ঢাকা, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫
Sharenews24

সামাজিক মাধ্যমে তুলনার জবাব দিলেন উপদেষ্টা

২০২৫ নভেম্বর ০৮ ১০:৫৩:৪০
সামাজিক মাধ্যমে তুলনার জবাব দিলেন উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক: যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, সরকারের নতুন পাইলট প্রকল্পের উদ্দেশ্য মিলিশিয়া বা রক্ষীবাহিনী গঠন নয়, বরঞ্চ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গণপ্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানো। তিনি জানিয়েছেন, প্রকল্পটি নিয়ে যারা অপ্রতিষ্ঠিত গুজব ছড়াচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্য সন্দেহজনক।

প্রকল্পসংক্রান্ত সমালোনার জবাবে আসিফ বলেন, এটি রাষ্ট্রীয় নীতির অংশ হিসেবে সরকারের অনুমোদিত উদ্যোগ এবং প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের নির্বাচন স্বচ্ছতার ভিত্তিতে করা হচ্ছে। তিনি আরও যোগ করেন, “প্রকৃত তথ্য সবাই চাইলে পাবলিক ডকুমেন্ট হিসেবে দেখতে পারবেন; অজানা থাকার কারণে মন্তব্য করা হচ্ছে।”

প্রকল্পের মূল দিক:

লক্ষ্যবস্তু: দেশের ১৮–৩৫ বছর বয়সী তরুণ-তরুণী।

প্রশিক্ষণের ধরন: জুডো, কারাতে, তায়কোয়ান্দো ও শুটিং (বেসিক আত্মরক্ষা ও নিরাপত্তা দক্ষতা)।

লক্ষ‍্যসংখ্যা: ৮,৮৫০ জন (প্রাক্টিক্যালভাবে প্রায় ৯ হাজার)।

স্থান ও ব্যবস্থাপনা: বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি), ১০০টি স্লটে ভাগ করে আবাসিকভাবে দুই বছর ব্যাপী প্রশিক্ষণ।

বাজেট: ২৮ কোটি টাকা।

সরঞ্জাম: মূলত এয়ারগান দিয়ে প্রশিক্ষণ; কোনো অস্ত্র সরবরাহ বা রিক্রুটমেন্ট থাকবে না—প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীরা তাদের নিয়মিত কর্মক্ষেত্রে ফিরবে।

আসিফ বলেন, “এই প্রশিক্ষণটি সম্পূর্ণভাবে সামরিক প্রশিক্ষণের পর্যায়ে নয়। এটি মৌলিক আত্মরক্ষা ও গণপ্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে নেওয়া একটি পাইলট প্রকল্প। কোনো সংকটময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তারা সহায়তা দিতে সক্ষম হোন—এই ভাবনা থেকেই এটি গ্রহণ করা হয়েছে।”

প্রকল্পকে সংবেদনশীল করা হয়েছে এমন মন্তব্যের প্রসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, “কেউ কেউ এটাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিমূলক আখ্যা দিচ্ছে—কেউ বলছে এটি একে৪৭ বা মিলিশিয়া তৈরির প্রস্তুতি; এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং বিরুদ্ধ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।” তিনি এসব প্রচারণা ছড়ানোর পেছনে কিছু পক্ষকে ‘ভারতপন্থি’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, “আমাদের নীতি বিদেশি নির্দেশনায় গৃহীত হবে না। গণপ্রতিরক্ষা আইডিয়া কিছু অংশের স্বার্থকে আঘাত করবে—সেই কারণে বিরোধ তৈরি হচ্ছে।”

উপদেষ্টা আরও বলেন, “বড় রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে যেখানে আগ্রাসী মনোভাব থাকার আশঙ্কা থাকে, সেখানে সংবেদনশীল নিরাপত্তা নীতি বিবেচনায় নিয়ে প্রস্তুতি নেয়া জরুরি। গণপ্রতিরক্ষা ছাড়া সার্বভৌমত্ব রক্ষার কার্যকর উপায় সীমিত।”

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকল্পটিকে ১৯৭২ সালের রক্ষী বাহিনীর সাথে তুলনা করা হচ্ছে—ধরনীর এমন সমালোচনার প্রসঙ্গে আসিফ বলছেন, “এটি কোনো বাহিনী নয় এবং কাউকে প্রশিক্ষণের পর অস্ত্র বা চাকরির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হবে না। তাই তুলনা উপযুক্ত নয়।”

প্রকল্পটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রকাশ্য ডকুমেন্টে সব কাগজপত্র রয়েছে; যারা সত্যিকারের উদ্বিগ্ন তারা তা দেখতে পারেন। তবে অজানা তথ্য-ভিত্তিক নিন্দা ছড়ানো অনৈতিক এবং বিভ্রান্তিকর।”

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে