বেইজিংয়ে সংলাপে বসছে ফিলিস্তিনের ফাতাহ-হামাস
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বেইজিংয়ে ঐক্য সংলাপে বসতে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনের দুই প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস ও ফাতাহের প্রতিনিধিরা। খুব শিগগিরই এই সংলাপ শুরু হবে।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) নিশ্চিত করেছেন হামাস ও ফাতাহর নেতৃবৃন্দ এবং চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন।
সংলাপে ফাতাহের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন গোষ্ঠীটির জ্যেষ্ঠ নেতা আজাম আল আহমেদ, আর হামাসের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকবেন ওই গোষ্ঠীর জ্যেষ্ঠ নেতা মুসা আবু মারজুক। উভয় গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা শুক্রবার বেইজিংয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ দিন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখাপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা ফিলিস্তিনের জাতীয় কর্তৃপক্ষকে শক্তিশালী দেখতে চাই এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী যেসব রাজনৈতিক পক্ষ সংলাপ এবং আলোচনার মাধ্যমে ঐক্য স্থাপন করতে চায়, তাদের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।’
গত ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম চীন সফরে যাচ্ছে হামাসের কোনো প্রতিনিধিদল। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে কূটনৈতিক কর্মকর্তা ওয়াং কেজিয়ান হামাসের প্রেসিডেন্ট ইসমাঈল হানিয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সে সময় বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে এই শান্তি সংলাপের প্রস্তাব দেন ওয়াং কেজিয়ান এবং হানিয়েও তাতে সম্মতি দেন।
শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে ওয়াং ওয়েনবিন জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনের প্রতিপক্ষ দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঐক্য স্থাপনই সংলাপের মূল উদ্দেশ্য।
প্রসঙ্গত গাজা, পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেম— তিন ভূখণ্ডের সমন্বয়ে গঠিত ফিলিস্তিন। ২০০৭ সাল থেকে গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণ করছে সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস। অন্যদিকে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ক্ষমতায় রয়েছে রাজনৈতিক দল ফাতাহের নেতৃত্বাধীন জোট ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (প্যালেস্টাইনিয়ান অথরিটি-পিএ)। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ফাতাহের শীর্ষ নেতা।
এক সময় গাজা উপত্যকায়ও ক্ষমতায় ছিল ফাতাহ। কিন্তু ২০০৭ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়ে গাজার ক্ষমতা গ্রহণের পাশাপাশি ফাতাহকে উপত্যকা থেকে উচ্ছেদ করে হামাস।
দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধিতার প্রধান ইস্যু স্বাধীনতা অর্জনের পন্থা নিয়ে। ফাতাহ সংলাপ এবং রাজনৈতিক তৎপরতার ভিত্তিতে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে।
অন্যদিকে হামাস বিশ্বাস করে, সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে ইসরায়েল রাষ্ট্রকে নিশ্চিহ্ন করার মাধ্যমেই কেবল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জন সম্ভব।
তবে ফিলিস্তিনে জনপ্রিয়তা থাকলেও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে হামাসের তেমন কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা বিশ্বের অধিকাংশ দেশ হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে বেশ কয়েক বছর আগেই।
মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার দেশগুলো এখনও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণা না করলেও অধিকাংশ দেশ সব সময় এই গোষ্ঠীটির সংশ্রব থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখে। অন্যদিকে ফাতাহের নেতৃত্বাধীন জোট ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (প্যালেস্টাইনিয়ান অথরিটি-পিএ) আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ফিলিস্তিনের বৈধ শাসক হিসেবে স্বীকৃত।
গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে নির্বিচারের গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে হত্যা করে হামাস। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪০ জনকে।
জবাবে সেই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গত ছয় মাস ধরে চলমান সেই অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের অধিকাংশই শিশু, নারী ও বেসামরিক লোকজন।
মূলত এই যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ফের গুরুত্ব সহকারে সামনে আসে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্থাপনের ইস্যুটি। তবে এক্ষেত্রে একটি বড় বাধা ছিল হামাস ও ফাতাহের অনৈক্য ও পরস্পরের প্রতি বৈরী মনোভাব।
গত কয়েক বছরে মধ্যপ্রাচ্যে গভীর প্রভাব বিস্তারকারী চীনের অবশ্য এ বিষয়ে অতীত সাফল্যের রেকর্ড রয়েছে।
২০২৩ সালে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে শান্তি স্থাপনে নেতৃত্ব দিয়েছিল বেইজিং। মধ্যপ্রাচ্যের এ দুই নেতৃস্থানীয় দেশের মধ্যে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে বৈরিতা চলছিল।
