ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
Sharenews24

নির্বাচন কমিশনের নতুন প্রস্তাবিত বিধিমালা

২০২৫ এপ্রিল ১০ ০৯:২৬:১৪
নির্বাচন কমিশনের নতুন প্রস্তাবিত বিধিমালা

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচন আচরণবিধিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। নতুন প্রস্তাবিত খসড়ায় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে, যা আগামী সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও সমান সুযোগ ভিত্তিক করার লক্ষ্য রেখেছে।

মূল পরিবর্তনসমূহ:

নির্বাচনকালীন সময়ের বিভাজন:

নির্বাচন-পূর্ব সময়: সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়া থেকে তফসিল ঘোষণা পর্যন্ত।

নির্বাচনকালীন সময়: তফসিল ঘোষণা থেকে ফলাফল গেজেটে প্রকাশ পর্যন্ত।

নির্বাচন-পরবর্তী সময়: গেজেট প্রকাশ থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত।

নতুন বিধিমালা অনুযায়ী প্রার্থিতা বাতিলের শর্ত:

আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে প্রার্থিতা বাতিল করা যাবে। এটি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

ডিজিটাল প্রচারের সুযোগ:

ডিজিটাল বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের অনুমতি দেয়া হয়েছে, তবে প্রচারের জন্য প্রার্থীদের রিটার্নিং অফিসারের কাছে আইডি জমা দিতে হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচারণা ব্যয় নির্বাচনি ব্যয়ের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ:

নির্বাচনী প্রচারে পলিথিন লিফলেট ও প্লাস্টিক (পিভিসি) ব্যানার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

প্রচারকর্মী ও উপদেষ্টাদের নিয়ন্ত্রণ:

প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারকর্মীদের মধ্যে উপদেষ্টাদেরও নিয়ন্ত্রণ থাকবে, অর্থাৎ তারা প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না।

মাইক ব্যবহারের সীমাবদ্ধতা:

মাইক ব্যবহার করা হলে তা ৬০ ডেসিবেলের বেশি শব্দে করা যাবে না।

নির্বাচনকালীন শাস্তি:

সোশ্যাল মিডিয়ায় উসকানিমূলক বা মানহানিকর মন্তব্য করলে তা ডিজিটাল/সাইবার সুরক্ষা আইনের আওতায় শাস্তিযোগ্য হবে। অর্থদণ্ডও দেয়া হতে পারে।

প্রত্যয়নপত্রের প্রয়োজনীয়তা:

দলগুলোকে আচরণবিধি মানার প্রত্যয়নপত্র ইসি থেকে সংগ্রহ করতে হবে, এবং প্রার্থীদেরও একই ধরনের প্রত্যয়নপত্র রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দিতে হবে। অঙ্গীকার না মানলে শাস্তি ভোগ করতে হবে।

ইসি সদস্য মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, নির্বাচনি আচরণবিধি খসড়া প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে এবং এখন কমিশনে উপস্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। তিনি আরো বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার জন্য নতুন আচরণবিধিতে সব প্রার্থীর সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হবে।

এছাড়া, সুশৃঙ্খলভাবে প্রচারণা চালানোর জন্যও নতুন বিধিমালায় বিশেষ নজর দেয়া হয়েছে, যাতে নির্বাচনি ব্যয় যতটা সম্ভব কম থাকে।

এই পরিবর্তনগুলোর লক্ষ্য হলো, নির্বাচনকে আরও সুষ্ঠু ও নিয়ন্ত্রিত রাখা, যেখানে সব প্রার্থী সমান সুযোগ পাবেন এবং কোনো ধরনের অনিয়ম বা বিধিমালা লঙ্ঘন না হয়।

আরিফ/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে