ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
Sharenews24

দেশের বাজারে ছয় নিত্যপণ্যের আমদানিতে হঠাৎ উল্লম্ফন

২০২৫ নভেম্বর ১৮ ১১:২৯:০১
দেশের বাজারে ছয় নিত্যপণ্যের আমদানিতে হঠাৎ উল্লম্ফন

নিজস্ব প্রতিবেদক : কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে মৌসুমি চাহিদা মেটাতে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী ও আমদানিকারকরা ছয়টি নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের আমদানির পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে।

সয়াবিন তেল, চিনি, মসুর ডাল, ছোলা, মটর ডাল ও খেজুর রমজানে বেশি ব্যবহৃত হয়। তাই চলতি বছরের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে এই পণ্যের জন্য ঋণপত্র (এলসি) খোলা অনেকটাই বেড়েছে।

তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সয়াবিন তেল আমদানি ৩৬ শতাংশ, চিনি ১১ শতাংশ, মসুর ডাল ৮৭ শতাংশ, ছোলা ২৭ শতাংশ, মটর ডাল ২৯৪ শতাংশ এবং খেজুর ২৩১ শতাংশ বেড়েছে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২০২৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে রমজান শুরু হতে পারে।

মেঘনা গ্রুপ, সিটি গ্রুপ, স্কয়ার গ্রুপ, এডিবল অয়েল লিমিটেড, বসুন্ধরা গ্রুপ ও টিকে গ্রুপ মূলত তেল ও চিনির প্রধান আমদানিকারক। অন্যদিকে, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, ডাল ও ছোলা জাতীয় পণ্য আমদানি করে বেসরকারি ব্যবসায়ী ও অন্যান্য বড় বাণিজ্যিক গ্রুপ। দেশীয় উৎপাদন এই চাহিদার মাত্র ২০–৩০ শতাংশ পূরণ করতে পারে।

একজন শীর্ষ ব্যবসায়িক কর্মকর্তার মতে, ‘রমজানের জন্য কেনাকাটা ইতিমধ্যেই অনেকটাই সম্পন্ন হয়েছে। তেল ও চিনি চাহিদা সবসময় বেশি থাকে, তাই সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যে এলসি খোলা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাকী পণ্য রোজা শুরু হওয়ার এক মাস আগে বাজারে পৌঁছাবে।’

এনআরবিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. তৌহিদুল আলম খান বলেন, ‘এটি একদিকে চাহিদা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়, অন্যদিকে বাজার পুনরুদ্ধারের প্রতিফলন। এছাড়া “বেজ ইফেক্ট”ও কাজ করেছে, কারণ গত বছর আমদানি তুলনামূলকভাবে কম ছিল।’

একজন বেসরকারি ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধান জানান, ‘এলসি খোলার এই বৃদ্ধি মূলত রমজানের প্রস্তুতিকে কেন্দ্র করে। তেল, চিনি, খেজুরসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের আমদানি ত্বরান্বিত হয়েছে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, সেপ্টেম্বরে মোট ৬.২৯ বিলিয়ন ডলার ও অক্টোবরে ৫.৬৪ বিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হয়েছে।

সয়াবিন তেল: ৪,৯৪,৮৬৫ টন (গত বছর: ৩,৬১,৫৬৪ টন)

চিনি: ২,৯২,৫৭২ টন (গত বছর: ২,৬৪,৪৪৬ টন)

ডাল: ৫০,৩৫৫ টন (গত বছর: ২৬,৯১২ টন)

ছোলা: ৫৪,৫১৬ টন (গত বছর: ৪২,৮৯১ টন)

খেজুর: ১০,১৬৫ টন (গত বছর: ৩,০৬৩ টন)

মটর ডাল: ১,৬৪,৮১০ টন (গত বছর: ৪১,৮১৫ টন)

উর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ডলারের সংকট না থাকায় আমদানির এই প্রবৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে। ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে ডলার সংকটের কারণে আমদানিতে সীমাবদ্ধতা ছিল, যা এখন সমাধান হয়েছে। এছাড়া এলসি খোলার ক্ষেত্রে শতভাগ মার্জিন রাখার বাধ্যবাধকতা নেই।’

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে