ঢাকা, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
Sharenews24

যেভাবে বাংলাদেশে ব্যবহার করা যাবে গুগল পে

২০২৫ মে ২৯ ১২:৩৫:১২
যেভাবে বাংলাদেশে ব্যবহার করা যাবে গুগল পে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হতে যাচ্ছে গুগলের ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা গুগল পে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, আগামী এক মাসের মধ্যেই দেশের ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থায় এই সেবার কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।

এর মাধ্যমে স্মার্টফোনই হয়ে উঠবে গ্রাহকদের ডিজিটাল ওয়ালেট। ফলে আর প্লাস্টিক কার্ড বহনের প্রয়োজন পড়বে না। বিমানে যাত্রা, কেনাকাটা, সিনেমা টিকিট—সব লেনদেনই সম্ভব হবে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে।

চালুর প্রাথমিক পর্যায়ে সিটি ব্যাংকের গ্রাহকরা তাদের ভিসা ও মাস্টার কার্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায়) গুগল ওয়ালেটের সঙ্গে যুক্ত করতে পারবেন। এরপর যেকোনো NFC (Near Field Communication) সাপোর্টেড টার্মিনাল-এ অ্যান্ড্রয়েড ফোনের মাধ্যমে কন্টাক্টলেস পেমেন্ট করা যাবে।

ধাপে ধাপে দেশের অন্যান্য ব্যাংকও এই সেবার আওতায় আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গুগল ওয়ালেট সাধারণত ব্যবহারকারীদের স্পর্শকাতর আর্থিক তথ্য সংরক্ষণ করে না। ফলে বাংলাদেশে এই অ্যাপ চালু করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সরাসরি অনুমোদন প্রয়োজন নেই। গ্রাহকেরা কেবল নিজ নিজ ব্যাংকের কার্ড অ্যাপে সংযুক্ত করবেন এবং লেনদেন সম্পন্ন হবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের মাধ্যমেই।

তবে যেসব ব্যাংক গুগল ওয়ালেটের সঙ্গে সংযুক্ত হতে চায়, তাদেরকে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আগেই জানাতে হবে।

গুগল পে সাধারণত নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা ডেবিট কার্ড ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে কোনো লেনদেন ফি নেয় না। তবে ব্যাংকগুলোর নিজস্ব নীতিমালা অনুসারে নির্দিষ্ট লেনদেনে চার্জ নির্ধারিত হতে পারে—বিশেষ করে যদি লেনদেন আন্তর্জাতিক গেটওয়ে বা বিদেশি মুদ্রার সঙ্গে জড়িত হয় সেক্ষেত্রে ১-৩% পর্যন্ত বিদেশি লেনদেন ফি ধার্য করা হতে পারে।

তবে স্থানীয় (বাংলাদেশের অভ্যন্তরে) লেনদেনের ক্ষেত্রে সাধারণত কোনো অতিরিক্ত চার্জ নেওয়া হয় না।

ভারতে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে মোট ডিজিটাল লেনদেনের ৯৩% এবং লেনদেনের মূল্যমানের ৯২% হয় ইউপিআই-এর মাধ্যমে। এর মধ্যে গুগল পে একাই লেনদেনের ৫১% অর্থমূল্য এবং এক-তৃতীয়াংশের বেশি লেনদেন নিয়ন্ত্রণ করেছে।

পাকিস্তানেও ২০২৫ সালের মার্চে চালু হয়েছে গুগল পে। এছাড়া থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতেও এর ব্যবহার ব্যাপক।

বাংলাদেশে গুগল পে চালু হওয়াকে অনেকেই "ডিজিটাল লেনদেনের যুগান্তকারী পদক্ষেপ" হিসেবে দেখছেন। স্মার্টফোনভিত্তিক এই পেমেন্ট ব্যবস্থা একদিকে যেমন নিরাপদ, তেমনি সময় ও খরচ সাশ্রয়ী। প্রযুক্তি-ভিত্তিক আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে এটি হতে পারে বড় অগ্রগতি।

মুয়াজ/

পাঠকের মতামত:

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এর সর্বশেষ খবর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি - এর সব খবর



রে