ঢাকা, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫
Sharenews24

সরকারি ছুটি নিয়ে বড় পরিবর্তন

২০২৫ নভেম্বর ০৯ ১১:২৬:০৮
সরকারি ছুটি নিয়ে বড় পরিবর্তন

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে সরকারি ছুটি নিয়ে মানুষের মধ্যে সবসময়ই থাকে আগ্রহ ও নানা প্রশ্ন— কতদিন ছুটি পাওয়া যায়, কীভাবে নির্ধারিত হয়, আর সরকারি-বেসরকারি কর্মীরা কি একইভাবে ছুটি পান?

প্রতি বছর গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সরকার ‘পাবলিক হলিডে’ বা সাধারণ ছুটির তালিকা ঘোষণা করে। এর সঙ্গে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে কিছু অতিরিক্ত ছুটিও যুক্ত হয়। এছাড়া কর্মীর আবেদন বা প্রয়োজন অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ঐচ্ছিক ছুটি অনুমোদন দিতে পারে।

বাংলাদেশে সরকারি ছুটি নির্ধারণ করা হয় সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এবং নির্ধারিত ছুটি বিধিমালা, ১৯৫৯ অনুযায়ী। এই আইন অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীরা প্রযোজ্য বিধি ও সরকারি আদেশ অনুসারে বিভিন্ন ধরনের ছুটি পেয়ে থাকেন।

সম্প্রতি উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদন দিয়েছে ২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা। নির্বাহী আদেশ ও সাধারণ ছুটি মিলিয়ে আগামী বছর মোট ছুটি থাকবে ২৮ দিন। এর মধ্যে ১১ দিন শুক্র ও শনিবার পড়ায় প্রকৃত ছুটি হবে ১৭ দিন।

প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চ, ১ মে, ১৬ ডিসেম্বরের মতো জাতীয় দিবসগুলো থাকে সাধারণ ছুটির আওতায়। নতুন বছরে সরকারের তালিকায় ৫ আগস্ট দিনটিকেও যুক্ত করা হয়েছে।

নির্ধারিত ছুটি বিধিমালা, ১৯৫৯ অনুযায়ী বাংলাদেশে মোট ১৭ ধরনের সরকারি ছুটি রয়েছে।

বছরের শুরুতেই গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ঘোষিত সাধারণ ছুটি সবার জন্য প্রযোজ্য। তবে সরকারি চাকরিজীবীরা এ ছাড়া আরও ১৬ ধরনের ছুটি ভোগের সুযোগ পান।

এসবের মধ্যে রয়েছে—অর্জিত ছুটি, অসাধারণ ছুটি, অধ্যয়ন ছুটি, সংগনিরোধ ছুটি, প্রসূতি ছুটি, প্রাপ্যতাবিহীন ছুটি, অবসর-উত্তর ছুটি, নৈমিত্তিক ছুটি, শ্রান্তি-বিনোদন ছুটি, অক্ষমতাজনিত বিশেষ ছুটি, বিশেষ অসুস্থতাজনিত ছুটি, অবকাশ বিভাগের ছুটি, বিভাগীয় ছুটি, চিকিৎসালয় ছুটি, বাধ্যতামূলক ছুটি এবং বিনা বেতনে ছুটি।

প্রতিষ্ঠানভেদে (সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা অস্থায়ী পদে) ছুটির ধরন ও সংখ্যা ভিন্ন হতে পারে। কিছু ছুটি বেতনসহ, কিছু ছুটি বেতন ছাড়া বা আংশিক বেতনসহ দেওয়া হয়।

বেসরকারি চাকরিজীবীরা সাধারণত নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুযায়ী সাধারণ ছুটি পান, তবে সরকারি বিধিমালার অন্য ছুটি তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

সরকার প্রতিবছর ক্যালেন্ডারে লাল কালিতে সাধারণ ছুটির দিনগুলো প্রকাশ করে। এই ছুটিগুলো সরকারি অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের জন্য বাধ্যতামূলক।

তবে ব্যাংক, রেলওয়ে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, কলকারখানা ও হাসপাতালের মতো সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে “অত্যাবশ্যক” ঘোষণা করা হয়। তাই জনস্বার্থে তাদের ছুটির সময়সূচি আলাদা করে নির্ধারিত হয়।

নির্বাহী আদেশে দেওয়া ছুটি মূলত সরকারি, আধা-সরকারি, সংবিধিবদ্ধ ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মকর্তাদের জন্য প্রযোজ্য হয়।

নির্ধারিত ছুটি বিধিমালা অনুযায়ী, সরকারি চাকরিজীবীরা ধর্মীয় উৎসব বা পারিবারিক প্রয়োজনে বছরে সর্বোচ্চ তিন দিন পর্যন্ত ঐচ্ছিক ছুটি নিতে পারেন।

এর জন্য বছরের শুরুতেই নিজ নিজ ধর্ম অনুযায়ী নির্ধারিত দিনগুলোর অনুমতি নিতে হয়।এই ছুটি সাধারণ বা নির্বাহী আদেশের ছুটির সঙ্গে যুক্ত করে ভোগ করারও সুযোগ রয়েছে।

তবে বেসরকারি খাতে কর্মরতদের জন্য ঐচ্ছিক ছুটির এই সুবিধা প্রযোজ্য নয়; তারা তাদের প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুযায়ী ছুটি পান।চাকরিজীবীদের জন্য ২০২৬ সাল হতে যাচ্ছে বেশ সৌভাগ্যের — সরকারি ছুটির সংখ্যা ও ধরন উভয়ই থাকছে রেকর্ড পরিমাণে।

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে