ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫
Sharenews24

কুরআনে বর্ণিত ৭টি টেকনোলোজি যা বিজ্ঞানীদেরও হতবাক করে

২০২৫ আগস্ট ০৪ ১২:১৫:২৭
কুরআনে বর্ণিত ৭টি টেকনোলোজি যা বিজ্ঞানীদেরও হতবাক করে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইসলাম ধর্ম প্রচারকারী একটি ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে, পবিত্র কোরআনের বহু আয়াতে ভবিষ্যতের প্রযুক্তির ইঙ্গিত রয়েছে, যেগুলো আধুনিক যুগে এসে বাস্তব হয়ে উঠেছে। বিশ্বের ১০টিরও বেশি ভাষায় অনূদিত হয়ে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এবং আলোচনার জন্ম দিয়েছে ধর্ম ও বিজ্ঞানের সম্পর্ক নিয়ে।

আলোচক বলেন, "একশ বছর আগেও ভিডিও কলের চিন্তাও করা যেত না। কিন্তু কোরআন ১৪০০ বছর আগেই এমন বাস্তবতার ইঙ্গিত দিয়েছে।" উদাহরণ হিসেবে তিনি সূরা আন’আম (৬:৫৯) উল্লেখ করেন:“তাঁর জ্ঞান ব্যতীত কোনো পাতাও ঝরে না; এমনকি ভূমির অন্ধকারে কোনো শস্যদানাও অঙ্কুরিত হয় না, এবং কোনো ভেজা বা শুকনা কিছুই নেই যা সুস্পষ্ট কিতাবে নেই।”

এই আয়াত থেকে বক্তার ব্যাখ্যা— সৃষ্টিজগতের প্রতিটি বিষয়ের মৌলিক ধারণা কোরআনে সন্নিবেশিত আছে, যদিও তা সরাসরি প্রযুক্তির নামে নয় বরং ইঙ্গিতে, নীতিতে ও সারসংক্ষেপে।

কয়েকজন নবীর অলৌকিক ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়— আধুনিক প্রযুক্তির অনেক ধারণাই এগুলোর মধ্যে নিহিত ছিল। নিচে তা সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরা হলো:

১. নবী সুলাইমান (আ.) ও শেবার রানীর সিংহাসন

সূরা আন-নামল অনুসারে, শেবার রানীর সিংহাসন চোখের পলকে দূর থেকে উপস্থিত করা হয়।

বক্তার ব্যাখ্যা: এটি টেলিপোর্টেশন, হলোগ্রাফি বা লাইভ ট্রান্সমিশন প্রযুক্তির পূর্বাভাস হতে পারে।

২. পশুপাখির ভাষা বোঝা

সুলাইমান (আ.)-এর ভাষা বোঝার ক্ষমতা ভবিষ্যতের "মেশিন-এনিমেল ইন্টারফেস" বা প্রাণীর আচরণ বিশ্লেষণ প্রযুক্তির দিক নির্দেশ করে।

৩. বাতাসের নিয়ন্ত্রণ

সুলাইমান (আ.) বাতাস ব্যবহার করে ভ্রমণ করতেন। বক্তা বলেন, এটি বিমান, ড্রোন, এয়ার বাস বা হাইপারসনিক ভেহিকলের মতো প্রযুক্তির দিক নির্দেশ করে।

৪. আগুনে না পোড়া (ইবরাহিম আ.)

আগুনে অক্ষত থাকা ফায়ার-রেটার্ডেন্ট বা হিট-রেজিস্ট্যান্ট মেটেরিয়াল প্রযুক্তির দিকেই ইঙ্গিত করে।

৫. পাথর থেকে বারোটি ঝর্ণা (মুসা আ.)

এটি আধুনিক ড্রিলিং টেকনোলজি বা ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের প্রযুক্তির সাদৃশ্য বহন করে।

৬. জন্মান্ধের চিকিৎসা (ঈসা আ.)

ঈসা (আ.)-এর কুষ্ঠরোগ ও অন্ধত্ব নিরাময় ক্ষমতা আজকের জিন থেরাপি, বায়োটেক ও স্টেম সেল গবেষণার দিকে ইঙ্গিত করে।

কোরআনের মূল উদ্দেশ্য সৃষ্টিকর্তার একত্ববাদ, নবুয়ত, পরকাল ও নৈতিক জীবনবোধ প্রতিষ্ঠা করা হলেও, মানুষের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হিসেবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দিকেও সূক্ষ্ম ইঙ্গিত রয়েছে।

তিনি বলেন:“এই ইঙ্গিতগুলো প্রমাণ করে যে কোরআন কোনো মানুষের রচিত গ্রন্থ নয়; বরং এটি সর্বশক্তিমান আল্লাহর বাণী, যা সব যুগের মানুষের জন্য প্রাসঙ্গিক।”

বিজ্ঞানের চোখে এগুলো এখনো গবেষণার বিষয়। কিন্তু ধর্মীয় ব্যাখ্যায়, কোরআন শুধুমাত্র এক যুগের জন্য নয়, বরং চিরকালীন এক দিকনির্দেশনা, যার গভীরতা মানব সভ্যতার প্রতিটি পর্যায়ে ধরা পড়ে ভিন্ন আঙ্গিকে।

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এর সর্বশেষ খবর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি - এর সব খবর



রে