ঢাকা, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
Sharenews24

২০৫০ সালের মধ্যে হারিয়ে যাবে যে দেশ

২০২৫ জুলাই ০৬ ১৪:০২:৪৪
২০৫০ সালের মধ্যে হারিয়ে যাবে যে দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ছবির মতো সুন্দর একটি দ্বীপরাষ্ট্র— টুভালু। প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত এই দেশটিই বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ‘ক্লাইমেট ভিসা’ পাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড থেকে।

বিশ্বজুড়ে নানা ধরনের ভিসা ব্যবস্থার মধ্যে জলবায়ু ভিসা একটি নতুন সংযোজন। প্রথমবারের মতো ফিজি ২০২৩ সালে এ ধরনের নীতি চালু করলেও বাস্তব অভিবাসনের সুযোগ পেয়েছে মূলত টুভালুর নাগরিকরা।

২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, টুভালুর জনসংখ্যা প্রায় ৯,৫০০। এর প্রায় অর্ধেক ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসনের আবেদন করেছে। তারা অপেক্ষায় আছে একটি বিশেষ ভিসার— যা পরিচিত "ক্লাইমেট ভিসা" নামে।

টুভালু একটি নিচু ভূখণ্ডের দেশ— যেখানে সর্বোচ্চ উচ্চতা মাত্র ৫ মিটার। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে দ্বীপটির অস্তিত্বই হুমকির মুখে।

বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, ২০৫০ সালের মধ্যে দ্বীপটির বেশিরভাগ অংশ উচ্চ জোয়ারের সময় পানির নিচে চলে যেতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী ফেলেতি টেও জানিয়েছেন, দেশের অভ্যন্তরে স্থানান্তর সম্ভব নয়। ফলে আন্তর্জাতিক অভিবাসনই একমাত্র উপায়। তিনি আরও বলেন, প্রতিবছর টুভালুতে ১০০ দিনের বেশি বন্যা হতে পারে, যা মানুষের বসবাসের অনুপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করবে।

অস্ট্রেলিয়া চালু করেছে "Australian Pacific Immigration Visa", যা মূলত জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য তৈরি।এই ভিসায় টুভালুর নাগরিকরা পাবেন:

স্থায়ী বসবাসের সুযোগ

চাকরি, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার অধিকার

২০২৬ সালের জানুয়ারির মধ্যে অস্ট্রেলিয়া বছরে ২৮০টি করে ভিসা দেবে। এ ছাড়া, অস্ট্রেলিয়া ২৪৬ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে টুভালুর উপকূল সংরক্ষণে।

বিশ্বে প্রথমবারের মতো একটি দেশ— ভূখণ্ড হারিয়ে ফেললেও— রাষ্ট্রীয় পরিচয় বজায় রাখার ঘোষণা দিয়েছে।টুভালু গড়ে তুলছে বিশ্বের প্রথম ডিজিটাল রাষ্ট্র, যেখানে রাষ্ট্রের:

প্রশাসন,

আইন,

ইতিহাস

২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, টুভালুর জনসংখ্যা প্রায় ৯,৫০০। এর প্রায় অর্ধেক ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসনের আবেদন করেছে। তারা অপেক্ষায় আছে একটি বিশেষ ভিসার— যা পরিচিত "ক্লাইমেট ভিসা" নামে।

টুভালু একটি নিচু ভূখণ্ডের দেশ— যেখানে সর্বোচ্চ উচ্চতা মাত্র ৫ মিটার। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে দ্বীপটির অস্তিত্বই হুমকির মুখে।

বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, ২০৫০ সালের মধ্যে দ্বীপটির বেশিরভাগ অংশ উচ্চ জোয়ারের সময় পানির নিচে চলে যেতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী ফেলেতি টেও জানিয়েছেন, দেশের অভ্যন্তরে স্থানান্তর সম্ভব নয়। ফলে আন্তর্জাতিক অভিবাসনই একমাত্র উপায়। তিনি আরও বলেন, প্রতিবছর টুভালুতে ১০০ দিনের বেশি বন্যা হতে পারে, যা মানুষের বসবাসের অনুপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করবে।

অস্ট্রেলিয়া চালু করেছে "Australian Pacific Immigration Visa", যা মূলত জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য তৈরি।

এই ভিসায় টুভালুর নাগরিকরা পাবেন:

স্থায়ী বসবাসের সুযোগ

চাকরি, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার অধিকার

২০২৬ সালের জানুয়ারির মধ্যে অস্ট্রেলিয়া বছরে ২৮০টি করে ভিসা দেবে। এ ছাড়া, অস্ট্রেলিয়া ২৪৬ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে টুভালুর উপকূল সংরক্ষণে।

বিশ্বে প্রথমবারের মতো একটি দেশ— ভূখণ্ড হারিয়ে ফেললেও— রাষ্ট্রীয় পরিচয় বজায় রাখার ঘোষণা দিয়েছে।টুভালু গড়ে তুলছে বিশ্বের প্রথম ডিজিটাল রাষ্ট্র, যেখানে রাষ্ট্রের:

প্রশাসন,

আইন,

ইতিহাস এবং

সংস্কৃতি

সংরক্ষিত থাকবে অনলাইনে।এ উদ্যোগের মাধ্যমে তারা বলছে— ভূখণ্ড না থাকলেও জাতিসত্ত্বা ও সার্বভৌমত্ব হারাবে না।

মালদ্বীপ, কিরিবাস, মার্শাল আইল্যান্ডস— এই দেশগুলোও একই ঝুঁকিতে রয়েছে।এই পরিস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড টুভালুর সার্বভৌমত্ব এবং সামুদ্রিক সীমা স্বীকৃতি দিয়ে এক আন্তর্জাতিক আইনি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

নিউজিল্যান্ডও "Pacific Access Category Visa" এর আওতায় প্রতি বছর ৭৫ জন টুভালু নাগরিককে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ দিচ্ছে।

যদিও নাগরিকরা আশ্রয় পাচ্ছেন, তবে টুভালুর সবচেয়ে বড় চিন্তা জাতিগত পরিচয়, ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষা।তাদের লক্ষ্য— আন্তর্জাতিকভাবে ছড়িয়ে পড়লেও একটি জাতি হিসেবে ঐক্য ও নিজস্বতা বজায় রাখা।

টুভালু একদিকে অভিবাসনের মাধ্যমে নাগরিকদের বাঁচাতে চায়, অন্যদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। উপকূল রক্ষা, ভূমি পুনর্গঠন ও পরিবেশ ব্যবস্থাপনায় তারা নিচ্ছে নানা উদ্যোগ।তবে এই যুদ্ধ, সময়ের বিরুদ্ধে— এবং অস্তিত্ব রক্ষার এক অনন্য অধ্যায়।সংরক্ষিত থাকবে অনলাইনে।

এ উদ্যোগের মাধ্যমে তারা বলছে— ভূখণ্ড না থাকলেও জাতিসত্ত্বা ও সার্বভৌমত্ব হারাবে না।

মালদ্বীপ, কিরিবাস, মার্শাল আইল্যান্ডস— এই দেশগুলোও একই ঝুঁকিতে রয়েছে।এই পরিস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড টুভালুর সার্বভৌমত্ব এবং সামুদ্রিক সীমা স্বীকৃতি দিয়ে এক আন্তর্জাতিক আইনি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

নিউজিল্যান্ডও "Pacific Access Category Visa" এর আওতায় প্রতি বছর ৭৫ জন টুভালু নাগরিককে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ দিচ্ছে।

যদিও নাগরিকরা আশ্রয় পাচ্ছেন, তবে টুভালুর সবচেয়ে বড় চিন্তা জাতিগত পরিচয়, ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষা।তাদের লক্ষ্য— আন্তর্জাতিকভাবে ছড়িয়ে পড়লেও একটি জাতি হিসেবে ঐক্য ও নিজস্বতা বজায় রাখা।

টুভালু একদিকে অভিবাসনের মাধ্যমে নাগরিকদের বাঁচাতে চায়, অন্যদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। উপকূল রক্ষা, ভূমি পুনর্গঠন ও পরিবেশ ব্যবস্থাপনায় তারা নিচ্ছে নানা উদ্যোগ।তবে এই যুদ্ধ, সময়ের বিরুদ্ধে— এবং অস্তিত্ব রক্ষার এক অনন্য অধ্যায়।

মুসআব/

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে