ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
Sharenews24

অভাবের তাড়নায় ইউক্রেন যুদ্ধে বাংলাদেশিরা

২০২৫ এপ্রিল ১৪ ২২:০৫:৪৬
অভাবের তাড়নায় ইউক্রেন যুদ্ধে বাংলাদেশিরা

ডেস্ক রিপোর্ট: জীবনে সুখের প্রত্যাশায় অনেকে বিদেশে কাজের সন্ধানে বের হন। তাদের মধ্যে কিছু ব্যক্তি বাড়তি আয়ের আশায় দেশ ছাড়েন। তবে সম্প্রতিকালে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া কিছু শ্রমিকের জীবন যেন এক বিভীষিকায় পরিণত হয়েছে।

চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশিকে রাশিয়ায় পাঠানো হয়েছিল। এরপর তাদেরকে যুদ্ধক্ষেত্র ইউক্রেনে দেয়া হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে দেশে ফিরে আসার জন্য মস্কোর বাংলাদেশি দূতাবাসে যোগাযোগ করেছেন অনেক পরিবার।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশি দূতাবাস জানিয়েছে, প্রায় এক ডজন পরিবারের সদস্য দেশে ফিরিয়ে আনার অনুরোধ করেছেন। পরিবারগুলো অভিযোগ করেছে, তাদের সন্তানদের ভুল বুঝিয়ে রুশ সামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়া হয়েছে।

মোহাম্মদ ইয়াসিন শেখ। ২২ বছর বয়সী এক যুবক। সর্বশেষ ২৭ মার্চ রুশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় নিহত হন বলে খবর পাওয়া যায়। ইয়াসিনের উদ্বিগ্ন পরিবার মস্কোর বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের কাছে যোগাযোগ করছে তাদের সন্তানকে ফিরিয়ে আনার জন্য।

ইয়াসিনের চাচা আবুল হাশেম জানান, ঈদের সময় একটি ফোন কলের মাধ্যমে তারা ইয়াসিনের মৃত্যুসংবাদ পান। তার বন্ধু, যিনি নিজেও রুশ বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করছে, এই দুঃসংবাদ জানায়।

রাশিয়া থেকে ফিরে আসা আকরাম নামে এক ভুক্তভোগী বলেন, তারা কখনো ভাবেনি যে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। তাদের বলা হয়েছিল, রাশিয়ার ভিসা পাওয়া যাচ্ছে, তাই তারা সেখানে গিয়েছিলেন। কিন্তু পরে সেখানে গিয়ে তারা যুদ্ধক্ষেত্রে জড়িয়ে পড়েন।

আকরাম জানান, তিনি সেনেগালের কিছু লোকের সঙ্গে পালিয়ে দেশে ফিরতে সক্ষম হন। তবে তার ভগ্নিপতি এখনও রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে রয়েছেন এবং নিয়মিত বাড়িতে ফোন করছেন।

এমন ঘটনার শিকার কেবল বাংলাদেশিরা নয়, এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার নাগরিকরাও। যুদ্ধের কারণে তাদের কাজের পরিবেশ বিপর্যস্ত হয়েছে। জীবন-মৃত্যুর মুখে এখন তারা।

ফরহাদ হোসেন নামের অন্য একজন ভুক্তভোগীর মতে, রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে যারা মস্কোর পক্ষে যুদ্ধ করছেন, তারা চুক্তিবদ্ধ এবং বেতন পাচ্ছেন।

তবে কতজন বাংলাদেশি রুশ সেনাবাহিনীতে রয়েছেন এবং যুদ্ধ করছেন, সে বিষয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বাংলাদেশের একটি সংবাদপত্র জানিয়েছে, এই সংখ্যা ১০০ জনেরও বেশি হতে পারে।

মারুফ/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে