ঢাকা, সোমবার, ৪ আগস্ট ২০২৫
Sharenews24

একটি প্রোটিন আটকালেই মিলবে চিরযৌবনের চাবিকাঠি!

২০২৫ আগস্ট ০৪ ১৯:১০:৫৪
একটি প্রোটিন আটকালেই মিলবে চিরযৌবনের চাবিকাঠি!

নিজস্ব প্রতিবেদক: জীবন হোক দীর্ঘ, অথচ বার্ধক্য যেন না ছোঁয়!— এই স্বপ্ন পূরণের পথেই বড় পদক্ষেপ বিজ্ঞানীদের। লন্ডনের ইম্পিরিয়াল কলেজ ও সিঙ্গাপুরের ডিউক-এনইউএস মেডিক্যাল স্কুল যৌথভাবে জানিয়েছে, এক বিশেষ প্রোটিনকে নিয়ন্ত্রণে রাখলেই দীর্ঘায়ু পাওয়া সম্ভব, তাও যৌবন বজায় রেখেই।

এই প্রোটিনটি একধরনের সাইটোকাইন, যার প্রাথমিক কাজ হল শরীরের প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ এবং কোষের ক্ষত সারানো। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই প্রোটিনের মাত্রা শরীরে বেড়ে যেতে থাকে। ফল? ক্ষতিকর প্রদাহের বৃদ্ধি, কোষের দ্রুত মৃত্যু ও ত্বরান্বিত বার্ধক্য।

গবেষকেরা বলছেন, যত নষ্টের গোড়া এই অতিরিক্ত ‘আইএল-১১’। এটিকে যদি কোনওভাবে ‘বন্ধ রাখা’ যায়, তাহলে শরীরে নষ্ট কোষের জায়গায় জন্ম নেবে নতুন কোষ, আর বার্ধক্য ঠেকানো সম্ভব হবে দীর্ঘ সময়ের জন্য।

গবেষকরা ৭৫ সপ্তাহ বয়সি (মানুষের ক্ষেত্রে প্রায় ৫৫ বছর) এক ইঁদুরকে আইএল-১১ বিরোধী অ্যান্টিবডি ইঞ্জেকশন দেন। এই অ্যান্টিবডি প্রোটিনটির কার্যকারিতা সাময়িকভাবে থামিয়ে দেয়। ফলাফল অত্যন্ত চমকপ্রদ— ইঁদুরটির আয়ু বেড়ে দাঁড়ায় ১৫৫ সপ্তাহে, যেখানে সাধারণ ইঁদুরেরা ১২০ সপ্তাহেই মারা যায়। অর্থাৎ ২৫% বেশি জীবন!

যদিও এখনও মানুষের ওপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়নি, গবেষকেরা জানিয়েছেন, ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালুর প্রস্তুতি চলছে। আশা করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে এই পদ্ধতিই হতে পারে বার্ধক্য রোধের ‘রিভলিউশন’। শুধু দীর্ঘায়ু নয়, এই প্রোটিন নিষ্ক্রিয় করার মাধ্যমে হৃদ্‌রোগ, যকৃৎজনিত রোগ, ও অন্যান্য প্রদাহ-সংশ্লিষ্ট জটিল অসুখগুলিও প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

যদিও এটি কোনও ম্যাজিক নয়, কিন্তু বিজ্ঞান এখন সেই দিকেই এগোচ্ছে— যেখানে বার্ধক্য মানেই ‘অপরিহার্য’ নয়। প্রোটিন-নিয়ন্ত্রিত শরীরচর্চা ও চিকিৎসাই ভবিষ্যতের মানুষকে এনে দিতে পারে আরও দীর্ঘ, সুস্থ ও কার্যক্ষম জীবন।

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

লাইফ স্টাইল এর সর্বশেষ খবর

লাইফ স্টাইল - এর সব খবর



রে