ঢাকা, রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫
Sharenews24

জুমাতুল বিদার করণীয় আমল

২০২৫ মার্চ ২৮ ১০:১১:১৬
জুমাতুল বিদার করণীয় আমল

নিজস্ব প্রতিবেদক : রমজান মাসের শেষ জুমার দিনটি ‘জুমাতুল বিদা’ নামে পরিচিত। যদিও ‘জুমাতুল বিদা’ শব্দটি কোনও নির্ভরযোগ্য উৎসগ্রন্থে নেই, তবে রমজান মাসের শেষ জুমার দিনটি অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ। রমজান, শবে কদর ও জুমার দিন একত্রে আসার ফলে এটি আরও মহিমান্বিত হয়ে ওঠে। তাই, এই দিনে ইবাদত ও আমল করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

জুমাতুল বিদার বিশেষ ফজিলত

জুমার দিন সপ্তাহের শ্রেষ্ঠতম দিন হিসেবে গণ্য হয়। এই দিনে এমন একটি মাহেন্দ্রক্ষণ থাকে যখন আল্লাহ বান্দার দোয়া কবুল করেন। বিশেষ করে জুমার দিন সালাতরত অবস্থায় যে কোনো মুসলিম আল্লাহর কাছে যা চাইবেন, তা আল্লাহ তাকে দান করবেন। তবে, এই মুহূর্তটি অত্যন্ত সীমিত, তাই সময়ের মধ্যে সঠিকভাবে আমল করা প্রয়োজন।

হাদিসে আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "জুমার দিনে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে, যখন আল্লাহ বান্দার যাবতীয় দোয়া কবুল করেন" (মুসলিম, হাদিস : ১৮৫৪)।

জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, "জুমার দিনের ১২ ঘণ্টার মধ্যে এমন একটি মুহূর্ত আছে, যদি কোনো মুসলিম এ সময় আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করে, তাহলে আল্লাহ তাকে তা দান করেন। এই মুহূর্তটি তোমরা আসরের শেষ সময়ে খোঁজো" (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৮)।

জুমার দিনের আমল এবং করণীয়:

অজু করা: সুন্দরভাবে অজু করে জুমার নামাজে অংশগ্রহণ করা। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল।

খুতবা শোনা: মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনা। যিনি খুতবা শোনেন, তার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী তিন দিনের সগিরা গুনাহ মাফ হয় (মুসলিম)।

দোয়া করা: জুমার দিনের বিশেষ মুহূর্তে আল্লাহর কাছে দোয়া করা। বিশেষ করে আসরের শেষ সময়ে এই দোয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তিলাওয়াত: কোরআন তিলাওয়াত করা এবং ইবাদত বৃদ্ধি করা।

কোরআনের নির্দেশ:

"হে মুমিনেরা, যখন জুমার দিনে নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ছুটে যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটি তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা বোঝো" (সুরা জুমা, আয়াত ৯)।

এই দিনে বেশি বেশি ইবাদত করা এবং দোয়া করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। আল্লাহ আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন।

মুয়াজ/

পাঠকের মতামত:

লাইফ স্টাইল এর সর্বশেষ খবর

লাইফ স্টাইল - এর সব খবর



রে