ঢাকা, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫
Sharenews24

১১৩ সিসি ক্যামেরার ‘বিশেষ কারাগারে’ আনিসুল-সালমানদের নতুন ঠিকানা

২০২৫ জুলাই ০৮ ২৩:০৬:২৪
১১৩ সিসি ক্যামেরার ‘বিশেষ কারাগারে’ আনিসুল-সালমানদের নতুন ঠিকানা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আলোচিত রাজনৈতিক নেতা, মন্ত্রী-এমপি এবং তাদের দোসর পুলিশ কর্মকর্তাদের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) থেকে আলাদা করে একটি 'বিশেষ কেন্দ্রীয় কারাগারে' রাখার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই কারাগারটি ১১৩টি ক্লোজসার্কিট (সিসি) ক্যামেরার নজরদারিতে কড়া নিরাপত্তা বলয়ে রয়েছে, যা দেশের কারা ব্যবস্থাপনায় একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে।

গত জুন মাসের শেষের দিকে দুই দফায় এবং জুলাইয়ের প্রথম দিকে তৃতীয় ধাপে আওয়ামী লীগ ও তাদের অনুগত বন্দীদের এই বিশেষ কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়েছে। এই পর্যন্ত ৪৮ জন রাজনৈতিক বন্দীকে সেখানে রাখা হয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দমনের মামলায় আরও প্রায় দুইশ রাজনৈতিক বন্দীকে এই বিশেষ কারাগারে স্থানান্তরিত করা হবে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, এই কারাগারটি পাঁচ বছর আগে তৈরি হলেও এতদিন ধরে সেখানে কোনো বন্দী রাখা হয়নি। বর্তমানে সেখানে যাদের নেওয়া হয়েছে, তাদের অধিকাংশই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে (কেরানীগঞ্জ) ছিলেন। ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন কারাগারে থাকা অনুরূপ বন্দীদেরও পর্যায়ক্রমে সেখানে নিয়ে রাখা হবে।

কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশেই সম্পূর্ণ আলাদাভাবে বাউন্ডারি ঘিরে নারী বন্দীদের জন্য এই কারাগারটি তৈরি হয়েছিল, যা এখন বিশেষ কারাগার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। নতুন জেল সুপার এবং জেলার দায়িত্ব গ্রহণের পর তাদের উদ্যোগেই সব প্রস্তুতি শেষে রাজনৈতিক বন্দীদের স্থানান্তর কার্যক্রম শুরু হয়। কারা সূত্র জানায়, এই বিশেষ কেন্দ্রীয় কারাগারের ধারণক্ষমতা প্রায় তিনশ বন্দী। বর্তমানে এখানে সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত কয়েদিসহ মোট ৯৫ জন বন্দী আছেন। এর মধ্যে ৪৮ জন বিশেষ বন্দী (আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও তাদের দোসর কর্মকর্তারা) এবং বাকিরা সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত, যাদের কারাগারের ভেতরে কাজকর্মের জন্য নেওয়া হয়েছে।

এই বিশেষ কারাগারে আরও দুইশ বিশেষ বন্দীকে রাখার কাজ চলমান রয়েছে। বর্তমানে বিশেষ বন্দীদের একটি রুমে চারজন করে রাখা হচ্ছে। এই বিশেষ কেন্দ্রীয় কারাগারটি ১১৩টি সিসি ক্যামেরা দ্বারা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। কারা কর্মকর্তাদের পাশাপাশি পর্যাপ্ত নিরাপত্তার জন্য শিফটিং ভিত্তিতে ২৪ ঘণ্টা কারারক্ষীরা ডিউটিতে থাকেন।

মারুফ/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে