সুস্থ থাকতে আজই বাদ দিন এই বদ অভ্যাসগুলো

লাইফস্টাইল ডেস্ক : আমরা আমাদের দৈনন্দিন বদ অভ্যাস সম্পর্কে সচেতন নই। কিন্তু খারাপ অভ্যাস আমাদের উৎপাদনশীলতা ও সৃজনশীলতাকে ধ্বংস করে। এটি আমাদের মস্তিষ্ককে ধীর করে দেয়। ফলে আমরা স্বাভাবিক কাজকর্মে পিছিয়ে থাকি, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। আমরা প্রতিদিন সেই খারাপ অভ্যাসগুলির অনেকগুলি অনুশীলন করি। এখানে কযেকটি খারাপ অভ্যাসের ক্ষতিকর প্রভাব তুলে ধরা হলো-
খিদে না থাকা সত্বেও খাওয়া- আমরা প্রায়ই কিছু না কিছু খেতে থাকি। এমনকি চিপস এবং চকোলেটের মতো খাবার যা আমরা ক্ষুধার্ত না থাকা সত্ত্বেও খেতে থাকি। এর কারণ হল আমাদের শরীরের স্বাভাবিক ক্ষুধা এবং তৃপ্তির ভারসাম্য না থাকলে আমরা অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা রাখি। এটি ওজন বৃদ্ধি, হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের মতো স্বাস্থ্য সমস্যাগুলির দিকে পরিচালিত করে। ক্ষুধা ছাড়া খাওয়ার অভ্যাস ভাঙা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
ঘুমানোর সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করা- গবেষণায় দেখা গেছে যে ডিজিটাল স্ক্রিন থেকে নির্গত নীল এবং সাদা আলোর দিকে তাকানো আপনার মস্তিষ্কে মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণকে বাধা দিতে পারে। এই হরমোনটি আপনার শরীরকে বলে দেয় কখন ঘুমানোর সময়। মেলাটোনিন হরমোন নিঃসৃত না হলে আপনি ঘুমাতে পারবেন না বা ভালোভাবে ঘুমাতে পারবেন না। তাই রাত জাগার অভ্যাস তৈরি হয়। এ কারণে সারাদিন ক্লান্ত হয়ে যায়। ক্লান্ত শরীরে আপনি যাইহোক সৃজনশীলভাবে চিন্তা করতে পারবেন না। এটি আপনার উত্পাদনশীলতা হ্রাস করে। ঘুমের আগে যতটা সম্ভব ফোন থেকে দূরে থাকুন।
অভিযোগ করা- বিজ্ঞান বলছে, নেতিবাচকতা প্রকাশ করার প্রবণতা আমাদেরকে শুধুমাত্র ভালো বোধ করায় না বরং মানুষকে আরও খারাপ বোধ করায়। তার চেয়ে বেশি কষ্টকর হলো ক্রমাগত অভিযোগ করা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে, যা আমাদের আরও চাপে ফেলে দেয়। আক্ষরিক অর্থে অভিযোগ ব্যক্তিকে ধ্বংস করে দেয়। তাই আমাদের মানুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার প্রবণতা কমাতে হবে।
সংগঠিত না থাকা- কর্মক্ষেত্র হোক বা পারিবারিক জীবন, সুসংগঠিত থাকা না থাকার ওপরেই সফলতা নির্ভর করে। অব্যবস্থাপনা পেশাদার সাফল্য আটকে রাখে। পাশাপশি ব্যক্তির উৎপানশীলতা হ্রাস করে। অগোছালো থাকা মানে আপনার প্রতিদিনকার কাজে অযথা অনেক সময় ব্যয় হওয়া। তাই প্রতিটা কাজে সুসংগঠিত থাকার অভ্যাস করুন।
সঞ্চয়ের পরিকল্পনা না রাখা- আমাদের প্রতিদিনের রুটিনে আমরা ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করতে ভুলে যাই। আমাদের দৈনন্দিন খরচের পাশাপাশি আমাদের সঞ্চয় সম্পর্কেও সচেতন হওয়া উচিত। সঞ্চয় করার অভ্যাস আমাদের ভবিষ্যতের সংকটময় পরিস্থিতি থেকে নিরাপদ থাকতে সাহায্য করবে। সঞ্চয় অভ্যাসকে এক বাক্যে জীবন বাঁচানোর অভ্যাস বলা যেতে পারে।
ঋণগ্রস্ত থাকা- ঋণগ্রস্ততা বরাবরই মানসিক চাপে থাকার অন্যতম প্রধান কারণ। কেননা আর্থিক চাপে থাকা আপনাকে মানসিক চাপের দিকে উদ্বুদ্ধ করে। এর ফলে স্বাস্থ্যঝঁকিও বেড়ে যায়। গবেষণা বলছে, উদ্বেগের কারণে উচ্চ রক্তচাপ, আলসার, হজমের সমস্যা, মাথাব্যথা, বিষণ্নতা এবং পেশীতে টান বা পিঠের নিচে ব্যথাও হতে পারে। তাই ঋণমুক্ত থাকার অভ্যাস করা আমাদের শারীরিক ও মানসিক উভয় স্বাস্থ্যের জন্যই কল্যাণকর।
ধূমপান করা- ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাবের ব্যাপারে এখন প্রায় সবাই সচেতন। ধূমপানের ফলে ক্যান্সার, দীর্ঘমেয়াদী শ্বাসতন্ত্রের অসুখ এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করা বেশ কঠিন হলেও এটা থেকে সরে আসার অভ্যাস করা উচিত।
অজুহাত দেওয়া- আমাদের জীবনে অনেক মুহূর্ত আসে যখন আমরা ব্যর্থ হই। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো যাচ্ছে না। কারণ হিসেবে 'অজুহাত' বলছেন বিশ্লেষকরা। আমরা সবসময় অজুহাত বা এড়াতে চাই। এই কারণেই বেশিরভাগ সময় আমরা কর্মক্ষেত্রে বা কোনো ক্ষেত্রে সফল হতে পারি না। নিজের দোষ না ভেবে অজুহাত তৈরিতে ব্যস্ত আছি। অজুহাত দেখানোর অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করা উচিত।
শেয়ারনিউজ, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
পাঠকের মতামত:
- জার্মানি নাগরিকত্ব আইনে বড় পরিবর্তন
- ‘মার্চ ফর গাজা’র ঘোষণাপত্র পাঠ করলেন মাহমুদুর রহমান
- মার্কেট লিডারে নতুন দুই কোম্পানির আগমন
- ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা চেয়ে আজহারীর স্লোগান
- পাকিস্তানে ৫.৫ মাত্রার ভূমিকম্প
- তিন বছরে সর্বনিম্নে ডলারের মান
- দেশে ফিরেই মিরপুরে চলে গেলেন তামিম
- তাপমাত্রা নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা
- ড. ইউনূসকে ৫ বছর ক্ষমতায় চেয়ে চিঠি
- সম্পর্ক না থাকলেও বাংলাদেশ থেকে ইসরায়েলে রপ্তানি হচ্ছে পণ্য
- নতুন করে যে নির্দেশনা দিল ডিএমপি
- রাজধানীর সব পথ মিলেছে এক মোহনায়
- ‘চাচা, শেখ হাসিনা কোথায়’
- ৫৪ বছর পর পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায়
- দুই কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের সন্তুষ্টি
- বিশ্ব বাজারে পোশাক রফতানি নিয়ে নতুন সংকট
- ভারতীয় নাগরিক ও চার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
- বড় ভূমিকম্পের ‘শঙ্কা’, ঝুকিতে ঢাকা
- সাকিবের বিচার এই দেশের মাটিতেই হবে: আমিনুল
- হাসিনার মোটিফে আগুন যা বলছে ফায়ার সার্ভিস
- গুলশানের বিতর্কিত ফ্ল্যাটের চাঞ্চল্যকর তথ্য
- কলকাতা-লন্ডনে সাবেক মন্ত্রীদের ‘গোপন ঠিকানা’ ফাঁস
- ভুলেও ফ্রিজে রাখবেন না যে ফল
- শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ণ ১৬ সংবাদ
- ‘সুন্দর গোসল চাই’ এই দাবিতে ট্রাম্পের নতুন ঘোষণা
- ফাঁস হলো ওবায়দুল কাদেরের কলকাতার ঠিকানা
- পাগলা মসজিদে রেকর্ড পরিমাণ দান
- ১২ এপ্রিল বাংলাদেশি টাকায় বিভিন্ন দেশের আজকের টাকার রেট
- হাসিনা নন, মোদির ‘গুরু’ এখন ড. ইউনূস
- যুদ্ধ বন্ধের জন্য এক হাজার ইসরাইলি বিমান সেনার চিঠি
- ৬ মাসের মধ্যে বিদেশে পাচার করা সম্পদ জব্দ করা হবে
- ইস্টার্ন হাউজিংকে সরকারি জমি দিতে টিউলিফের জালিয়াতির প্রমাণ
- দেশে আরও একটি নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ
- অবশেষে দেখা মিলল ওবায়দুল কাদেরের
- রংধনু গ্রুপের সাইফুলসহ তিনজন কারাগারে
- গাজার কান্না ছাপিয়ে সৌদিতে রাতভর ডিজে পার্টি!
- নিজের পোস্ট নিয়ে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদকের ব্যাখ্যা
- ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত
- ‘হালারপো হালারে পিডা’
- এসএসসির প্রশ্নে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন
- বয়স ৪০ হলেও সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ
- চারুকলায় যেভাবে সাজানো হচ্ছে হাসিনাকে
- পাঁচটি দেশে হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের গোপন সম্পদের সন্ধান
- এবার ক্ষমা চাইলেন সেই ছাত্রদল নেত্রী
- মেয়ের হবু স্বামীর সঙ্গে পালালেন মা
- ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি ঘিরে আহমাদুল্লাহর ৫ নির্দেশনা
- আইপিডিসি ফাইন্যান্সে জনবল নিয়োগ
- মিয়ানমারে ফের ভূমিকম্পের আঘাত
- মডেল মেঘনাকে নিয়ে যা জানাল ডিএমপি
- ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র নতুন নাম ঘোষণা
- তাপসের সন্ধান দিলেন ডিবি হারুন
- একই দিনে বাংলাদেশ ও ভারতে নিষেধাজ্ঞা
- শেখ হাসিনা প্রত্যর্পণে নতুন মোড়
- স্টারলিংক আসছে বাংলাদেশে: মাসিক খরচ এবং সুবিধাগুলো
- শেখ হাসিনার দেশে ফেরা নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে চাঞ্চল্য
- ভারতীয় মিডিয়ায় শেখ হাসিনার অবস্থান নিয়ে নতুন আলোচনা
- শিক্ষক নিয়োগে নতুন নিয়ম নিয়ে আসছে
- ঘুম ভেঙেছে তিন ‘বনেদী শেয়ারের’
- ইন্টারপোলের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর উদ্যোগ
- ইসারায়েলি পণ্য চেনার উপায়
- টিসিবি কার্ডধারীদের জন্য সুখবর
- তিন সন্তানের জননীর অবাক করা কাণ্ড
- ১ মিনিটে তামান্নার জামিন নিয়ে আদালতে হইচই
- পাঁচ কোম্পানির উদ্যেক্তা পরিচালকদের শেয়ার বিক্রির ধুম
- ১২ এপ্রিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যা ঘটবে জানালেন আহমাদুল্লাহ