ঢাকা, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫
Sharenews24

ট্রাম্পের মাথার মূল্য ২১ মিলিয়ন ডলার!

২০২৫ জুলাই ০৮ ২২:৫৫:৪৪
ট্রাম্পের মাথার মূল্য ২১ মিলিয়ন ডলার!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজায় চলমান সংঘাত এবং ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার হুমকির প্রতিক্রিয়ায়, দুইজন জ্যেষ্ঠ ইরানি ধর্মগুরু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে হত্যা করা 'জায়েজ' বলে ফতোয়া জারি করেছেন। এই ফতোয়া ইরানে বেশ কয়েকজন ধর্মগুরুর সমর্থন পেয়েছে এবং অভিযোগ উঠেছে, এই ফতোয়াকে কেন্দ্র করে অনলাইনে অর্থ সংগ্রহও চলছে।

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে টানা ১২ দিনের যুদ্ধে খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনার কথা জানানোর পর ইরানিদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় ধর্মগুরুরা গাজায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ এবং ইসলামিক প্রজাতন্ত্রে আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুকে 'কাফের যোদ্ধা' আখ্যা দিয়েছেন।

সোমবার (০৭ জুলাই) ইরানের রাষ্ট্র-নিযুক্ত ১০ জন ধর্মীয় নেতা একটি খোলা চিঠি প্রকাশ করে ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুকে 'কাফের যোদ্ধা' হিসেবে উল্লেখ করেন। আজ মঙ্গলবার ইরান ইন্টারন্যাশনাল-এর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এছাড়াও, ইরানের পশ্চিম আজারবাইজান প্রদেশের এক সরকারি ধর্মযাজক আজেরি ভাষায় এক বক্তব্যে চাঞ্চল্যকর ঘোষণা দিয়েছেন: "যদি কেউ ট্রাম্পের মাথা এনে দেয়, তাহলে তাকে ১০০ বিলিয়ন তোমান (প্রায় ১.১৪ মিলিয়ন ডলার) পুরস্কার দেওয়া হবে।"

এদিকে, ইরানের একটি ওয়েবসাইট 'থারডটআইআর'-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তারা ট্রাম্পকে হত্যার জন্য প্রকাশ্যে তহবিল সংগ্রহ করছে। সাইটটিতে সম্প্রতি দেখা গেছে, ২১ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অনুদান সংগ্রহ করা হয়েছে, যদিও এই ছবির সত্যতা এখনো নিশ্চিতভাবে যাচাই করা যায়নি।

এর আগে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার ঘনিষ্ঠ এক কট্টর ধর্মগুরু আলিরেজা পানাহিয়ান ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে খামেনির জীবনের ওপর হুমকির প্রতিশোধ নিতে মুসলমানদের ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে হত্যার আহ্বান জানান। পানাহিয়ান সম্প্রতি একটি ধর্মীয় ফতোয়া উদ্ধৃত করে বলেছেন, যারা ইরানের সর্বোচ্চ নেতার বিরুদ্ধে হুমকি দেয়, তারা 'মোহারেব' বা 'আল্লাহর শত্রু' হিসেবে গণ্য হবে।

শীর্ষ দুই ইরানি ধর্মগুরু আয়াতুল্লাহ নাসের মাকারেম শিরাজি ও আয়াতুল্লাহ হোসেইন নুরি হামেদানিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আলাদা ফতোয়া জারি করেন। শিরাজি বলেন, "যে-কেউ ইসলামী উম্মাহর নেতাদের হুমকি দেয় এবং সে হুমকি বাস্তবায়নের চেষ্টা করে, সে মোহারেব হিসেবে বিবেচিত হবে।"

সোমবার ইরানের খোরাসান প্রদেশে সর্বোচ্চ নেতার প্রতিনিধি আহমেদ আলমোলহোদা এই ফতোয়াগুলোর সমর্থনে বলেন, "যারা খামেনিকে অপমান করে, তারা ধর্মত্যাগী ও আল্লাহর শত্রু। এদের এমনভাবে চিহ্নিত করা ইসলামী প্রজাতন্ত্র ও বিপ্লবকে আরও শক্তিশালী করবে।"

এই প্রসঙ্গে ১৯৮৯ সালের বিখ্যাত ফতোয়ার কথাও মনে করিয়ে দিচ্ছে অনেককে, যখন ইরানের তৎকালীন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি ব্রিটিশ লেখক সালমান রুশদির বিরুদ্ধে 'দ্য স্যাটানিক ভার্সেস' বই লেখার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডের ফতোয়া জারি করেছিলেন। সেই ঘটনার দীর্ঘদিন পর ২০২২ সালে রুশদির ওপর নিউ ইয়র্কে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে এবং তিনি এক চোখ হারান।

এছাড়াও, ইরানের পশ্চিম আজারবাইজান প্রদেশের এক সরকারি ধর্মযাজক আজেরি ভাষায় এক বক্তব্যে চাঞ্চল্যকর ঘোষণা দিয়েছেন: "যদি কেউ ট্রাম্পের মাথা এনে দেয়, তাহলে তাকে ১০০ বিলিয়ন তোমান (প্রায় ১.১৪ মিলিয়ন ডলার) পুরস্কার দেওয়া হবে।"

এদিকে, ইরানের একটি ওয়েবসাইট 'থারডটআইআর'-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তারা ট্রাম্পকে হত্যার জন্য প্রকাশ্যে তহবিল সংগ্রহ করছে। সাইটটিতে সম্প্রতি দেখা গেছে, ২১ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অনুদান সংগ্রহ করা হয়েছে, যদিও এই ছবির সত্যতা এখনো নিশ্চিতভাবে যাচাই করা যায়নি।

মিরাজ/

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে