ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
Sharenews24

আওয়ামী লীগের দুর্নীতির কারণে বিনিয়োগকারীরা আস্থা হারিয়েছে

২০২৫ এপ্রিল ০৯ ১০:৪৮:০২
আওয়ামী লীগের দুর্নীতির কারণে বিনিয়োগকারীরা আস্থা হারিয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি এবং অন্যান্য সমস্যার কারণে বিনিয়োগকারীরা আস্থা হারিয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে ধরে বিশ্বব্যাংকের প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) তাদের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।

বিডার বিনিয়োগ সামিটের দ্বিতীয় দিনে সংস্থাটির কান্ট্রি ম্যানেজার মার্টিন হল্টম্যান এই তথ্য উপস্থাপন করেন। বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভূটানের অন্তর্বর্তীকালীন কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্টিন গেইল, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লুৎফে সিদ্দিকী এবং বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আইএফসির রিপোর্টে 'বাংলাদেশ কান্ট্রি প্রাইভেট সেক্টর ডায়গনস্টিক' শীর্ষক প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, সরকারের দুর্বল করপোরেট শাসন, সুরক্ষাবাদী নীতি, জ্বালানি ঘাটতি এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দুর্বলতার কারণে বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা মুখোমুখি হচ্ছে একাধিক চ্যালেঞ্জের। এর ফলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে 'অপেক্ষা ও দেখার' মনোভাব তৈরি হয়।

আইএফসি বলেছে, সাম্প্রতিক সমস্যাগুলো সত্ত্বেও বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) মর্যাদায় উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ২০২৬ সালে যদি বাংলাদেশ এলডিসি মর্যাদা থেকে বেরিয়ে আসে, তাহলে ২০২৯ সালে এটি বাণিজ্য সুবিধা হারাবে। তাদের মতে, প্রতিযোগিতামূলক থাকতে হলে দেশের বেসরকারি খাতকে আরও উৎপাদনশীল হতে হবে এবং নতুন বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে হবে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে আইএফসি বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকার সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার এবং কর্মসংস্থান বজায় রাখার ক্ষেত্রে কাজ করছে। তবে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, অর্থ প্রদানের ভারসাম্য ঘাটতি এবং সীমিত কর্মসংস্থানের সুযোগের কারণে দেশের পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে, বিশেষভাবে নারী ও শিক্ষিত তরুণদের জন্য।

প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্বলতার বিষয়ে কিছু তথ্য উল্লেখ করে বলেছে, ব্যাংক খাত এখনও ঝুঁকিপূর্ণ রয়ে গেছে। যদিও নিয়ন্ত্রক কাঠামো শক্তিশালী করার চেষ্টা করা হচ্ছে। অকার্যকর ঋণের অনুপাত ২০২৩ সালের শেষে ১০ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৫ সালের মধ্য দিকে ২০ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।

বর্তমান অস্থিরতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের মূলনীতি শক্তিশালী বলে আইএফসি উল্লেখ করেছে। আগামী দুই দশকে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা অন্যান্য মধ্যম আয়ের দেশগুলোকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। অভ্যন্তরীণ চাহিদার কারণে বেসরকারি বিনিয়োগের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে এবং বাংলাদেশ তৈরী পোশাক খাতে সঠিক নীতিমালার মাধ্যমে বিদেশি সরাসরি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হতে পারে।

মারুফ/

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে