ঢাকা, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
Sharenews24

যেভাবে রাজউকের ১০ কাঠার প্লট ভাগিয়ে নেন সায়মা ওয়াজেদ পুতুল

২০২৫ এপ্রিল ০৮ ১৯:৪৩:২৬
যেভাবে রাজউকের ১০ কাঠার প্লট ভাগিয়ে নেন সায়মা ওয়াজেদ পুতুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ঢাকার পূর্বাচল নতুন শহর আবাসন প্রকল্পে ১০ কাঠার প্লট অবৈধভাবে বরাদ্দ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনা তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।

জানুয়ারিতে দায়ের করা মামলার পর তদন্তে বেরিয়ে আসে যে, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল কোনো আইন বা বিধি অনুসরণ না করেই, তার মায়ের (শেখ হাসিনা) বিশেষ প্রভাব ব্যবহার করে রাজউক থেকে একটি ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দ পান। পুতুল তার এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের আবাসন সুবিধা থাকা সত্ত্বেও এই তথ্য হলফনামায় গোপন করে আবেদন করেন। তার আবেদনটি কোনো প্রক্রিয়া বা নিয়ম মেনে গ্রহণ করা হয়নি।

এই অবৈধ বরাদ্দের জন্য শেখ হাসিনার ক্ষমতা এবং সহায়তা ব্যবহার করা হয়, যা সরকারি জমি আত্মসাৎ এবং অন্যায়ভাবে ভোগদখলে আনার একটি স্পষ্ট উদাহরণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে মামলার চার্জশিটে।

দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা আফনান জান্নাত কেয়ার মতে, শেখ হাসিনা এবং পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এদের মধ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান, সদস্য এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের নাম রয়েছে। চার্জশিটে আরো বলা হয়েছে যে, প্লট বরাদ্দের জন্য নির্ধারিত আইন এবং বিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে, এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুতুলের জন্য প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় শেখ হাসিনা, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি রাজউকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নামও এই মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এদিকে, মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১০ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে। ১৩ ও ১৫ এপ্রিল অন্যান্য মামলার চার্জশিটও আদালতে উপস্থাপন করা হবে।

এর আগে, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আরো ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দের অনিয়মের অভিযোগে দুদক ছয়টি মামলা দায়ের করেছিল। মামলায় শেখ হাসিনা, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, সজীব ওয়াজেদ জয়, শেখ রেহানা, এবং টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিকসহ তাদের পরিবারের সদস্যদের অভিযুক্ত করা হয়েছে।

এ ঘটনায় আদালত ইতিমধ্যে চার্জশিট গ্রহণ করার জন্য ১০ এপ্রিল পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছে। এ পর্যন্ত পলাতক থাকা আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা এবং হুলিয়া জারি করার প্রক্রিয়া চলছে।

এই মামলার শুনানি ও তদন্ত প্রক্রিয়া বাংলাদেশের রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক পরিসরে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আদালত ও দুদকের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

আরিফ/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে