ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

যেসব দেশে মুসলমানদের বসবাস ও ইসলাম ধর্ম প্রচার নিষিদ্ধ!

২০২৪ অক্টোবর ২৭ ২১:৩৮:৫২
যেসব দেশে মুসলমানদের বসবাস ও ইসলাম ধর্ম প্রচার নিষিদ্ধ!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বর্তমানে জাতিসংঘের তালিকাভুক্ত দেশ রয়েছে ১৯৩টি। এর বাইরে আরও ২টি দেশকে জাতিসংঘ পর্যবেক্ষক দেশের তালিকায় রেখেছে। দেশ ২টি হচ্ছে ভ্যাটিকান সিটি এবং ফিলিস্তিন।

এই ১৯৫টি দেশের মধ্যে মুসলিম দেশ রয়েছে ৫৭টি। এসব দেশের আনাচে কানাচে ধর্ম-বর্ণভেদে কোটি কোটি মানুষের বসবাস। এরমধ্যে মুসলিম জনসংখ্যা রয়েছে ২০০ কোটিরও বেশি।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই কমবেশি মুসলিমদের বসবাস রয়েছে। তবে বিশ্বে এমন কিছু দেশ আছে যেখানে মুসলমানদের প্রবেশ নিষিদ্ধ এবং এসব দেশে নেই কোনো মসজিদও।

শুধু তাই নয়, এই দেশগুলোতে ইসলাম ধর্ম প্রচারের ওপরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এবং কিছু ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডও দেওয়া হয়।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন কোন দেশ আছে এই তালিকায়।

ভ্যাটিকান সিটি

ইসলামবিরোধী এই দেশগুলোর মধ্যে প্রথম তালিকায় আছে ভ্যাটিকান সিটি। এটি বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে কোনো মুসলমান বাস করে না।

ইতালির রাজধানী রোমের কাছে ভ্যাটিকান সিটিতে শুধুমাত্র খ্রিস্টানরাই থাকতে পারে।

পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম এই দেশে মুসলমানদের বসবাস সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এর মোট জনসংখ্যা প্রায় ৮০০ এবং এটি একটি সম্পূর্ণরূপে ধর্মীয় স্থান।

উত্তর কোরিয়া

উত্তর কোরিয়ায় ইসলামসহ অন্য সব ধর্ম অনুসরণ করাও কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এখানে মন্দির, মসজিদ বা গির্জা নির্মাণ করা আইনত অপরাধ। এক সময় এখানে মুসলমানের সংখ্যা ছিল তিন হাজার, কিন্তু এখন তা শূন্যের কোঠায়।

এখানে যেসব মুসলমান ছিল তারা হয় দেশ ছেড়ে চলে গেছে; নয়তো নিহত হয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন নাস্তিকতায় বিশ্বাসী এবং ইসলাম প্রচার করলে দেশটিতে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।

স্লোভাকিয়া

স্লোভাকিয়া বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে আজ পর্যন্ত কোনও মসজিদ নির্মিত হয়নি। মুসলমানরা এখানে মসজিদ নির্মাণ করতে পারে না, মাদ্রাসাও চালাতে পারে না।

স্লোভাকিয়া এক সময় অটোমান সাম্রাজ্যের একটি অংশ ছিল; যেখানে মুসলমানরা ৩০০ বছর ধরে শাসন করেছিল।

কিন্তু আজ মুসলিম জনসংখ্যা নগণ্য। এখানে প্রথম হাসপাতালও মুসলিম শাসকদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, কিন্তু আজ দেশটিতে মুসলমানদের ওপর অনেক বিধিনিষেধ রয়েছে সেখানে।

সলোমন দ্বীপপুঞ্জ

এই তালিকায় রয়েছে সলোমন দ্বীপপুঞ্জও। এখানকার মোট জনসংখ্যা প্রায় ৭ লাখ, তবে মুসলমানের সংখ্যা ৭০-এরও কম।

১৯৯৫ সালে তাবলিগ জামাতের মাধ্যমে কিছু লোক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেও বর্তমানে দেশে ইসলামের প্রকাশ্য প্রচারের ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

দেশটিতে একটি ছোট মসজিদ রয়েছে, যেটি অপসারণের জন্য প্রায়ই বিক্ষোভ হয়।

মিজান/

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে