষ ও গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো তাঁকে আখ্যা দিচ্ছে—“দ্য ম্যাজিক ম্যান”।

ড. ইউনূসের হস্তক্ষেপে শুধু বাংলাদেশের নয়, ভারতেরও উপকার হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই পরিস্থিতিতে স্পষ্ট বুঝতে পারেন ড. ইউনূসের প্রভাব ও কূটনৈতিক প্রজ্ঞার গুরুত্ব।

ট্রাম্পের ঘোষণার পরই বিশ্ববাজারে ইতিবাচক সাড়া পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সাত প্রযুক্তি কোম্পানির সম্মিলিত বাজারমূল্য একদিনেই বেড়ে যায় প্রায় এক ট্রিলিয়ন ডলার। ইউরোপীয় ইউনিয়নও পাল্টা শুল্ক ২৫ শতাংশ পর্যন্ত আরোপের সিদ্ধান্ত ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখে এবং আলোচনার দরজা খোলা রাখে।

পরে ট্রাম্প তাঁর নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম Truth Social-এ লেখেন “আমি গত ক’দিন ধরে শুল্ক নিয়ে ভাবছিলাম। আজ সকালে হঠাৎ করে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যায়। কোনো আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করিনি—শুধু অন্তরের কথা শুনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

এই সিদ্ধান্তে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে বৈশ্বিক বাজার। বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হয়েছে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। আর ড. ইউনূস যে এই কূটনৈতিক সাফল্যে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন—তা এখন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে একপ্রকার স্বীকৃত সত্যে পরিণত হয়েছে।

কেএইচ/

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে