ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Sharenews24

বাংলাদেশের রপ্তানি বৃদ্ধিতে সহায়ক পদক্ষেপ নেবে বিশ্বব্যাংক

২০২৫ সেপ্টেম্বর ৩০ ১৪:১৯:৫৯
বাংলাদেশের রপ্তানি বৃদ্ধিতে সহায়ক পদক্ষেপ নেবে বিশ্বব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক: এলডিসি (Least Developed Country) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নতুন সুযোগের দ্বার খুলবে। তবে এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সঙ্গে চলমান স্বল্পোন্নত দেশের কিছু সুবিধা কমে আসার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

এই পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে নীতি-সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। তাদের প্রস্তাব অনুযায়ী, বাজেট সহায়তা হিসেবে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ হতে পারে। প্রাথমিকভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সভা হয়েছে, এবং আগামী ১৫ দিনের মধ্যে একটি মিশন পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান রূপালী জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাংকের প্রাথমিক প্রস্তাবের মধ্যে শুধু এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন ও রপ্তানিনীতি বিষয়ক প্রস্তাবে বাংলাদেশ আগ্রহ দেখিয়েছে। অন্য প্রস্তাবগুলো আলোচনা হয়নি। আগামী সভায় বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিশ্বব্যাংক চাইছে, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর বাংলাদেশের রপ্তানিতে সম্ভাব্য সমস্যাগুলো মোকাবিলায় নীতিগত সহায়তা প্রদান করা হোক। এতে সরকারি-বেসরকারি খাত একযোগে কাজ করতে পারবে এবং রপ্তানি প্রবৃদ্ধি উন্নত হবে। এছাড়া বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি)-কেও নীতি-সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বিশ্বব্যাংক সরাসরি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তবে প্রথমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে, এবং এখন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রস্তাবে একমত হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এলডিসি উত্তরণের ফলে যেমন নতুন সুযোগ তৈরি হবে, তেমনি প্রধান রপ্তানিপণ্য তৈরি পোশাক ও অন্যান্য শিল্পপণ্যের বাজার সংরক্ষণ এবং স্থানীয় শিল্পের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা জরুরি।

সরকারের দৃষ্টিতে, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ফলে দেশীয় ভাবমূর্তি বৃদ্ধি পাবে, বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়বে এবং নতুন সুযোগ উন্মোচিত হবে। তবে প্রধান চ্যালেঞ্জ বেসরকারি খাত এবং বিশেষ করে রপ্তানি খাতের জন্য। স্বল্পোন্নত দেশের সব প্রণোদনা কমে আসবে, যার মধ্যে নগদ সহায়তা ও শুল্ক সুবিধাও অন্তর্ভুক্ত।

বিশ্বব্যাংক প্রস্তাবিত নীতি-সহায়তা অনুযায়ী, সরকার ও বেসরকারি খাতকে ব্যবসায়িক খরচ কমানো, ওয়ান স্টপ সার্ভিস, প্রযুক্তি হস্তান্তর, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ, আধুনিক শিল্প ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে সুবিধা, দক্ষ জনশক্তি তৈরি, লজিস্টিক সহায়তা, বন্দর ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক মানের পরীক্ষাগার স্থাপন ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহায়তা দেওয়া হবে।

মামুন/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে