ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
Sharenews24

গাজা মিশনে সেনা পাঠাতে চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, বিপাকে পাকিস্তান

২০২৫ ডিসেম্বর ১৮ ১৬:১৯:০৬
গাজা মিশনে সেনা পাঠাতে চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, বিপাকে পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর সেখানে আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা ঘিরে নতুন করে আলোচনায় এসেছে পাকিস্তান। যুক্তরাষ্ট্র চাচ্ছে, এই বাহিনীর অংশ হিসেবে পাকিস্তান সেনা পাঠাক। তবে বিষয়টি নিয়ে ইসলামাবাদে বাড়ছে অস্বস্তি ও রাজনৈতিক শঙ্কা।

হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতির চুক্তির একটি ধারায় গাজার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠনের কথা বলা হয়েছে। এতে মূলত মুসলিম দেশগুলোর সেনা অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই বাহিনী গাজার পুনর্গঠন ও অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় কাজ করবে বলে চুক্তিতে উল্লেখ আছে।

এই প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে চাপের মুখে পড়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল অসিম মুনীর। কারণ প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক বাহিনী কার্যত হামাসের জায়গায় গাজার নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে। দায়িত্ব পালনের সময় যদি কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বা হামাসের যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে দেশে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হতে পারে তাকে।

শুধু পাকিস্তান নয়, যেসব দেশ এই বাহিনীতে সেনা পাঠাতে সম্মত হবে, তাদের সরকারপ্রধানদেরও নিজ নিজ দেশের জনমতের চাপ মোকাবিলা করতে হতে পারে। বিশেষ করে সেনাদের ব্যবহার করে হামাসকে নিরস্ত্র করার চেষ্টা হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যেতে পারেন ফিল্ড মার্শাল অসিম মুনীর। সফরকালে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন, যা হবে গত ছয় মাসের মধ্যে তাদের তৃতীয় সাক্ষাৎ।

দুই মাস আগে ট্রাম্প প্রস্তাবিত ২০ দফার ভিত্তিতে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। সেই চুক্তির অংশ হিসেবেই আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই বাহিনী মোতায়েনের মাধ্যমে গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে।

ওয়াশিংটনভিত্তিক আটলান্টিক কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ ফেলো মাইকেল কুগেলম্যান রয়টার্সকে বলেন, “গাজায় সেনা না পাঠালে ট্রাম্প অসিম মুনীরের ওপর অসন্তুষ্ট হতে পারেন। এটি পাকিস্তানের জন্য বড় একটি কূটনৈতিক বিষয়। কারণ ইসলামাবাদ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখতে চায়, যাতে বিনিয়োগ ও সামরিক সহায়তা অব্যাহত থাকে।”

উল্লেখ্য, মুসলিম বিশ্বের একমাত্র পারমাণবিক শক্তিধর দেশ পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে অভিজ্ঞ ও যুদ্ধক্ষেত্রে পরীক্ষিত সেনাবাহিনীর জন্য পরিচিত। দেশটি ভারতের সঙ্গে তিনটি যুদ্ধে জড়িয়েছে এবং সর্বশেষ চলতি বছরের মে মাসে দুই দেশের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এমজে/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে