ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
Sharenews24

ঈদ বোনাসের ইতিহাস

২০২৪ এপ্রিল ১০ ১৭:২৮:১৪
ঈদ বোনাসের ইতিহাস

লাইফস্টাইল ডেস্ক : বোনাস, যা উৎসব ভাতা নামেও পরিচিত, আজ আমাদের উৎসবের অন্যতম অবিচ্ছেদ্য অংশ। বর্তমানে প্রায় সব সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা বোনাস বা উৎসব ভাতা পান।

শুধু কি তাই, মোড়ের দোকানের কর্মচারী থেকে শুরু করে বাড়ির কাজের লোকটিকেও দিতে হয় বোনাস।

তবে এই বিপুল জনপ্রিয় বোনাস খুব বেশি দিন আগে চালু হয়নি। আজ যা উৎসবের অন্যতম অনুষঙ্গ তা দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও ছিল না। স্বাধীনতার প্রায় দেড় দশক পর ১৯৮৪ সালে বোনাস চালু হয়।

এই বোনাস কিভাবে এলো এ নিয়ে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেছেন জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া। তিনি বলেন, বোনাস চালু করেছেন হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ। পরে তা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।

তিনি বলেন, বোনাস চালু হয়েছে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাপোর্ট দেওয়ার জন্য। আগে এত মূল্যস্ফীতি ছিল না। দ্রব্যমূল্যের তুলনায় পে-স্কেলগুলো ভালো ছিল। কিন্তু কালক্রমে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যায়। এক সময় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার প্রয়োজন দেখা দিলো। সেই প্রয়োজন নানাভাবে মেটানো হয়েছে। এরমধ্যে একটি হচ্ছে বোনাস বা উৎসব ভাতা।

তিনি জানান, এরশাদ সরকারের সময় প্রথম দিকে হাফ বোনাস অর্থাৎ বেসিকের অর্ধেক বোনাস হিসেবে দেওয়া হতো। পরে তা ফুল বোনাস অর্থাৎ পুরো বেসিকটাই বোনাস হিসাবে পেতেন সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

ওই সময় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সঙ্গে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তাদের বোনাস ও শ্রান্তি বিনোদন ভাতায় একটু পার্থক্য ছিল। শ্রান্তি বিনোদন ভাতা তিন বছর পর পর পাওয়া যায়। কিন্তু যে বছর প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তারা শ্রান্তি বিনোদন ভাতা ওঠাতেন সে বছর তারা বোনাস পেতেন না।

কিন্তু তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা যে বছর শ্রান্তি বিনোদন ভাতা পেতেন সে বছর বোনাসও পেতেন। তবে এখন সে নিয়ম তুলে দেওয়া হয়েছে। এখন তিন বছরের মাথায় সব শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শান্তি বিনোদন ভাতা পান। আবার ধারাবাহিকভাবে বোনাসও পেয়ে থাকেন।

বোনাস চালুর আগে প্রজাতন্ত্রের কিছু কর্মচারীদের প্রয়োজনে তাদের আবেদনের ভিত্তিতে এক মাসের স্যালারি অ্যাডভান্স দেওয়া হতো। পরের বারো মাসে তা সমন্বয় করা হতো। বোনাস চালু হওয়ার পর স্যালারি অ্যাডভান্স বন্ধ হয়ে যায়।

ফিরোজ মিয়া বলেন, 'এখনো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিধি-বিধানে স্যালারি অ্যাডভান্সের বিষয়টি উল্লেখ আছে। কিন্তু বাস্তবে এর দেখা মেলা ভার।'

পাকিস্তান আমলে ষাটের দশকে শ্রমিকেরা প্রফিট বোনাস পেতেন বা তাদের ইনসেনটিভ দেওয়া হতো। কোম্পানি মুনাফা করলে এখনো তারা প্রফিট বোনাস পান। কিন্তু বোনাস অবধারিত। এখন বোনাস না পেলে শ্রমিকেরা রাস্তায় নেমে আসেন।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এক বছর কাজ করলে মূল বেতনের সমান বোনাস পাওয়া যায়। এখন এক বছরের কম সময়ে কাজ করলেও নির্দিষ্ট অনুপাতে বোনাস দিতে দেখা যায় বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে।

শেয়ারনিউজ, ১০ এপ্রিল ২০২৪

পাঠকের মতামত:

লাইফ স্টাইল এর সর্বশেষ খবর

লাইফ স্টাইল - এর সব খবর



রে