ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

এনবিআরের সাবেক কমিশনারের বিরুদ্ধে ১৫৩ কোটি টাকা ভ্যাট মওকুফের অভিযোগ

২০২৩ ডিসেম্বর ২১ ১১:৩৬:৫৫
এনবিআরের সাবেক কমিশনারের বিরুদ্ধে ১৫৩ কোটি টাকা ভ্যাট মওকুফের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : বৃহৎ করদাতা ইউনিট এলটিইউ ভ্যাটে বড় ধরনের অনিয়ম ধরা পড়েছে। চার মোবাইল অপারেটরের ১৫৩ কোটি টাকা ভ্যাট মওকুফের অভিযোগ উঠেছে এনবিআরের সাবেক কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে।

এ ঘটনা তদন্ত করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তিন সদস্যের কমিটি। কর্মকর্তারা জানান, ভ্যাট মওকুফের এখতিয়ার কমিশনারের নেই।

২০১৫–২০১৮ সালে চার মোবাইল অপারেটরের বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে ১৬টি মামলা করে এনবিআরের এলটিইউ ভ্যাট। এর মধ্যে বাংলালিংকের ৭ মামলায় ৮৪ কোটি, গ্রামীণফোনের ৬ মামলায় ৬৮ কোটি, রবি ও এয়ারটেলের বিরুদ্ধে ৩ মামলায় ৩৭ কোটি টাকা ফাঁকির অভিযোগ আনা হয়। ফাঁকি ও সুদসহ দাবি করা মোট অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৪২ কোটি টাকা।

দীর্ঘ সময় মামলা চলার পর ২০২১ সালে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিতে (এডিআর) রাজি হয় এলটিইউ ও কোম্পানিগুলো। যার সুরাহা হয় গত বছর। অভিযোগ স্বীকার করে ফাঁকির ১৮৯ কোটি টাকা পরিশোধ করে কোম্পানিগুলো। কিন্তু সুদ বাবদ ১৫৩ কোটি টাকা মওকুফ করে দেয় এলটিইউ ভ্যাট।

সম্প্রতি এনবিআর জানতে পারে, সাবেক এলটিইউ কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী বেআইনিভাবে সুদ মওকুফ করেছেন। ঘটনা তদন্তে চার ডিসেম্বর তিন সদস্যের কমিটি করে এনবিআর।

এনবিআরের সাবেক কমিশনার আব্দুল কাফি বলেন, যদি সুদ আরোপ হয়ে থাকে, তাহলে এটি এডিআরে মওকুফ হওয়ার কথা না। এডিআরের ক্ষমতা হচ্ছে মধ্যস্থতা করা, এখানে ক্ষমতা আরোপের কোনো বিষয় নেই। জরিমানা আরোপ করা, কোনো আদেশ দেওয়া, কোনো আইনের ব্যাখা করা এগুলো এডিআরের বাইরে।

কর্মকর্তারা জানান, অনিয়মের প্রমাণ মিললে মওকুফ করা টাকা আদায়ে কোম্পানিগুলোকে চিঠি দেওয়া হবে। পাশাপাশি জড়িত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে এনবিআর। এনবিআরের উদ্যোগে উদ্বিগ্ন মোবাইল অপারেটররা। যদিও তারা বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এডিআর ব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবসার পরিবেশ। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি রিজওয়ান রহমান বলেন, এডিআরের আইন তো সরকারই করেছে। যাতে হাজার হাজার মামলা দশক দশক ধরে আদালতে পড়ে না থাকে, নিষ্পত্তি হয়। কিন্তু এটি নিয়ে যদি আবার ঘাঁটাঘাটি করা হয়, এর অর্থ এই আইন মানা হচ্ছে না। তাহলে তো এডিআরের আইন দরকার নেই।

সম্প্রতি এডিআরে আরও কিছু মামলা নিষ্পত্তিতে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে এলটিইউ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।

শেয়ারনিউজ, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে