ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
Sharenews24

সুস্থ থাকতে আজই বাদ দিন এই বদ অভ্যাসগুলো

২০২৩ সেপ্টেম্বর ০৬ ১৮:৪৬:০২
সুস্থ থাকতে আজই বাদ দিন এই বদ অভ্যাসগুলো

লাইফস্টাইল ডেস্ক : আমরা আমাদের দৈনন্দিন বদ অভ্যাস সম্পর্কে সচেতন নই। কিন্তু খারাপ অভ্যাস আমাদের উৎপাদনশীলতা ও সৃজনশীলতাকে ধ্বংস করে। এটি আমাদের মস্তিষ্ককে ধীর করে দেয়। ফলে আমরা স্বাভাবিক কাজকর্মে পিছিয়ে থাকি, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। আমরা প্রতিদিন সেই খারাপ অভ্যাসগুলির অনেকগুলি অনুশীলন করি। এখানে কযেকটি খারাপ অভ্যাসের ক্ষতিকর প্রভাব তুলে ধরা হলো-

খিদে না থাকা সত্বেও খাওয়া- আমরা প্রায়ই কিছু না কিছু খেতে থাকি। এমনকি চিপস এবং চকোলেটের মতো খাবার যা আমরা ক্ষুধার্ত না থাকা সত্ত্বেও খেতে থাকি। এর কারণ হল আমাদের শরীরের স্বাভাবিক ক্ষুধা এবং তৃপ্তির ভারসাম্য না থাকলে আমরা অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা রাখি। এটি ওজন বৃদ্ধি, হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের মতো স্বাস্থ্য সমস্যাগুলির দিকে পরিচালিত করে। ক্ষুধা ছাড়া খাওয়ার অভ্যাস ভাঙা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

ঘুমানোর সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করা- গবেষণায় দেখা গেছে যে ডিজিটাল স্ক্রিন থেকে নির্গত নীল এবং সাদা আলোর দিকে তাকানো আপনার মস্তিষ্কে মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণকে বাধা দিতে পারে। এই হরমোনটি আপনার শরীরকে বলে দেয় কখন ঘুমানোর সময়। মেলাটোনিন হরমোন নিঃসৃত না হলে আপনি ঘুমাতে পারবেন না বা ভালোভাবে ঘুমাতে পারবেন না। তাই রাত জাগার অভ্যাস তৈরি হয়। এ কারণে সারাদিন ক্লান্ত হয়ে যায়। ক্লান্ত শরীরে আপনি যাইহোক সৃজনশীলভাবে চিন্তা করতে পারবেন না। এটি আপনার উত্পাদনশীলতা হ্রাস করে। ঘুমের আগে যতটা সম্ভব ফোন থেকে দূরে থাকুন।

অভিযোগ করা- বিজ্ঞান বলছে, নেতিবাচকতা প্রকাশ করার প্রবণতা আমাদেরকে শুধুমাত্র ভালো বোধ করায় না বরং মানুষকে আরও খারাপ বোধ করায়। তার চেয়ে বেশি কষ্টকর হলো ক্রমাগত অভিযোগ করা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে, যা আমাদের আরও চাপে ফেলে দেয়। আক্ষরিক অর্থে অভিযোগ ব্যক্তিকে ধ্বংস করে দেয়। তাই আমাদের মানুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার প্রবণতা কমাতে হবে।

সংগঠিত না থাকা- কর্মক্ষেত্র হোক বা পারিবারিক জীবন, সুসংগঠিত থাকা না থাকার ওপরেই সফলতা নির্ভর করে। অব্যবস্থাপনা পেশাদার সাফল্য আটকে রাখে। পাশাপশি ব্যক্তির উৎপানশীলতা হ্রাস করে। অগোছালো থাকা মানে আপনার প্রতিদিনকার কাজে অযথা অনেক সময় ব্যয় হওয়া। তাই প্রতিটা কাজে সুসংগঠিত থাকার অভ্যাস করুন।

সঞ্চয়ের পরিকল্পনা না রাখা- আমাদের প্রতিদিনের রুটিনে আমরা ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করতে ভুলে যাই। আমাদের দৈনন্দিন খরচের পাশাপাশি আমাদের সঞ্চয় সম্পর্কেও সচেতন হওয়া উচিত। সঞ্চয় করার অভ্যাস আমাদের ভবিষ্যতের সংকটময় পরিস্থিতি থেকে নিরাপদ থাকতে সাহায্য করবে। সঞ্চয় অভ্যাসকে এক বাক্যে জীবন বাঁচানোর অভ্যাস বলা যেতে পারে।

ঋণগ্রস্ত থাকা- ঋণগ্রস্ততা বরাবরই মানসিক চাপে থাকার অন্যতম প্রধান কারণ। কেননা আর্থিক চাপে থাকা আপনাকে মানসিক চাপের দিকে উদ্বুদ্ধ করে। এর ফলে স্বাস্থ্যঝঁকিও বেড়ে যায়। গবেষণা বলছে, উদ্বেগের কারণে উচ্চ রক্তচাপ, আলসার, হজমের সমস্যা, মাথাব্যথা, বিষণ্নতা এবং পেশীতে টান বা পিঠের নিচে ব্যথাও হতে পারে। তাই ঋণমুক্ত থাকার অভ্যাস করা আমাদের শারীরিক ও মানসিক উভয় স্বাস্থ্যের জন্যই কল্যাণকর।

ধূমপান করা- ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাবের ব্যাপারে এখন প্রায় সবাই সচেতন। ধূমপানের ফলে ক্যান্সার, দীর্ঘমেয়াদী শ্বাসতন্ত্রের অসুখ এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করা বেশ কঠিন হলেও এটা থেকে সরে আসার অভ্যাস করা উচিত।

অজুহাত দেওয়া- আমাদের জীবনে অনেক মুহূর্ত আসে যখন আমরা ব্যর্থ হই। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো যাচ্ছে না। কারণ হিসেবে 'অজুহাত' বলছেন বিশ্লেষকরা। আমরা সবসময় অজুহাত বা এড়াতে চাই। এই কারণেই বেশিরভাগ সময় আমরা কর্মক্ষেত্রে বা কোনো ক্ষেত্রে সফল হতে পারি না। নিজের দোষ না ভেবে অজুহাত তৈরিতে ব্যস্ত আছি। অজুহাত দেখানোর অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করা উচিত।

শেয়ারনিউজ, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

পাঠকের মতামত:

লাইফ স্টাইল এর সর্বশেষ খবর

লাইফ স্টাইল - এর সব খবর



রে