ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫
Sharenews24

বন্ড তহবিলের ব্যবহার খতিয়ে দেখতে বিএসইসির তদন্ত কমিটি

২০২৫ আগস্ট ২৮ ১৯:৫৯:০১
বন্ড তহবিলের ব্যবহার খতিয়ে দেখতে বিএসইসির তদন্ত কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বেক্সিমকো গ্রুপের বন্ড থেকে সংগৃহীত অর্থের ব্যবহার নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। ২০২১ এবং ২০২৪ সালে কোম্পানিটি মোট ৪,৫০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। কমিশনের লক্ষ্য, এই বিপুল অর্থ সঠিক প্রকল্প ও খাতে ব্যবহৃত হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করা।

২০২১ সালে বেক্সিমকো ‘গ্রিন সুকুক বন্ড’ ইস্যু করে ৩,০০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। এই তহবিল তিস্তা ও করতোয়া সোলার প্রকল্পে বিনিয়োগের কথা ছিল, যার মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়ে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহের পরিকল্পনা ছিল।

পরবর্তীতে ২০২৪ সালে ‘আইএফআইসি গ্যারান্টিড শ্রীপুর টাউনশিপ জিরো কুপন বন্ড’ থেকে ১,৫০০ কোটি টাকা তোলা হয়। এটি মূলত আবাসন খাতে বিনিয়োগের জন্য নির্ধারিত ছিল। তবে এই দুই বন্ডের তহবিল যথাযথ খাতে ব্যবহার হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য বিএসইসি দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

বিএসইসির মুখপাত্র মো. আবুল কালাম সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, “আগে বন্ডের অনুমোদন প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখা হলেও তহবিল সঠিক খাতে ব্যবহার হয়েছে কিনা তা যাচাই করা হয়নি। এ কারণে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, যাতে কোনো অপব্যবহার হয়েছে কি না তা নিশ্চিত করা যায়।”

তদন্তের প্রথম কমিটি গ্রিন সুকুক বন্ডের ক্ষেত্রে ইস্যুকারী কোম্পানি, ট্রাস্টি (ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ) এবং অডিটর এম জে আবেদীন অ্যান্ড কোং-এর ভূমিকা খতিয়ে দেখবে। অন্যদিকে শ্রীপুর টাউনশিপ জিরো কুপন বন্ডের তহবিল নিয়ে তৈরি কমিটি, ট্রাস্টি সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং অডিটর এম জে আবেদীন অ্যান্ড কোং-এর কার্যক্রম পর্যালোচনা করবে।

সূত্র জানায়, শ্রীপুর টাউনশিপ প্রকল্পে তহবিল সংগ্রহের পরপরই পরিশোধিত মূলধনের একটি বড় অংশ সরিয়ে নেওয়া হয়। এছাড়া বেক্সিমকো গ্রিন সুকুক বন্ডের প্রায় ৭০ শতাংশ ব্যাংককে জোর করে কিনতে বাধ্য করার অভিযোগ রয়েছে।

বর্তমানে সুকুক বন্ডধারীরা সুদ পাচ্ছেন। তবে মূলধন ও বাকি সুদ পরিশোধ নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। এই বন্ডের মেয়াদ মূলত ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, পরিশোধের জটিলতার কারণে পাঁচ বছর বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে।

বিএসইসি এই তদন্তের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে চায় যে, বিনিয়োগকারীদের তহবিল সঠিক প্রকল্পে ব্যবহার হচ্ছে এবং শেয়ারবাজারে স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়টি কার্যকর হচ্ছে। তোহা/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে