ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
Sharenews24

২০১২ সালে গ্রামটির সবাই ঘুমিয়েছে টানা ৬ দিন

২০২৩ অক্টোবর ১৮ ১৮:২৩:৪১
২০১২ সালে গ্রামটির সবাই ঘুমিয়েছে টানা ৬ দিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গ্রামের অনেক মানুষ অদ্ভুত আচরণ করছিল। কারো কারো আবার ঘুমই ভাঙছিল না। তাই চোখের সামনে অদ্ভুত সব ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখতে পাচ্ছিলেন।

এভাবে তিন বছর কেটে গেল। এরপর ওই গ্রামের বাসিন্দাদের আচরণ সারা বিশ্বের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। টানা তিন বছর এভাবে কাটানোর পর জানা গেল তার অদ্ভুত আচরণের কারণ। শহরটি কাজাখস্তানের বলে জানা যায়। ছোট শহরটির নাম কালাচি। গ্রামের শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই এই উপসর্গ গিয়েছিল।

২০১২ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ঘটনাটি ঘটেছিল। গ্রামের ১৬০ জন বাসিন্দা অদ্ভুত রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন। কারো কারো ঘুমই ভাঙছিল না। এমনও হয়েছে যে টানা ৬ দিন ঘুমিয়েছে কেউ কেউ। তারপর যখন ঘুম ভেঙেছে তাদের যৌন চাহিদা অত্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল।

আবার কারো চোখের সামনে সারাক্ষণ অদ্ভুত সব দৃশ্য ঘুরে বেড়াত। কখনো বিছানার মধ্যে বিষধর সাপ দেখতে পেতেন, তো কখনো ঘোড়া উড়ে যেতে দেখতে পেতেন কেউ কেউ। এছাড়া খাবারে অনীহা, মাথা ঘোরানোসহ নানা শারীরিক দুর্বলতা ছিল তাদের মধ্যে।

২০১৪ সালে প্রথম এ নিয়ে সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। সেই প্রতিবেদন সারাবিশ্বের নজর কাড়ে। এরপর ওই গ্রামের অসুস্থদের নিয়ে গবেষণা শুরু হয়।

এই রোগের নাম দেওয়া হয় ‘স্লিপি হলো’। রোগের কারণ নিয়ে নানা মতবাদ সামনে আসতে থাকে। পরবর্তীতে এর প্রকৃত কারণ জানা যায়। বিশেষজ্ঞরা জানান, গ্রামটির কাছেই ছিল ইউরেনিয়ামের খনি। খনির বিষাক্ত পদার্থ মিশে পানি দূষণের ফলে এমন ঘটনা ঘটেছে।

২০১৫ সালে কাজাখস্তানের প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। তাতে কারণ হিসেবে বলা হয়, বাতাসে কার্বন মনো-অক্সাইডের অতিমাত্রা এর কারণ।

পরীক্ষায় দেখা যায়, বাতাসে স্বাভাবিক পরিমাণের তুলনায় ১০ গুণ বেশি ছিল কার্বন মনো-অক্সাইডের পরিমাণ। এই রিপোর্ট সামনে আসার পরই এই গ্রাম থেকে বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এখন ওই গ্রামে ১২০টি পরিবারের বাস। তারা সকলেই পুরোপুরি সুস্থ আছেন।

শেয়ারনিউজ, ১৮ অক্টোবর ২০২৩

পাঠকের মতামত:

লাইফ স্টাইল এর সর্বশেষ খবর

লাইফ স্টাইল - এর সব খবর



রে