ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

খেলাপি ঋণ আদায়ের শীর্ষে রূপালী ব্যাংক

২০২৩ নভেম্বর ২৩ ০৭:১৫:৫৮
খেলাপি ঋণ আদায়ের শীর্ষে রূপালী ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের শীর্ষ ২০ ঋণ খেলাপির কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো। তাদের কাছে ব্যাংকগুলোর পাওনার পরিমাণ দিন দিন বাড়লেও নগদ আদায় হচ্ছে নামমাত্র।

এছাড়া অবলোপন (রাইট অব) করে হিসাবের খাতা থেকে যেসব খেলাপি ঋণ আলাদা করা হয়েছে, সেগুলো থেকেও নগদ আদায়ে নাজুক পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জুনভিত্তিক আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় রাষ্ট্রায়ত্ত ৪ ব্যাংকে এমন চিত্র দেখা যায়।

তবে খেলাপি ঋণ আদায়সহ প্রায় সকল সূচকে বেশ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংক। যেখানে শীর্ষ ২০ খেলাপি থেকে সোনালী, জনতা ও অগ্রণী ব্যাংকের আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার সিঙ্গেল ডিজিট পার করতে পারেনি সেখানে রূপালী ব্যাংকের বেধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রার ১৯ শতাংশ আদায় করেছে।

এছাড়াও ছোট ও মাঝারি খেলাপি ঋণ হতে রূপালী ব্যাংকের আদায়ের হার ৪৭ শতাংশ যা ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। সব দিক থেকে পারফরমেন্সে এগিয়ে রয়েছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকটি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে খেলাপি ঋণ আদায়ে ব্যাংকগুলোকে কঠোর হতে তাগাদা দিয়ে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রত্যেক বছরই খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। বড় ঋণ খেলাপির কাছে অসহায় ব্যাংকগুলো। তবে ছোট খেলাপি ঋণগুলোর আদায়ের হার অনেক ভালো। রাষ্ট্রায়ত্ত ৪ ব্যাংকে নিয়ে করা বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এমন চিত্রই ফুটে উঠেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২৩ সালের জুনভিত্তিক প্রতিবেদনে বলা হয়, রূপালী ব্যাংকের আদায় সব থেকে ভালো হয়েছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর শেষে শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপির কাছে ব্যাংকটির পাওনা ৩ হাজার ৫৪৪ কোটি টাকা। নগদ আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩৩৫ কোটি, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত আদায় করেছে ৬৫ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার ১৯ শতাংশ।

একইভাবে অন্যান্য খেলাপির কাছে পাওনা ছিল ৫ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৭০ কোটি টাকা আদায় হয়েছে ২৬৮ কোটি টাকা যা লক্ষ্যমাত্রার ৪৭ শতাংশ এবং ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের শীর্ষ ২০ ঋণ খেলাপির কাছে পাওনা ৮ হাজার ৭৩৯ কোটি টাকা। চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন পর্যন্ত নগদ আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৭০ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে মাত্র ১৬ কোটি টাকা যা লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ২ শতাংশ। বিপরীতে অন্যান্য খেলাপি থেকে ব্যাংকটির পাওনা ৬ হাজার ৪৫৯ কোটি টাকা। আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৬৪৫ কোটি টাকা। আদায় ১১০ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যের ১৭ শতাংশ।

রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের শীর্ষ ২০ ঋণ খেলাপির কাছে পাওনা ৬ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা। ৬ মাসে নগদ আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৮৫ কোটি টাকা। খেলাপিরা দিয়েছেন মাত্র ১২ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার ২ শতাংশ। বিপরীতে অন্যান্য খেলাপি থেকে ব্যাংকটির পাওনা ৮ হাজার ৫৪৬ কোটি টাকা। আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫০ কোটি টাকা। আদায় ২০২ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যের ২৪ শতাংশ।

শীর্ষ ২০ খেলাপি থেকে সোনালী ব্যাংকের পাওনা ছিল ৪ হাজার ২৮৪ কোটি টাকা। আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩০০ কোটি, আদায় করেছে ২৬ কোটি, যা লক্ষ্যমাত্রার ৯ শতাংশ। বিপরীতে অন্যান্য খেলাপি থেকে পাওনা ছিল ৮ হাজার ২৭০ কোটি টাকা। আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৭০০ কোটি। আদায় ২৫১ কোটি, যা লক্ষ্যমাত্রার ৩৬ শতাংশ।

শেয়ারনিউজ, ২৩ নভেম্বর ২০২৩

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে