ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Sharenews24

গাজার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

২০২৫ সেপ্টেম্বর ৩০ ১১:১৫:৪৫
গাজার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

নিজস্ব প্রতিবেদক : ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় স্থায়ী শান্তি, নিরাপত্তা ও পুনর্গঠনের লক্ষ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০ দফার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। এই পরিকল্পনায় সম্মতি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। প্রস্তাব অনুযায়ী, যুদ্ধ পরবর্তী গাজার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব পালন করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজেই।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউসে নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প গাজার যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে ২০ দফা শান্তি প্রস্তাব প্রকাশ করেন।

ট্রাম্প প্রস্তাবকে ‘ঐতিহাসিক’ হিসেবে বর্ণনা করে জানান, এটি ইসরায়েল ও তাদের মিত্র দেশগুলো গ্রহণ করেছে। তবে হামাসের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক সম্মতি পাওয়া যায়নি। কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, হামাস মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে প্রস্তাবটি পেয়ে পর্যালোচনা করছে।

নেতানিয়াহু বলেন, “আমি বিশ্বাস করি আমরা আজ গাজার যুদ্ধ শেষ এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচ্ছি। যদি হামাস পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করে অথবা গ্রহণ করেও বিপরীত কাজ করে, তবে ইসরায়েল একাই এই কাজ সম্পন্ন করবে। আমরা সহজ পথই চাই, কিন্তু কাজ করতেই হবে।”

ট্রাম্পের ২০ দফার প্রস্তাবের মূল পয়েন্টসমূহ:

হামাস যদি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়, তাহলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েল সব জীবিত ও মৃত জিম্মিকে মুক্তি দেবে এবং গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।

হামাসকে গাজার নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণ ছাড়তে হবে।

গাজার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হবে, যার নাম হবে ‘দ্য বোর্ড অব পিস’ (শান্তি প্রশাসন)।

গাজায় অস্থায়ী অন্তর্বর্তীকালীন শাসনের দায়িত্ব দেওয়া হবে একটি রাজনীতি-বিবর্জিত টেকনোক্র্যাটিক ফিলিস্তিনি কমিটিকে, যারা দৈনন্দিন জনসেবা ও পৌরসভার কাজ দেখভাল করবে।

‘বোর্ড অব পিস’ এর প্রধান ও সভাপতি হবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে থাকবেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সদস্যরা।

মধ্যপ্রাচ্যের শীর্ষ বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতায় গাজার পুনর্গঠনে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গঠন করা হবে, যা কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ আকৃষ্ট করবে।

গাজার অভ্যন্তরীণ ও সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক ও আরব অংশীদারদের সহায়তায় ‘আইএসএফ’ নামক একটি নিরাপত্তা বাহিনী গঠন করা হবে, যা ফিলিস্তিনি পুলিশকে প্রশিক্ষণ দিবে এবং পুনর্গঠনে সহায়তা করবে।

ইসরায়েল গাজাকে দখল করবে না; আইএসএফ স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার পর ধাপে ধাপে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী প্রত্যাহার করবে। তবে সন্ত্রাসী ঝুঁকি না থাকা পর্যন্ত সীমান্তে নিরাপত্তা বজায় থাকবে।

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে