ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

দেশে চালু হবে দুই ‘স্মার্ট হাইওয়ে

২০২৩ সেপ্টেম্বর ০৩ ১৪:০৫:২৮
দেশে চালু হবে দুই ‘স্মার্ট হাইওয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী ডিসেম্বরে দেশের প্রথম স্মার্ট হাইওয়ে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করা হবে আশা করা হচ্ছে।

দ্বিতীয় স্মার্ট হাইওয়ে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে চালু হবে। যে এক্সপ্রেসওয়েটি জয়দেবপুরকে রংপুরের সাথে সংযুক্ত করবে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, উভয় মহাসড়কই ‘ইন্টেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম (আইটিএস) যুক্ত করে তৈরি করা হচ্ছে, যাতে যানবাহন শনাক্তকরণ ব্যবস্থা, নজরদারি ক্যামেরা, স্বয়ংক্রিয় নম্বর প্লেট শনাক্তকরণ ক্যামেরা, গতি শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া এবং পরিবর্তনশীল মেসেজিং সাইন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এম তানভীর সিদ্দিক বলেন, ৩৮ কিলোমিটার ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে হবে প্রথম স্মার্ট হাইওয়ে যেখানে পাইলট প্রকল্প হিসেবে চলতি বছরের ডিসেম্বরে আইটিএস সম্পূর্ণভাবে ইনস্টল করা হবে।

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক সিদ্দিক বলেন, ১২৬ কোটি টাকার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ার কোইকার (কেওআইসিএ) সহায়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

সওজ কর্মকর্তারা জানান, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)-এর ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তায় ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ২৫০ কিলোমিটার জয়দেবপুর-রংপুর মহাসড়কে প্রযুক্তিটি চালু করার কাজ চলছে।

সরকার সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে গতি ও ওজন সীমা অতিক্রমকারী যানবাহন শনাক্ত করার প্রযুক্তি চালু করেছে, যা লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যথাযথ প্রমাণ দেবে এবং কর্তৃপক্ষকে উন্নত দেশগুলির সাথে সামঞ্জস্য রেখে হাইওয়ে নজরদারি জোরদার করার অনুমতি দেবে।

বাংলাদেশি অবকাঠামো সংস্থা ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স (এনডিই) এবং চাইনিজ ফার্ম ফাইবার হোম টেলিকমিউনিকেশন টেকনোলজিস কোম্পানি লিমিটেডকে জয়দেবপুর-রংপুর স্মার্ট হাইওয়ে বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আরএইচডির সাথে চুক্তির আওতায় বাংলাদেশী আইটি ফার্ম ন্যাশনাল টেককে যথাক্রমে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেওয়ের কাজ দেয়া হয়েছ।

বিশেষজ্ঞদের সমীক্ষা অনুযায়ী, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম সড়ক দুর্ঘটনাপ্রবণ দেশ যেখানে ওভারলোডেড ট্রাক সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। স্থায়ী এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশনগুলোর ইনস্টলেশনকে এই বিষয়ে প্রয়োগের জন্য সর্বোত্তম সমাধান হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং আইটিএস এই সুবিধা প্রদান করা হয়।

এনডিই ইনফ্রাটেক কর্মকর্তারা বলেন, কোনো ট্রাক নির্ধারিত সীমার বেশি পণ্য বহন করছে কিনা তা পর্যবেক্ষণের জন্য টাঙ্গাইলের পাকুল্লা, বগুড়ার মহাস্থানগড় এবং রংপুরের ইসলামপুরে তিনটি এক্সেল লোড কন্ট্রোল সেন্টার স্থাপন করা হবে।

তারা বলেন, ট্রাকগুলোকে পদ্ধতিগতভাবে এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশনগুলোর মধ্য দিয়ে যেতে বাধ্য করা হবে। যদি কোনো ট্রাক অনুমোদিত সীমার চেয়ে বেশি পণ্য বহন করে, তবে স্টেশনের প্রস্থান গেটওয়ে খোলা হবে না। তিনি বলেন, সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের সমস্ত মহাসড়কে আইটিএস প্রয়োজন, যাতে দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে, সিস্টেমের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

শেয়ারনিউজ, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে