ঢাকা, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
Sharenews24

লেনদেন বৃদ্ধিতে ৬ খাতের অনবদ্য ভূমিকা

২০২৫ জুলাই ১২ ২১:২৬:২৬
লেনদেন বৃদ্ধিতে ৬ খাতের অনবদ্য ভূমিকা

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিদায়ী সপ্তাহেও (০৭-১০ জুলাই) শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক উত্থান ছিল সূচক ও লেনদেনে। এর ফলে চাঙ্গা বাজারে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণও বেড়েছে। সপ্তাহজুড়ে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক প্রায় ১৭৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬৮ পয়েন্টে। একই সময়ে ৬০০ কোটি ২৭ লাখ টাকার লেনদেন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৪৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকায়। এই লেনদেন বৃদ্ধিতে অনদব্য ভূমিকা রেখেছে ৬ খাতের শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে এই ৬ খাতের ৫০ শতাংশ থেকে ১৯৬ শতাংশ পর্যন্ত লেনদেন বেড়েছে। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।

লেনদেন বৃদ্ধি পাাওয়া খাতগুলো হলো- ব্যাংক, সিমেন্ট, সিরামিকস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, বিবিধ, কাগজ প্রকাশনা এবং সেবা ও আবাসন। গত সপ্তাহে এই ৬ খাতে লেনদেন হয়েছে ১৯৮ কোটি ৬৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৫৬ কোটি ১৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা বেশি।

খাতগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন বেড়েছে সিমেন্ট খাতের। আলোচ্য সপ্তাহে খাতটির লেনদেন বেড়েছে ১৯৬.৬১ শতাংশ বা ৯ কোটি ৮২ লাখ ৯০ হাজার টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ৮২ লাখ ৮০ হাজার টাকার, যা মোট লেনদেনের ২.৩৪ শতাংশ।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন বেড়েছে সেবা ও আবাসন খাতের। সপ্তাহজুড়ে খাতটির লেনদেন বেড়েছে ১০০.১৬ শতাংশ বা ২ কোটি ৯১ লাখ ৪০ হাজার টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৮২ লাখ ৩০ হাজার টাকায়, যা মোট লেনদেনের ০.৯২ শতাংশ।

তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন বেড়েছে কাগজ ও প্রকাশনা খাতের। বিদায়ী সপ্তাহে খাতটির লেনদেন বেড়েছে ৮৬.৭৭ শতাংশ বা ৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ কোটি ৭ লাখ টাকায়, যা মোট লেনদেনের ৩.০১ শতাংশ।

অন্য খাতগুলোর মধ্যে- বিবিধ খাতের ৬২.১ শতাংশ বা ৯ কোটি ৬৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা, সিরামিকস খাতের ৬২.০৫ শতাংশ বা ৪ কোটি ৮০ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং ব্যাংক খাতের ৫৪.২৭ শতাংশ বা ৪২ কোটি ৬১ লাখ ৩০ হাজার টাকার লেনদেন বেড়েছে।

এদিকে, ওই ৬টি কোম্পানি ছাড়াও লেনদেন বেড়েছে আরও ১৩ খাতের। খাতগুলো হলো- বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং লাইফ ইন্স্যুরেন্স, জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, বস্ত্র, পাট, ওষুধ ও রসানয়, ভ্রমণ ও অবকাশ, প্রকৌশল, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আর্থিক, চামড়া, তথ্য প্রযুক্তি এবং টেলিকমিউনিকেশন।

খাতগুলোর মধ্যে- ওষুধ ও রসায়ন খাতে ৪৩.২৪ শতাংশ বা ২৫ কোটি ৯৮ লাখ ২০ হাজার টাকা, লাইফ ইন্স্যুরেন্স খাতের ৩৫.৮৭ শতাংশ বা ৪ কোটি ৩৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা, পাট খাতে ২৭.৪৩ শতাংশ বা ৪৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ২৭.৩৩ শতাংশ বা ৭ কোটি ২১ লাখ ৩০ হাজার টাকা, বস্ত্র খাতের ২৪.৮১ শতাংশ বা ১৩ কোটি ১৩ লাখ ১০ হাজার টাকা, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ২২.৬১ শতাংশ বা ৩ কোটি ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা, প্রকৌশল খাতের ২২.১৫ শতাংশ বা ৯ কোটি ৪৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের ১৯.৭৪ শতাংশ বা ৪ কোটি ৫৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা, আর্থিক খাতের ১৯.৬৮ শতাংশ বা ১ কোটি ৭৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা, চামড়া খাতের ৬.১৩ শতাংশ বা ৩৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা, তথ্য প্রযুক্তি খাতের ৪.৩ শতাংশ বা ৯১ লাখ ৯০ হাজার টাকা, জেনারেল ইন্স্যুরেন্স খাতের ২.৪৫ শতাংশ বা ৬৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং টেলিকমিউনিকেশন খাতের ১.২৬ শতাংশ বা ৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন বেড়েছে।

মিজান/

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে