ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

শবে বরাতে ইবাদত: বিশেষ দিকনির্দেশনা এবং করণীয়-বর্জনীয়

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ১২ ১২:৫৭:২৬
শবে বরাতে ইবাদত: বিশেষ দিকনির্দেশনা এবং করণীয়-বর্জনীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : মুসলিম বিশ্বে বিশেষ মর্যাদার রাত হিসেবে পরিচিত শবে বরাত। শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটি রহমত, মাগফিরাত এবং নাজাতের রাত হিসেবে গন্য হয়। এই রাতে আল্লাহ তায়ালা তার সৃষ্টির প্রতি বিশেষ রহমত বর্ষণ করেন এবং সকল গুনাহ মাফ করেন, কেবল শিরককারী ও বিদ্বেষপোষণকারী ব্যতীত। তাই শবে বরাতের রাতটি মুসলিমদের জন্য ইবাদত, দোয়া, ইস্তিগফার এবং আত্মশুদ্ধির একটি বিশেষ সুযোগ।

শবে বরাতে মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো ইবাদত-বন্দেগিতে মনোনিবেশ করা। বিশেষত, এই রাতে বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ আদায়, দোয়া, এবং ইস্তিগফার করা উত্তম। দরিদ্রদের সাহায্য করার জন্য জাকাত ও দান-সদকা প্রদান করা উচিত। অনেক আলেমের মতে, ১৪ শাবানের রাতে রাত জাগরণ, আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং অতীতের গুনাহ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য তাওবা করা সুন্নত।

অনেক কুসংস্কারের প্রচলন রয়েছে শবে বরাতে, যার মধ্যে নামাজের বিশেষ নিয়ম-কানুন, হালুয়া-রুটি আয়োজন, কবর জিয়ারতকে ফরজ মনে করা ইত্যাদি। এসব কিছুই ইসলামের সঠিক সুন্নাহর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। হাদিসে নির্দিষ্ট কোনো রাকাত বা নামাজের বিশেষ পদ্ধতির কথা বলা হয়নি। সুতরাং, যেকোনো সূরা দিয়ে দুই রাকাত করে নফল নামাজ পড়া উচিত।

এছাড়া, ১৪ শাবানের রাতকে ইবাদতের জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া একটি ভুল ধারণা। বরং পুরো শাবান মাসজুড়েই ইবাদত করা উচিত এবং রাসুল (সা.)-এর সুন্নাহ অনুসরণ করা উচিত।

শাবান মাস এবং শবে বরাত আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহের মাস, যা মুসলমানদের জন্য গুনাহ মাফ করার, আত্মশুদ্ধির এবং রমজান প্রস্তুতির সুযোগ প্রদান করে। আসুন, আমরা এই বরকতময় মাসকে গুরুত্বসহকারে গ্রহণ করি এবং বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগি করি, যাতে আল্লাহ আমাদের সকলকে তার রহমত ও মাগফিরাতের অধিকারী করেন।

আরিফ/

পাঠকের মতামত:

লাইফ স্টাইল এর সর্বশেষ খবর

লাইফ স্টাইল - এর সব খবর



রে