ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
Sharenews24

মিয়ানমারে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পেছনের রহস্য

২০২৫ মার্চ ২৯ ১০:৪৫:২৮
মিয়ানমারে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পেছনের রহস্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : গতকাল শুক্রবার মিয়ানমারে ঘটে যাওয়া দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্প দেশটির জন্য একটি ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। এর মধ্যে একটি ছিল ৭.৭ মাত্রার এবং অপরটি ছিল ৬.৪ মাত্রার। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মান্দালয়, মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চল। এর উৎপত্তি ছিল ১০ কিলোমিটার গভীরে। ইউএসজিএস (যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা) জানিয়েছে, শুধু মিয়ানমার নয়, এর প্রভাব অনুভূত হয়েছে ভারত, থাইল্যান্ড এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য অংশেও।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মিয়ানমারে এমন শক্তিশালী ভূমিকম্প হওয়ার কারণ মূলত সাগাইং ফল্ট। এটি মিয়ানমারের শান মালভূমি ও সেন্ট্রাল মিয়ানমার বেসিন এর মাঝামাঝি এলাকায় অবস্থিত। এই ফল্টে দুটি স্থলভাগ একে অপরের পাশ দিয়ে সরে যায়, যার কারণে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়।

মিয়ানমার ভূমিকম্পের দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে সক্রিয় অঞ্চলের মধ্যে পড়ে এবং দেশটি মাঝারি থেকে উচ্চ ঝুঁকির রেড জোনে অবস্থান করছে। বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, গত ২০ বছরে মিয়ানমারে এমন কোনো ভূমিকম্প ঘটেনি। এর প্রভাবে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন দফায় কম্পন অনুভূত হয়েছে, এবং পরাঘাত বা আফটার শক আরও হতে পারে।

এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ইন্দো-বার্মা সাবডাকশন জোনে। এই সাবডাকশন জোনে দুটি টেকটোনিক প্লেট সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে একটি প্লেট আরেকটি প্লেটের নিচে চলে যায়, যার ফলে শক্তি তৈরি হয় এবং সেই শক্তি সিসমিক তরঙ্গ আকারে ছড়িয়ে পড়ে। সেই তরঙ্গ যদি শক্তিশালী হয়, তাহলে তা পৃথিবীর উপরিতলে এসে ভূত্বককে কাঁপিয়ে তোলে, যা ভূমিকম্প সৃষ্টি করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের ভূমিকম্প মূলত টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষের কারণে ঘটে এবং পৃথিবীর ভূগর্ভে নানা চ্যুতি বা শিফটের ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে এই ধরনের ভূমিকম্পের প্রভাব পড়তে পারে।

এই ভূমিকম্পের জন্য সাগাইং ফল্ট এবং ইন্দো-বার্মা সাবডাকশন জোন সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে, যা ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার অন্যতম কারণ।

মুয়াজ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে