ঢাকা, রবিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

এ বছর শীত কম হওয়ার কারণ জানাল আবহাওয়া দপ্তর

২০২৫ জানুয়ারি ২৫ ১৪:০১:২৩
এ বছর শীত কম হওয়ার কারণ জানাল আবহাওয়া দপ্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক: এই বছর বাংলাদেশে শীতের প্রকোপ কম হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ চিহ্নিত করেছে আবহাওয়া দপ্তর। গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে দেশের তিনটি শৈত্যপ্রবাহ দেখা গেছে, তবে সেগুলি ছিল মৃদু ও মাঝারি মাত্রার এবং এর প্রভাব মূলত উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সীমাবদ্ধ ছিল।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেছেন, গত কয়েক বছর ধরে রাতের তাপমাত্রা কমছে না এবং শৈত্যপ্রবাহের তীব্রতা একেবারেই কমে গেছে। তিনি জানান, সাধারণত শীতের মৌসুমে তাপমাত্রা কমানোর জন্য পশ্চিমা লঘুচাপের উপস্থিতি প্রয়োজন, যা সাধারণত ভূমধ্যসাগর থেকে কাশ্মীর, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ হয়ে বাংলাদেশে প্রবাহিত হয়। কিন্তু এবার পশ্চিমা বাতাস প্রবাহিত হতে পারেনি।

এছাড়া, বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের কার্যকলাপও শীতের তীব্রতা কমিয়ে দিয়েছে। আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেছেন, ডিসেম্বরের পুরো সময়জুড়ে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের কারণে ওই অঞ্চলে তাপমাত্রা বেশি ছিল, যার ফলে শীতের প্রবাহ আসতে পারেনি।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, গত কয়েক দশকে বাংলাদেশের গড় তাপমাত্রা বেড়েছে এবং বৃষ্টিপাত কমেছে, যার ফলে শীতের প্রভাব আরও হালকা হয়ে পড়েছে। ১৯৭১ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত এবং ১৯৯১ থেকে ২০২০ সালের তাপমাত্রা তুলনা করলে এটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে সাম্প্রতিক সময়ে তাপমাত্রা বেড়ে গেছে।

বাংলাদেশে সাধারণত শীত পড়ে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, যখন হিমালয়ের পাদদেশ থেকে ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হয়ে দেশে প্রবেশ করে। তবে, তাপমাত্রা কমে গিয়ে নির্দিষ্ট সীমায় পৌঁছালে সেটি শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে গণ্য হয়।

তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ, ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ এবং ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়।

কেএইচ/

পাঠকের মতামত:

লাইফ স্টাইল এর সর্বশেষ খবর

লাইফ স্টাইল - এর সব খবর



রে