ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
Sharenews24

ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব তলব

২০২৫ নভেম্বর ২০ ১৬:৩৭:৫৬
ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব তলব

নিজস্ব প্রতিবেদক : দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান শওকত আলী চৌধুরী এবং তার পরিবারের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক ব্যাংক হিসাব তলব করেছে। সংস্থাটির উপপরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান সম্প্রতি ইস্টার্ন ব্যাংক ও মিডল্যান্ড ব্যাংকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন।

দুদক সূত্র জানায়, শওকত আলী ও তার পরিবারের নামে ১৮৭টি ব্যাংক হিসাব রয়েছে, যেগুলোতে বিপুল পরিমাণ সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। চার সদস্যের পরিবারের নামে ২৮টি ব্যাংক হিসাবের মধ্যে শওকত আলীর নামে ১৪টি, স্ত্রী তাসমিয়া আম্বারীনের নামে ১৫টি, মেয়ে জারা নামরীনের নামে ৯টি, এবং ছেলে জারান আলী চৌধুরীর নামে ৩টি হিসাব রয়েছে। এছাড়া তাদের স্বার্থ–সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে আরও ১৪৬টি ব্যাংক হিসাব আছে।

চলতি বছরের ১৫ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংক থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এসব হিসাবের মাধ্যমে মোট ৮ হাজার ৪০৭ কোটি ৯১ লাখ ৮৩ হাজার টাকা জমা হয়েছে, যার মধ্যে ৮ হাজার ২৪৭ কোটি টাকার বেশি উত্তোলন করা হয়েছে। হিসাবগুলোতে মোট স্থিতি ছিল প্রায় ১ হাজার ৭৩ কোটি টাকা। দুদক ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ইতিমধ্যেই এই হিসাবের জমা–উত্তোলনের ধরন, কেওয়াইসি নথি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বিশ্লেষণ করেছে।

সবচেয়ে বড় লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে শওকত আলীর ঢাকার জুবিলী রোড শাখার প্লাটিনাম হিসাব থেকে। ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি খোলা এবং ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর বন্ধ হওয়া এই অ্যাকাউন্টে মোট জমা হয়েছিল ৩ হাজার ৯৮৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, এবং উত্তোলনও ছিল প্রায় সমপরিমাণ। অ্যাকাউন্ট বন্ধের সময় স্থিতি ছিল ১৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা। বিএফআইইউ ধারণা করছে, এই হিসাবের লেনদেন সম্ভবত তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এসএন করপোরেশনের মাধ্যমে করা হয়েছে, যা পরোক্ষভাবে ট্যাক্স ফাঁকির উদ্দেশ্যে ব্যবহার হতে পারে।

দুদক জানায়, দেশে–বিদেশে শওকত আলী ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদের তথ্যও অনুসন্ধানে এসেছে। তাদের সিঙ্গাপুরে দুটি বাড়ি, এবং দুবাই ও যুক্তরাজ্যে আরও কিছু সম্পদ থাকার তথ্য বিএফআইইউ তদন্ত করছে। গত ৩০ জুন সংস্থাটি তাদের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে।

তাছাড়া, শওকত আলী চৌধুরীর সঙ্গে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ও পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফতের সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে