ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
Sharenews24

মডেল মেঘনা আলমের চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস

২০২৫ এপ্রিল ১৪ ০৯:৩৯:৪২
মডেল মেঘনা আলমের চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস

নিজস্ব প্রতিবেদক: মডেল ও ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ ২০২০’ বিজয়ী মেঘনা আলমকে ঘিরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে দেশজুড়ে। সৌদি আরবের সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের কাছে ৫ মিলিয়ন ডলার দাবি এবং ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেফতারের পর তাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানায় মেঘনা আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য যারা হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে অর্থ আদায় করত। এই চক্রের মূল হোতা মো. দেওয়ান সমীর বর্তমানে ভাটারা থানার একটি মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে আছেন।

তদন্ত সূত্র জানায় সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলানের সঙ্গে আট মাস আগে মেঘনার পরিচয় হয়। পরবর্তীতে কৌশলে সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি। এরপর রাষ্ট্রদূতের কাছ থেকে ৫০ লাখ ডলার দাবি করা হয় যার মূল পরিকল্পনায় ছিলেন দেওয়ান সমীর। চাপে পড়ে রাষ্ট্রদূত বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ডিবি পুলিশকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়।

গত ৯ এপ্রিল রাতে বসুন্ধরার একটি বাসা থেকে মেঘনাকে আটক করা হয়। আটকের কিছুক্ষণ আগে তিনি ফেসবুক লাইভে এসে জানান পুলিশ পরিচয়ে কিছু লোক তার দরজা ভাঙার চেষ্টা করছে। পরদিন আদালত তাকে ৩০ দিনের আটকাদেশ দেয়। পরবর্তীতে গ্রেফতার করা হয় দেওয়ান সমীরকেও।

পুলিশ বলছে দেওয়ান সমীর একজন মানব পাচারকারী এবং কাওয়ালী ও সানজানা নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে এ কাজ চালিয়ে আসছিলেন। তার নেতৃত্বে সুন্দরী মেয়েদের ব্যবহার করে হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিদের ফাঁদে ফেলা হতো। পরে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল করে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করত তারা।

মেঘনার পরিবার দাবি করেছে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গত বছরের ৪ ডিসেম্বর গোপনে তাদের বাগদান সম্পন্ন হয়। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলা হয় এটি একটি সুপরিকল্পিত ব্ল্যাকমেইল চক্রান্ত।

এদিকে মেঘনার গ্রেফতার ও ডিবি হেফাজতে রাখার প্রক্রিয়া নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন তার বাবা। রোববার বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদির হাইকোর্ট বেঞ্চ গ্রেফতারের বৈধতা নিয়ে রুল জারি করেছেন।

পুলিশের দাবি মেঘনা আলমের মাধ্যমে বিদেশি কূটনীতিকদের টার্গেট করে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। এই ঘটনার জেরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের প্রধান রেজাউল করিম মল্লিককেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মেঘনা আলম ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ সম্পন্ন করেন। তিনি বসুন্ধরা আবাসিকে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং একজন উদ্যোক্তা হিসেবেও কাজ করতেন।

তদন্ত এখনও চলমান। পুলিশ বলছে এই চক্রে আরও ব্যক্তির জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

মুসআব/

পাঠকের মতামত:

বিনোদন এর সর্বশেষ খবর

বিনোদন - এর সব খবর



রে