ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

বিদ্যুতের রেকর্ড উৎপাদনের পরেও লোডশেডিং

২০২৪ এপ্রিল ২৩ ০৯:২৩:২৫
বিদ্যুতের রেকর্ড উৎপাদনের পরেও লোডশেডিং

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। উৎপাদন বাড়লেও লোডশেডিং এড়াতে পারছে না বিদ্যুৎ বিভাগ। শহরে স্বস্তি থাকলেও গ্রামের ভোক্তারা ভোগান্তিতে পড়েছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ববাজারে দাম কম থাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস ও কয়লার সর্বোচ্চ ব্যবহারের ওপর জোর দিতে হবে। তবে বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী বলছেন, লোডশেডিং মোকাবেলায় অর্থের জোগানই প্রধান চ্যালেঞ্জ।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৯টায় দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছে। এসময় ১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে বলে জানায় বিদ্যুৎ বিভাগ।

দেশব্যাপী বিদ্যুতের চাহিদা ও যোগানের দায়িত্বে থাকা ন্যাশনাল লোড ডেসপাস সেন্টারের তথ্যমতে, গত শনিবার রাত ৯টায় দেশে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিলো ১৫ হাজার ৭৫০ মেগাওয়াট। ওই সময় উৎপাদন হয় ১৫ হাজার ৩৫৮ মেগাওয়াট। গত রোববার, একইসময় উৎপাদন বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ হাজার ৬৬৬ মেগাওয়াট। আর চাহিদা ছিলো ১৬ হাজার।

লোডশেডিং পর্যালোচনায় দেখা যায়, ওই দুইদিন চাহিদামত বিদ্যুৎ পাননি রংপুর, কুমিল্লা, ও ঢাকার কিছু এলাকার মানুষ। সবচেয়ে দুর্ভোগে ছিলেন ময়মনসিংহ এলাকার গ্রাহকরা।

চলতি সপ্তাহের প্রথম দুদিন, গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্রগুলো ৭ হাজার ৮৮৬ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ দিয়েছে। তরল জ্বালানি থেকে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৯৫৯ মেগাওয়াট আর কয়লা থেকে এসেছে ৪ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ। ভারতের আদানি থেকে আসে ১ হাজার ৪৭০ মেগাওয়াট পর্যন্ত।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘পাওয়ার প্ল্যান্টগুলোকে আমরা ফুললোডে চালাতে বলছি। কিন্তু এখানে বড় বিষয় হলো ফাইন্যান্স। গ্যাস আমাকে নিয়মিত দিতে হবে। আমি তো পাওয়ার প্ল্যান্ট নিয়ে বসে আছি। ১৮ হাজার ১৯ হাজার পর্যন্ত আমি দিতে পারব। কয়লাভিত্তিক পাওয়ার প্ল্যান্ট হাতে আছে। আমার মেইন সমস্যা হলো যে পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো চালু রাখা। তাদের ফাইন্যান্স সাপোর্ট দেওয়া। এটাই এখন আমার মেইন চ্যালেঞ্জ।’

গত ১২ দিনে বেসরকারি খাতের তরল জ্বালানির বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন দ্বিগুণ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব কেন্দ্রের উৎপাদন খরচ বেশি। তাই বেশি ব্যবহারে গ্রাহকের ওপর দামবৃদ্ধির চাপও বাড়বে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ইজাজ হোসেন বলেন, ‘আগে যে দামে কিনতে হয়েছে তার অর্ধেকের কাছাকাছি চলে এসেছে। সো, ওনারা যেন এইটুকু মনোযোগী হয় গ্যাসের সম্পূর্ণ যতটুকু আমরা ধারণ করতে পারি যেন আসে। একই ভাবে কয়লার দামও কম। সম্পূর্ন আমাদের যতগুলো পাওয়ার প্ল্যান্ট আছে কয়লা ভিত্তিক যেন ফুল ক্যাপাসিটিতে চালাতে পারি।’

সঞ্চালন লাইনের প্রস্তুতির অভাবে বাঁশখালীর এসএস পাওয়ার ও মাতারবাড়িতে কোল পাওয়ার কোম্পানির বিদ্যুৎকেন্দ্র সক্ষমতার অর্ধেক উৎপাদন করছে। সঞ্চালন লাইনের দুর্বলতাও লোডশেডিং এর জন্য দায়ী বলে মত বিশ্লেষকদের।

শেয়ারনিউজ, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে