ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

ক্রেতা সংকটে ‘জেড’ ক্যাটাগরির ২৩ কোম্পানি

২০২৪ সেপ্টেম্বর ২৬ ১৬:০৪:৪৪
ক্রেতা সংকটে ‘জেড’ ক্যাটাগরির ২৩ কোম্পানি

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগের দিনের মতো বৃহস্পতিবারও (২৬ সেপ্টেম্বর) বড় পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। এদিন শেয়ারবাজার লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২৯৯টির শেয়ার দর কমেছে। আর কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২৬টি কোম্পানির শেয়ার ছিল ক্রেতা সংকটে।

কোম্পানিগুলো হলো : লুবরেফ বাংলাদেশ, দেশ গার্মেন্টস, অ্যাডভেন্ট ফার্মা, বিচ হ্যাচারি, ফার কেমিক্যার, প্যাসিফিক ডেনিমস, জিএসপি ফাইন্যান্স, বে লিজিং, মিরাকল, বিডি থাই, আনলিমা ইয়ার্ন, ভিএফএস থ্রেড ডাইং, এনার্জিপ্যাক, সেন্ট্রাল ফার্মা, এসোসিয়েটেড অক্সিজেন, ফরচুন সুজ, এসকে ট্রিমস, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, খুলনা পাওয়ার, ইন্দোবাংলা ফার্মা, ফনিক্স ফাইন্যান্স, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড এবং লিবরা ইনফিউশন।

এসব কোম্পানির মধ্যে এ ক্যাটাগরির ২টি, বি ক্যাটাগরির ১টি এবং ২৩টি কোম্পানিই ছিল জেড ক্যাটাগরিভুক্ত। মূলত সিকিউরিটি আইন অমান্য করার কারণে শেয়ারবাজারে আজ থেকে ২৭টি কোম্পানির লেনদেন ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে হয়েছে। কোম্পানিগুলোর লেনদেন ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে হওয়ায় আস্থার অভাবে শেয়ার বিক্রি করতে মরিয়া হয়ে উঠে বিনিয়োগকারীরা। যার কারণে ক্রেতা সংকটে পড়ে কোম্পানিগুলো।

লুব-রেফ বাংরাদেশ

এই কোম্পানির শেয়ারের ক্লোজিং দর গতকাল ছিল ১৭ টাকায়। আজ কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয় ১৫ টাকা ৩০ পয়সায়। আর লেনদেন শেষে ক্লোজিং দর হয় ১৫ টাকা ৩০ পয়সায়। অর্থাৎ শেয়ারটির দর ১ টাকা ৭০ পয়সা বা ১০ শতাংশ কমেছে। লেনদেন শুরুর কিছু সময় পরই শেয়ারটি থেকে ক্রেতা উধাও হয়ে যায়। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত শেয়ারটি কেনার জন্য কোনো বিনিয়োগকারী পাওয়া যায়নি।

দেশ গার্মেন্টস

দেশ গার্মেন্টসের শেয়ারেও আজ ক্রেতা সংকট তৈরি হয়। শেয়ারটির ক্লোজিং দর গতকাল ছিল ৮৭ টাকা ১০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির লেনদেন শুরু হয় ৭৮ টাকা ৪০ পয়সায়। লেনদেন শেষে ক্লোজিং দর হয় ৭৮ টাকা ৪০ পয়সায়। অর্থাৎ শেয়ারটির দর ৮ টাকা ৭০ পয়সা বা ৯.৯৯ শতাংশ কমেছে। এই শেয়ারেও ক্রেতার সংকট তৈরি হয়।

অ্যাডভেন্ট ফার্মা

আগের দিন অ্যাডভেন্ট ফার্মার শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২২ টাকা ১০ পয়সায়। আজ এর লেনদেন শুরু হয় ১৯ টাকা ৯০ পয়সায়। লেনদেন শেষে শেয়ারটির ক্লোজিং দর হয় ১৯ টাকা ৯০ পয়সায়। অর্থাৎ শেয়ারটির দর ২ টাকা ২০ পয়সা বা ৯.৯৫ শতাংশ কমেছে। শেয়ারটি লেনদেন শুরুর কিছু সময় ক্রেতা থাকলেও ধীরে ধীরে ক্রেতা হারিয়ে যেতে থাকে। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার কেনার জন্য কোনো বিনিয়োগকারী পাওয়া যায়নি।

আজ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত যেসব কোম্পানিতে ক্রেতা সংকট তৈরি হয় সেগুলোর মধ্যে বিচ হ্যাচারির ৯.৯৪ শতাংশ, ফার কেমিক্যালের ৯.৮৪ শতাংশ, প্যাসিফিক ডেনিমসের ৯.৮০ শতাংশ, জিএসপি ফাইন্যান্সের ৯.৮০ শতাংশ, বে লিজিংয়ের ৯.৮০ শতাংশ, মিরাকলের ৯.৭৯ শতাংশ, বিডি থাইয়ের ৯.৭৭ শতাংশ, আনলিমা ইয়ার্নের ৯.৭০ শতাংশ, ভিএফএস থ্রেড ডাইংয়ের ৯.৬৮ শতাংশ, এনার্জিপ্যাকের ৯.৬৮ শতাংশ, সেন্ট্রাল ফার্মার ৯.৬৩ শতাংশ, এসোসিয়েটেড অক্সিজেনের ৯.৬৩ শতাংশ, ফরচুন সুজের ৯.৬২ শতাংশ, এসকে ট্রিমসের ৯.৫২ শতাংশ, অলিম্পিক এক্সেসরিজের ৯.৫২ শতাংশ, খুলনা পাওয়ারের ৯.৪২ শতাংশ, ইন্দোবাংলা ফার্মার ৯.৪০ শতাংশ, ফনিক্স ফাইন্যানেরসর ৯.৩৩ শতাংশ, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের ৯.৩০ শতাংশ এবং লিবরা ইনফিউশনের শেয়ার দর ৭.৪৯ শতাংশ কমেছে।

এছাড়া ডিভিডেন্ড ঘোষণা সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটে শেয়ার দর সমন্বয়ের কারণে ‘এ’ কাটাগরিভুক্ত লিনডে বিডির শেয়ার দর ৬.২৪ শতাংশ কমেছে। কোম্পানিটির শেয়ার কেনার জন্য কোনো চাপ বা ক্রেতা ছিল না। আর ‘বি’ক্যাটাগরিভুক্ত মেট্রো স্পিনিংয়ের শেয়ারেও আজ ক্রেতা সংকট তৈরি হয়। এ কারণে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৯.৩৫ শতাংশ কমে।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, কোম্পানিগুলোর শেয়ার ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করায় এদের প্রতি আগ্রহ হারায় বিনিয়োগকারীরা। যে কারণে শেয়ারটি বিক্রি করার জন্য বিনিয়োগকারীর উপস্থিতি থাকলে শেয়ারটি কেনার জন্য আগ্রহ ছিল না। তাই শেয়ারগুলোতে এক পর্যায়ে ক্রেতা সংকট তৈরি হয়। সামনের দিনগুলোতে এসব কোম্পানির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়বে বলে মনে করছেন তারা।

এস/

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে