ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

মীর আক্তারের হাতে ৯ হাজার ২৬৮ কোটি টাকার কাজ

২০২৩ ডিসেম্বর ২৯ ০৮:১৪:১৬
মীর আক্তারের হাতে ৯ হাজার ২৬৮ কোটি টাকার কাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত দেশের একমাত্র নির্মাণ প্রতিষ্ঠান মীর আক্তার হোসেন লিমিটেডের হাতে বর্তমানে ৯ হাজার ২৬৮ কোটি টাকার ৩৩টি প্রকল্প রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

কোম্পানির বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ি, ৩৩টি প্রকল্পের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ঢাকা-সিলেট জাতীয় মহাসড়ক, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উন্নয়ন, পায়রা নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ ও সারা দেশে বিভিন্ন সড়ক প্রকল্প।

মীর আক্তার হোসেন লিমিটেডে ২০২১ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কিন্তু তালিকাভুক্তির পর কোম্পানিটির ব্যবসায়িক পারফরম্যান্স কমে যায়। কোম্পানিসংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনেকগুলো সরকারি প্রকল্পের কাজ পাওয়ায় মীর আক্তার ভবিষ্যতে ভালো করবে বলে আশা করা যায়।

২০২২-২৩ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন আগের বছরের তুলনায় ৯.২১ শতাংশ বেড়ে ২.৪৬ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদিত বাজেট বরাদ্দ হলো ২.৬৩ লক্ষ কোটি টাকা।

২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে যে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন বাজেট থেকে মূলধন বরাদ্দ বাড়ায় নির্মাণ খাত উপকৃত হচ্ছে।

মীর আক্তারের ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ছাড়াও বাণিজ্য বাধা, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ও জ্বালানির চড়া দামসহ বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জের প্রভাব পড়েছে দেশে।

মীর আক্তারের চেয়ারপারসন সোহেলা হোসেন বার্ষিক প্রতিবেদনে বলেছেন, এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে নির্দিষ্ট পর্যায়ের দক্ষতার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করে মুনাফা ধরে রাখতে কাজ করেছে মীর আক্তার। ব্যবসায় বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করতে তারা বেশ কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির মোট দায় ছিল ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা, যা মোট সম্পদের ৫৯ শতাংশ এবং শেয়ারহোল্ডারদের ইক্যুইটির চেয়ে ২৩৮ শতাংশ বেশি। ঋণের সুদের হার বাড়লে কোম্পানিটি মুনাফার প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে অসুবিধায় পড়বে বলে জানিয়েছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা।

মীর আক্তার প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) বুক-বিল্ডিং পদ্ধতিতে ৬০ টাকা দরে প্রতিটি শেয়ার ইস্যু করে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা প্রত্যেকে শেয়ারপ্রতি ৫৪ টাকায় ১০ শতাংশ ডিসকাউন্টে পান।

কোম্পানিটির শেয়ার গত বছরের নভেম্বর থেকে ফ্লোর প্রাইস ৫০ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন হচ্ছে। মাঝে জুন-আগস্ট সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার ফ্লোর প্রাইস টপকে ৬০ টাকা পর্যন্ত লেনদেন হয়।

শেয়ারনিউজ, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে