ঢাকা, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
Sharenews24

যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে ফের হামলা ইসরাইলের

২০২৫ জুলাই ০৫ ০৯:৩৬:২১
যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে ফের হামলা ইসরাইলের

নিজস্ব প্রতিবেদক: যুদ্ধবিরতির চুক্তি ভেঙে দক্ষিণ লেবাননের বিভিন্ন স্থানে ফের হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। শুক্রবার (৪ জুলাই) চালানো এই হামলায় ধ্বংস হয়েছে একাধিক বাড়ি, সরকারি যান ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান। আহত হয়েছেন অন্তত তিনজন এবং একজন নিহত হয়েছেন।

লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি (এনএনএ) জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে দক্ষিণ লেবাননের নাবাতিয়েহ প্রদেশের আইতা আল-শাব, মেইস এল জাবাল, এবং মারজাইউন শহরে ইসরাইলি গোলাবর্ষণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

আইতা আল-শাবে একটি বাড়ি

মেইস এল জাবালে সরকারি বুলডোজার

মারজাইউনে একটি পোশাক কারখানা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়

এই হামলায় একজন প্রাণ হারান এবং কমপক্ষে তিনজন আহত হন।

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে লেবাননের ভেতরে সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরাইল। মূল টার্গেট ছিল শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। সে সময় এক মাসব্যাপী অভিযানে হিজবুল্লাহর একাধিক ঘাঁটি ধ্বংস করা হয় এবং গোষ্ঠীটির শীর্ষ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ ও প্রথম সারির কমান্ডারদের হত্যা করা হয়।

এরপর থেকেই দক্ষিণ লেবাননে শক্ত ঘাঁটি গেড়ে বসে ইসরাইলি সেনারা, যা যুদ্ধবিরতির অন্যতম শর্ত লঙ্ঘন করে।

২০২৪ সালের নভেম্বরে লেবানন-ইসরাইল যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। মূল শর্ত ছিল:

ইসরাইলি বাহিনীর লেবানন থেকে প্রত্যাহার

লেবাননের ভূখণ্ডে আর কোনো সামরিক অভিযান না চালানো

কিন্তু আট মাস পেরিয়ে গেলেও ইসরাইল এখনো সেনা সরায়নি। উল্টো ফের হামলা চালিয়ে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেছে।

এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন,“নভেম্বরের মধ্যে হিজবুল্লাহ যদি অস্ত্র সমর্পণ না করে, তবে ডিসেম্বর থেকে আইডিএফ পূর্ণমাত্রার অভিযান শুরু করবে।”

উত্তরে হিজবুল্লাহ সাফ জানিয়ে দিয়েছে:“আত্মরক্ষা ও জাতীয় মর্যাদার প্রশ্নে কোনো আপস হবে না। অস্ত্র সমর্পণ নয়।”

বিশ্লেষকদের মতে, এই উত্তেজনা শুধু লেবানন-ইসরাইল সীমান্তেই সীমাবদ্ধ নয়। এটি গোটা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে সংঘাতের আশঙ্কা বাড়াচ্ছে।এই পরিস্থিতিতে আঞ্চলিক শান্তি রক্ষায় জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর হস্তক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়ছে।

মুসআব/

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে