ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫
Sharenews24

এমপিরা না থাকলেও ‘ন্যাম ভবনে’ থাকছেন যারা

২০২৫ মার্চ ০৭ ১৫:১৮:৩১
এমপিরা না থাকলেও ‘ন্যাম ভবনে’ থাকছেন যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক : সম্প্রতি ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের সংসদ সদস্য ভবনগুলোতে সুনসান পরিবেশ বিরাজ করছে। এই ভবনগুলো একসময় সংসদ সদস্যদের জন্য ছিলো, যেখানে এমপি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা থাকতেন। তবে গত ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে পরিস্থিতি বদলে যায় এবং এখানে কার্যত কোনো মানুষের আনাগোনা ছিল না। কিন্তু সম্প্রতি কয়েকটি ফ্ল্যাটে নিয়মিত আলো দেখা যাচ্ছে, যা কৌতুহল সৃষ্টি করেছে— এমপিরা না থাকলে, তাহলে এই ভবনগুলোতে কারা বসবাস করছেন?

১৯৯০-এর দশকের শেষের দিকে আন্তর্জাতিক সংগঠন নন অ্যালায়েন্ড মুভমেন্টের সম্মেলনের জন্য ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ভবন তৈরি করা হয়, যার মধ্যে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, নাখালপাড়া ও মিরপুরে কিছু ভবন তৈরি হয়েছিল। পরবর্তীতে অষ্টম জাতীয় সংসদে এই ভবনগুলো সংসদ সদস্যদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়।

মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে ছয়টি ভবন রয়েছে, যার মধ্যে ২৪০টি ফ্ল্যাট রয়েছে। এসব ফ্ল্যাটে সংসদ সদস্যরা তাদের পরিবার নিয়ে থাকতেন। তবে ৫ আগস্টের পর মন্ত্রী-এমপিদের পরিবারের সদস্যরা নিরাপদ স্থানে চলে যান এবং সংসদ অধিবেশন না থাকায় অধিকাংশ এমপি নিজেদের এলাকায় অবস্থান করেছিলেন। এরপর ছাত্র-জনতা সরকার পতনের পর এসব ভবনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।

এখন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের এসব ভবনে অধিকাংশ ফ্ল্যাট অন্ধকার হয়ে আছে, কিন্তু কিছু ফ্ল্যাটে আলো দেখা যাচ্ছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মচারীরা জানান, সেখানে সেনাবাহিনী ও পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প রয়েছে। কিছু ফ্ল্যাটে এমপিদের পরিবারের কিছু আসবাবপত্রও রয়েছে, তবে অনেকের পরিবারই এসব জিনিসপত্র নিতে আসেনি।

এছাড়া, কিছু ফ্ল্যাটে বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটররা বসবাস করছেন। প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে থাকায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে এসব ফ্ল্যাটে থাকার অনুমতি পেয়েছেন। তাদের বেতন থেকে ভাড়া কেটে নেওয়া হয়।

এছাড়া, প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ জানিয়েছেন, তিনি নিজে একটি ফ্ল্যাট বরাদ্দ পেয়েছিলেন, তবে যাতায়াত দূরত্বের কারণে সেখানে ওঠেননি।

এই ভবনগুলোর দেখভালের দায়িত্ব সংসদ সচিবালয়ের ছিল, তবে সংসদ সদস্যরা চলে যাওয়ার পর গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কাছে এই দায়িত্ব চলে গেছে। তাই ভবনগুলোর ব্যবস্থাপনায় এখন মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি নিয়ে কিছু সরকারি কর্মকর্তা এখানে বসবাস করছেন।

এখন, যখন সংসদ ভবন কার্যক্রম বন্ধ, সেই সময়ে এসব ভবনে কারা বসবাস করছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

কেএইচ/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে