ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
Sharenews24

চাঁদরাতে ইবাদতের অনন্য মর্যাদা

২০২৪ এপ্রিল ০৯ ২২:৫৫:০৮
চাঁদরাতে ইবাদতের অনন্য মর্যাদা

লাইফস্টাইল ডেস্ক : পবিত্র রমজান পেরিয়ে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ঈদের রাত। চাঁদ রাত নামে পরিচিত এ রাতের ইবাদতের অনেক ফজিলত ও মর্যাদা রয়েছে। এই বরকতময় রাতকে সওয়াবের রাত বলা হয়। আল্লাহ তায়ালা এ রাতে বান্দাকে বিশেষ পুরস্কার দেন।

হাদিসে এসেছে, ঈদুল ফিতরের রাতে ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়।

হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (স.) বলেন, যে ব্যক্তি পাঁচটি রাত (ইবাদতের মাধ্যমে) জাগ্রত থাকবে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।

যিলহজ মাসের ৮ ও ৯ তারিখের রাত, ঈদুল আজহার রাত, ঈদুল ফিতরের রাত এবং ১৫ শাবানের রাত। (আত তারগিব ওয়াত তারহিব লিল মুনজেরি: ২/৯৮, হাদিস: ১৬৫৬)।

অন্য হাদিসে এসেছে, ঈদের রাতের দোয়া ফিরিয়ে দেয়া হয় না। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার রাত, রজব মাসের প্রথম রাত, অর্ধ শাবানের রাত এবং দুই ঈদের রাত—এই পাঁচ রাতে কোনো দোয়া করে; তার কোনো আবেদনই ফিরিয়ে দেয়া হয় না।’ (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক: ৭৯২৭)

ঈদের রাতে ইবাদতকারীর আরেকটি বিশেষ ফজিলত হলো- তার অন্তর কেয়ামতের দিন মরবে না।

হজরত আবু উমামা বাহেলি (রা.) বর্ণনা করেন, নবী (স.) বলেছেন, যে ব্যক্তি দুই ঈদের রাতে আল্লাহর কাছে সওয়াবপ্রাপ্তির নিয়তে ইবাদত করবে, তার হৃদয় সেদিনও জীবিত থাকবে, যেদিন সকল হৃদয়ের মৃত্যু ঘটবে। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৭৮২)।

হজরত উবাদা ইবনে সামেত (রা.) বর্ণিত অন্য হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহার রাতকে (ইবাদতের মাধ্যমে) জীবিত রাখবে তার অন্তর ওই দিন মরবে না, যেদিন অন্যদের অন্তর মরে যাবে। (আল মুজামুল আওসাত ১/৫৭, হাদিস: ১৫৯)।

তাই বরকতময় ঈদের রাত বা চাঁদরাতে অযথা কথা-কাজে লিপ্ত হওয়া, বাজারে-মার্কেটে ঘোরাঘুরি করার পরিবর্তে এশা এবং ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করা জরুরি। একই সঙ্গে অন্যান্য নেক আমল যেমন সাধ্যানুসারে নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আজকার, ইস্তেগফার ও দোয়া-মুনাজাতে মশগুল থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

শেয়ারনিউজ, ০৯ এপ্রিল ২০২৪

পাঠকের মতামত:

লাইফ স্টাইল এর সর্বশেষ খবর

লাইফ স্টাইল - এর সব খবর



রে