ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
Sharenews24

স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত

২০২৫ মার্চ ১১ ২০:২০:১২
স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বয়সের ব্যবধান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা সব দম্পতির জন্য আলাদা আলাদা ভাবে কাজ করে। অনেকের ক্ষেত্রে ২ বছরের ব্যবধান ভালো কাজ করে, আবার অন্যদের জন্য ১০ বছরের ব্যবধানও আদর্শ হতে পারে। গবেষণা থেকে জানা গেছে যে, পুরুষ বা নারী উভয়েই তাদের চেয়ে ১০-১৫ বছর ছোট বা বড় ব্যক্তিকে বেছে নিতে আগ্রহী। বয়সের পার্থক্য সম্পর্কের মধ্যে বিভিন্ন প্রভাব ফেলতে পারে, এবং সেটা কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে, আবার কিছু ক্ষেত্রে সম্পর্ককে আরও সুন্দরও করতে পারে।

এমন বয়সের ব্যবধান থাকলে দম্পতিদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি এবং বিবাদ কম হয়। এখানে একজন পরিণত বয়সের হলে, সে সম্পর্কটি শক্ত হাতে ধরে রাখতে পারে। এই ব্যবধানকে বিয়ের জন্য আদর্শ মনে করা হয় কারণ এতে দুজনের মধ্যে কাছ থেকে বোঝাপড়া তৈরি হয়।

কিছু মানুষ ১০ বছরের ব্যবধানকে আদর্শ মনে করে, যদি ভালোবাসা থাকে। তবে, যদি একদিকে পারিবারিক জীবন বা ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে মতপার্থক্য তৈরি হয়, তবে এই বয়সের ব্যবধান সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে স্ত্রী স্বামীকে উপেক্ষা করতে পারেন, যেটি সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

এই বয়সের ব্যবধান সাধারণত সম্পর্কের জন্য আদর্শ নয়। যদিও কিছু বিখ্যাত দম্পতির মধ্যে ২০ বছরের ব্যবধান রয়েছে, তবে এই ধরনের বড় ব্যবধানে লক্ষ্য, উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং মতামতের ব্যাপক পার্থক্য দেখা যায়। এমনকি সন্তান নেওয়ার বিষয়েও পার্থক্য আসতে পারে, যেখানে বয়স্ক সঙ্গী দ্রুত সন্তান নিতে চাইবেন, তবে কম বয়সী সঙ্গী আগ্রহী নাও হতে পারেন।

বয়সের ব্যবধান যত বেশি হবে, তত বেশি সমস্যার মুখোমুখি হতে হতে পারে দম্পতিরা। তবে সাধারণভাবে, ৫-৭ বছরের ব্যবধানকে আদর্শ মনে করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা জানান, বয়সের পার্থক্য বড় হলেও, সম্পর্কের সাফল্য সেই যুগলের সক্ষমতার ওপর নির্ভর করে, বিশেষ করে তারা একসঙ্গে থাকার এবং দুঃসময়ে একে অপরকে সমর্থন দেওয়ার ওপর।

মুয়াজ/

পাঠকের মতামত:

লাইফ স্টাইল এর সর্বশেষ খবর

লাইফ স্টাইল - এর সব খবর



রে