শেয়ারনিউজ, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
পাঠকের মতামত:
- ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার জমজমাট টি-২০ ম্যাচটি শেষ-দেখুন ফলাফল
- অবশেষে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার কারণ জানাল ভারত
- বিএনপির ফাঁকা আসনে লড়বেন জোটের যেসব হেভিওয়েটরা
- ফেসবুকে হাদিকে নিয়ে মন্তব্য, মেডিকেল অধ্যাপককে অব্যাহতি
- মার্কিন বাজারে পোশাক রপ্তানিতে চাপে থাকলেও প্রবৃদ্ধির আশা
- ট্রাভেল পাস হাতে পেয়েছেন তারেক রহমান
- ব্লুমবার্গ সূচকে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের ১৬ কোম্পানি
- বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যকার ম্যাচ শেষ-দেখে নিন ফলাফল
- খালেদা জিয়ার সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে যা বললেন ডা. জাহিদ
- ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি ম্যাচ: সরাসরি দেখুন এখানে
- দেশে ফিরেছে শহীদ ওসমান হাদির মরদেহ
- শহীদ হাদির জানাজা আগামীকাল জোহরের পর
- হাদি হত্যার প্রতিবাদ শাহবাগে শিক্ষার্থী-জনতার ঢল
- 'ছায়ানটে হামলাকারীদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে'
- বাংলাদেশে নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিল যুক্তরাষ্ট্র
- দুই পত্রিকার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ
- সহিংসতায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: সরকারের বিবৃতি
- ছাত্র-জনতার অবরোধে অচল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
- কর্মসূচি বাতিল, স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক বিএনপির
- ডিভিডেন্ড অনুমোদন করেছে বিডিকম অনলাইন
- ডিভিডেন্ড অনুমোদন করেছে এনার্জিপ্যাক
- ইউক্রেনকে আরও ১০৫ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিচ্ছে ইইউ
- বিকেলে দেশে পৌঁছাবে শহীদ হাদির মরদেহ
- আল-আরাফাহ ব্যাংকের নতুন এমডি রাফাত উল্লাহ খান
- ওসমান হাদির মৃত্যুতে মার্কিন দূতাবাসের শোক
- তালিকাভুক্ত কোম্পানির ১৩ লাখ ৭৫ হাজার শেয়ার হস্তান্তর
- ঘোড়াশাল আইসিডি প্রকল্পে শাশা ডেনিমসের অংশগ্রহণ
- জমাদিউস সানির চতুর্থ জুমা আজ, ইমান ও চরিত্র পর্যালোচনার আহ্বান
- বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবনে আকস্মিক বজ্রপাত
- সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ কোম্পানি
- সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি
- সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি
- ঢাবি 'ক' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত
- রাগ সামলাতে না পারলেই বিপদ, জানুন শান্ত থাকার কৌশল
- যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা: তারকাসহ নি-হ-ত ৭
- পরিস্থিতি বিবেচনায় দুই বড় নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত
- এবার আরেক জুলাই যোদ্ধাকে হ-ত্যা-র হুমকি
- শহীদ হাদির মৃত্যু নিয়ে সহিংসতা, মির্জা ফখরুলের উদ্বেগ
- হাদির হ-ত্যা-র প্রতিবাদে শাহবাগে গণজমায়েত
- প্রথম আলো–ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, আতঙ্কে সাংবাদিকরা
- ওসমান হাদির মৃত্যুতে শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক
- হোস্টেল থেকে এনসিপি নেত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- হাদির রক্তে ছিল প্রতিবাদের তেজ: জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা
- শরিফ ওসমান হাদি আর নেই
- বিনিয়োগকারীদের সহায়তায় ডিএসইতে বিশেষ ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক
- রবির লক্ষ্য ডিজিটাল ব্যাংকিং: দেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে নতুন বিপ্লব
- শেয়ারবাজার শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিলের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত
- ডিএসইর প্রথম নারী এমডি নুজহাত আনোয়ার
- সিঙ্গাপুরেই অস্ত্রোপচারের অনুমতি দিয়েছে হাদির পরিবার
- রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নিরাপত্তায় ইসির কড়া নির্দেশনা
- চড়া সুদে আমানত টানবে সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক
- দুই বছরের মধ্যেই কেনিয়ায় মুনাফার মুখ দেখল স্কয়ার ফার্মা
- শেয়ারবাজারে নতুন দিগন্ত: প্রেফারেন্স শেয়ারের বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু
- ‘এ’ থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে নামল তালিকাভুক্ত কোম্পানি
- তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানির অস্তিত্ব নিয়ে শঙ্কায় নিরীক্ষক
- শেয়ারবাজারে গতি ফেরাতে ১০ হাজার কোটি টাকার ইকুইটি ফান্ডের প্রস্তাব
- বিএসইসির বিশেষ সুবিধা পেল শেয়ারবাজারের ৭ প্রতিষ্ঠান
- ৫ কোম্পানিতে বেড়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের বিনিয়োগ
- শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ণ ১৫ সংবাদ
- ২৭ বীমা কোম্পানির হিসাব নিয়ে বিএসইসি’র লাল সংকেত
- বিনিয়োগকারীদের শুন্য ডিভিডেন্ড দিল তালিকাভুক্ত ৫৭ কোম্পানি
- মার্জিন রুল চ্যালেঞ্জ: দ্বিতীয় রিট আবেদন খারিজ, শুনানি চলবে প্রথমটির
- কারখানা বন্ধ, প্রতিবেদন নেই ৪ বছর; তবু শেয়ারদর দ্বিগুণ
- যে ১১ পেশায় যুক্ত হতে পারবে না এমপিও শিক্ষকরা
- পাঁচ ব্যাংকের আমানতকারীদের জন্য সুখবর: ডিসেম্বরের মধ্যেই টাকা ফেরতের নির্দেশ






.jpg&w=50&h=35)
.jpg&w=50&h=35)
.jpg&w=50&h=35)





