ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

সারজিস আলম- আবু জাহেলের বাড়ি এখন পাবলিক টয়লেট!

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ০৬ ০০:১০:০৩
সারজিস আলম- আবু জাহেলের বাড়ি এখন পাবলিক টয়লেট!

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত আটটার দিকে শুরু হয় ব্যাপক বিক্ষোভ ও ভাঙচুর। বিক্ষুব্ধ ছাত্র–জনতা এবং জনগণের একাংশ শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বাসভবনে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালায় এবং এলাকাজুড়ে স্লোগান দেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বিক্ষোভকারীরা প্রথমে বাড়ির ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে বিভিন্ন অংশে ভাঙচুর করতে থাকে। তাদের মধ্যে কিছু লোক বুলডোজার দিয়ে বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার দাবি জানায়। বিক্ষোভকারীরা 'স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদ ও আওয়ামী লীগবিরোধী' স্লোগান দিতে থাকে।

এ সময় ৩২ নম্বর এলাকায় বিপুল সংখ্যক বিক্ষোভকারী মিছিল করতে থাকে এবং বেশ কিছু স্থানে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। রাত ৮:৪০ নাগাদ বাড়ির তৃতীয় তলায় আগুনের শিখা দেখা যায় এবং রাত সোয়া ৯টার দিকে লাঠিসোঁটা দিয়ে বাড়ির দেয়াল ভাঙতে শুরু হয়।

সারজিস আলমের এমন মন্তব্যের পিছনের যুক্তি টা হতে পারে যে, বিক্ষোভকারীরা যখন অনুভব করেন যে তাদের ন্যায়-সঙ্গত দাবিগুলো উপেক্ষিত হচ্ছে, তখন তারা কিছুটা কঠোর ভাষা বা আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিতে পারেন। এমন মন্তব্য গুলো তাঁদের ক্ষোভের তীব্রতা ও প্রতিবাদের অঙ্গ হিসেবে দেখা যেতে পারে।

এই বিক্ষোভের পেছনে অন্যতম কারণ ছিল ফেসবুকে প্রকাশিত একটি পোস্ট, যেখানে শেখ হাসিনার ভাষণ প্রচারের আগে এই বাড়িতে আক্রমণ চালানোর হুমকি দেওয়া হয়েছিল। ‘২৪-এর বিপ্লবী ছাত্র–জনতা’ এর আগেই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল, যা আজ রাতে বাস্তবায়িত হয়।

এর আগে, জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থান এবং এর পরবর্তী সময়ে শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংগঠন ও আন্দোলন সংগঠিত হয়। বিশেষ করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি এই বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে একাধিক পোস্ট করেছিলেন। তার আহ্বানে আজ রাতে বিক্ষোভকারীরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে এসে ভাঙচুর চালায়।

শেখ মুজিবুর রহমানের এই বাসভবনটি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করার পর স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়। এখানে মুক্তিযুদ্ধের পূর্ববর্তী সময়ের নানা গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা দেওয়া হত। তবে, গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর বিক্ষুব্ধ জনতা এই স্মৃতিসৌধে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে, যার পর থেকে বাড়িটি অনেকটা পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল।

সোহেল/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে