ঢাকা, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
Sharenews24

যে সময়ে নফল নামাজ পড়া মাকরুহ

২০২৫ এপ্রিল ০৮ ২১:১৭:০০
যে সময়ে নফল নামাজ পড়া মাকরুহ

নিজস্ব প্রতিবেদক : নফল নামাজ পড়ার জন্য কিছু নির্দিষ্ট সময় আছে যখন তা মাকরুহ (অথবা নিষিদ্ধ বা অস্বীকারযোগ্য)। ইসলামে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নামাজ পড়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে, কারণ এসব সময়ের মধ্যে নামাজের পূর্ণতা বা উপকারিতা ব্যাহত হতে পারে।

যেসব সময় নফল নামাজ পড়া মাকরুহ:

সূর্যোদয়ের সময়:

সূর্য ওঠার পরপর যতক্ষণ না তা পুরোপুরি উদিত হয়ে যায়, ততক্ষণ নফল নামাজ পড়া নিষিদ্ধ। (বুখারি, হাদিস : ১৫২৩)

সূর্য মধ্যাকাশে অবস্থানকালে:

যখন সূর্য মধ্য আকাশে অবস্থান করে, অর্থাৎ সূর্য পুরোপুরি শীর্ষে পৌঁছানোর সময় থেকে কিছু সময় পর পর্যন্ত নামাজ পড়া মাকরুহ। (মুসলিম, হাদিস : ১৩৭৩)

সূর্য যখন হলুদ বর্ণ ধারণ করে তখন থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত:

সূর্য হলুদ রঙ ধারণ করার পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নামাজ পড়া মাকরুহ। তবে ওই দিনের আসর নামাজ সূর্যাস্ত হওয়ার পূর্বে আদায় করতে পারবেন। (বুখারি, হাদিস : ৫৪৫)

নামাজের নিষিদ্ধ সময়ে জানাজা:

এই সময়ে জানাজা আদায় করা মাকরুহ হলেও তা পড়তে পারা যায়, তবে মাকরুহ হবে। (তিরমিজি, হাদিস : ১৫৬)

ফজরের নামাজের পর সূর্যোদয় হওয়া পর্যন্ত:

ফজরের নামাজ শেষ হওয়ার পর এবং সূর্য ওঠার আগ পর্যন্ত নফল নামাজ পড়া মাকরুহ। (বুখারি, হাদিস : ৫৫১)

আসর নামাজের পর সূর্যাস্ত পর্যন্ত:

আসরের নামাজের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নফল নামাজ পড়া মাকরুহ। (বুখারি, হাদিস : ৫৫১)

ইকামতের সময়:

ইকামতের সময় (যখন নামাজের জন্য আহ্বান করা হচ্ছে) নফল নামাজ পড়া মাকরুহ। (মুসলিম, হাদিস : ১১৬০)

ঈদের নামাজের আগে ও পরে:

ঈদের নামাজের আগে ঈদগাহে এবং ঈদের নামাজের পর কোনো নফল নামাজ পড়া মাকরুহ। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১২৮৩)

যদি সুন্নত নামাজ পড়তে গেলে ফরজ নামাজের সময় শেষ হয়ে যায়:

এমন অবস্থায় যখন সুন্নত নামাজ পড়তে গেলে ফরজ নামাজের সময় চলে যাবে, তখন নফল নামাজ পড়া মাকরুহ।

খুব ক্ষুধা ও তীব্র খাবারের চাহিদা হলে:

যখন মানুষের তীব্র ক্ষুধা অনুভব হয় এবং খাবারের প্রতি মনোযোগ থাকে, তখন নামাজ পড়া মাকরুহ। (মুসলিম, হাদিস : ৮৬৯)

প্রস্রাব বা পায়খানার বেগে থাকা অবস্থায়:

যদি কেউ প্রস্রাব বা পায়খানার বেগ অনুভব করে এবং তারপর নামাজ পড়তে যায়, তাহলে তা মাকরুহ। (মুসলিম, হাদিস : ৮৬৯)

এই সব সময়ের মধ্যে নামাজ পড়ার মাকরুহ হওয়ার কারণ হলো, তখন মনোযোগ এবং তাত্পর্য আল্লাহর প্রতি পূর্ণভাবে নিবদ্ধ করা সম্ভব হয় না, যা নামাজের মূল উদ্দেশ্য। তাই এসব সময় থেকে বিরত থাকা উচিত।

এটি ইঙ্গিত দেয় যে, ইসলামে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সময়ে নামাজের বিশেষ গুরুত্ব এবং সেই সময়ের মধ্যে কিছু কাজের প্রভাবের দিকে লক্ষ্য রাখা হয়, যাতে মানুষ তার ইবাদত সঠিকভাবে আদায় করতে পারে।

আরিফ/

পাঠকের মতামত:

লাইফ স্টাইল এর সর্বশেষ খবর

লাইফ স্টাইল - এর সব খবর



রে