ঢাকা, বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫
Sharenews24

সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের মন্তব্যে ভারতে তোলপাড়

২০২৫ এপ্রিল ০১ ২০:০০:২২
সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের মন্তব্যে ভারতে তোলপাড়

নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি চীন সফরে গিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় 'সেভেন সিস্টার্স' খ্যাত সাতটি রাজ্যের বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে মন্তব্য করেছেন, তা ভারতজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। তিনি এই রাজ্যগুলোকে 'স্থলবেষ্টিত' (ল্যান্ডলকড) বলে উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশই এসব রাজ্যের সমুদ্রগামী প্রবেশপথ। তার এই বক্তব্য ভারতীয় রাজনীতিবিদদের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেছে।

চীনে ব্যবসায়িক সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলার সময় ড. ইউনূস বলেন, “ভারতের পূর্বাঞ্চলের সেভেন সিস্টার্স রাজ্যগুলো স্থলবেষ্টিত এবং তাদের সমুদ্রের একমাত্র প্রবেশপথ বাংলাদেশ। এটি বিশাল এক সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে এবং চীনা অর্থনীতির সম্প্রসারণের সুযোগও হতে পারে।”

ড. ইউনূসের মন্তব্যের পর ভারতের আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য আরও শক্তিশালী রেল ও সড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা প্রয়োজন। তিনি বলেন, “ড. ইউনূসের মন্তব্য অত্যন্ত আপত্তিকর এবং এটি ভারতের কৌশলগত দুর্বলতার কথা প্রকাশ করে। আমাদের উত্তর-পূর্বকে যথাযথভাবে সংযুক্ত করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।”

ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা পবন খেরা এই মন্তব্যকে বিপজ্জনক বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ সরকার ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে অবরুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে চীনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এটি আমাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।”

ত্রিপুরার রাজনৈতিক দল তিপরা মোথা পার্টির নেতা প্রদ্যুত মানিক্য ড. ইউনূসের মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “ভারতের উত্তর-পূর্বের জনগণ ঐতিহাসিকভাবে সমুদ্রের পথের জন্য ভারতের কাছ থেকে অবহেলিত। এখন সময় এসেছে নিজস্ব সমুদ্রপথ খুঁজে বের করার।”

ভারতে বাংলাদেশের সাবেক হাই কমিশনার বীণা সিক্রি ড. ইউনূসের মন্তব্যকে হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, “এ ধরনের বক্তব্য দেয়ার কোন অধিকার তার নেই। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপের ভিত্তিতে একটি সমঝোতা করেছে, এবং এর মাধ্যমে আমাদের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়েছে।”

বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেছেন যে, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর অবকাঠামো উন্নয়ন এবং সংযোগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে পাশ কাটিয়ে সমুদ্রপথের বিকল্প খোঁজা এক দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হতে পারে। তবে এটির বাস্তবায়ন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।

আরিফ/

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে