ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
Sharenews24

তারেক রহমানের দেশে ফেরার গোপন পথ প্রকাশ

২০২৫ নভেম্বর ২০ ১৬:২৪:২০
তারেক রহমানের দেশে ফেরার গোপন পথ প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান চলতি মাসেই দেশে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে—দলীয় সূত্রে এমন দাবি করা হলেও, তার ফেরার প্রক্রিয়া নিয়ে এখনও কিছু প্রশ্ন রয়ে গেছে। মূল কারণ, তারেক রহমানের হাতে বর্তমানে বৈধ বাংলাদেশি পাসপোর্ট নেই এবং নতুন পাসপোর্টের জন্য তিনি কোনো আবেদনও করেননি। ২০০৮ সালে বৈধ পাসপোর্ট নিয়ে তিনি যুক্তরাজ্যে গিয়েছিলেন, তবে পরবর্তীতে সেটি নবায়ন হয়নি। ২০১৮ সালে তৎকালীন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম দাবি করেন, তারেক রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা তাদের বাংলাদেশি পাসপোর্ট ‘সারেন্ডার’ করেছেন। বিএনপি এই দাবি অস্বীকার করে জানায় যে, যদি পাসপোর্ট জমা দেওয়া হয়ে থাকে তবে সরকার তা দেখাক, যা সরকার দেখায়নি। ফলে, বর্তমানে তারেক রহমানের হাতে কোনো বৈধ পাসপোর্ট নেই।

পাসপোর্ট না থাকলেও দেশে ফেরার একটি বিকল্প উপায় আছে। সরকারি সূত্র জানায়, তারেক রহমান চাইলে ট্রাভেল পাস ব্যবহার করে সহজেই দেশে ফিরতে পারবেন। ট্রাভেল পাস হলো একটি অস্থায়ী ভ্রমণ নথি, যা বিদেশে থাকা পাসপোর্টহীন কোনো বাংলাদেশিকে শুধুমাত্র একবার বাংলাদেশে ফেরার অনুমতি দেয়।

ট্রাভেল পাস মূলত নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের জন্য দেওয়া হয়: বিদেশে পাসপোর্ট হারানো, পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে নতুন পাসপোর্ট নেওয়া সম্ভব নয় এমন ব্যক্তি, পাসপোর্টবিহীন শিশু, বিদেশে অবৈধ অবস্থানে থাকা শ্রমিক এবং আটক বা ডিটেনশনে থাকা বাংলাদেশি নাগরিক।

ট্রাভেল পাস পাওয়ার জন্য প্রয়োজন বাংলাদেশি নাগরিকত্বের প্রমাণ। এর মধ্যে থাকতে পারে জন্ম নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র, পুরোনো পাসপোর্ট (যদি থাকে), আত্মীয়ের হলফনামা, স্কুল/কলেজের সনদ বা প্রবাসে আটক হলে স্থানীয় পুলিশের নথি। লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন এই নথি যাচাই করে তারেক রহমানকে ট্রাভেল পাস দিতে পারবে।

এর আগেও বাংলাদেশি রাজনৈতিক নেতারা ট্রাভেল পাস ব্যবহার করে দেশে ফেরেন। উদাহরণস্বরূপ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ ২০১৫ সালে ভারতের মেঘালয়ে আটক হওয়ার পর পাসপোর্ট ছাড়াই ছিলেন। মামলার দায়মুক্তি পাওয়ার পর বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে তিনি দেশে ফেরেন।

সরকারি সহায়তার কথাও জানা গেছে। সম্প্রতি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, তারেক রহমান দেশে ফিরতে চাইলে সরকার তার ভ্রমণ-সংক্রান্ত নথি সরবরাহ করবে। তবে ফেরার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ তারেক রহমানের ব্যক্তিগত ইচ্ছার ওপর নির্ভর করছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, প্রতিটি দেশ তার নাগরিককে দেশে ফেরানোর দায়িত্বে বাধ্য, এবং ট্রাভেল পাস আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নথি।

উল্লেখযোগ্য, ১৭ বছর পর গত মে মাসে দেশে এসেছিলেন তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান। তিনি দেশে এসে ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করেন এবং জুনে লন্ডনে ফিরে যান। এখন বিএনপির নেতাকর্মীরা আগ্রহী যে, তারেক রহমান কবে দেশে ফিরবেন এবং ভোটার হবেন।

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে