ঢাকা, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
Sharenews24

হাসিনার হাসি বন্ধ করল জাতিসংঘ

২০২৫ মার্চ ০৭ ০৯:৪৭:১৫
হাসিনার হাসি বন্ধ করল জাতিসংঘ

নিজস্ব প্রতিবেদক : দিল্লিতে চলমান তীব্র বায়ুদূষণ পরিস্থিতি মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতি সবার জন্যই উদ্বেগজনক, বিশেষত দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনার জন্য। তার জন্য দিল্লির পরিবেশ এক অজুহাতের মতো কাজ করছে, কারণ তাকে এখন ঘরের বাইরে বের হতে বলা হচ্ছে না। আর হাসিনার পরিস্থিতিও ঠিক তেমন, যেমন দিল্লির আকাশ—গুমোট এবং অস্বচ্ছ।

শেখ হাসিনা, যিনি বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থান থেকে পালিয়ে দিল্লিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন, এখন তার ভবিষ্যতও খুবই অন্ধকার। একসময় যেখানে তিনি টিভির এয়ারটাইমের অর্ধেকটা দখল করতেন, এখন সেই হাসিনার নামও ফেসবুক লাইভে গোপন রাখা হয়। এমনকি, তার রাজনৈতিক জীবনেও পরিবর্তন এসেছে, এবং বেশ কিছু নেত্রী যারা একসময় তার বিরুদ্ধে কথা বলতেন, তারা এখন তাকে এড়িয়ে চলছেন—যদিও তাদের বেশিরভাগই হাসিনার সুবিধা নেওয়া চালিয়ে যাচ্ছেন।

এর মধ্যে নতুন একটি দুঃখজনক খবর সামনে এসেছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। বিশেষত ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলন দমন করার সময় সরকারের সহিংস পদক্ষেপগুলোকে মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ওয়ালকার তুর্ককার তুর্ক জানিয়েছেন, এই সহিংসতার কারণে বাংলাদেশে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটেছে, এবং এই প্রতিবেদন বাংলাদেশে একটি নতুন রাজনৈতিক ভবিষ্যতের আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এছাড়া, ১২ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন গণঅভ্যুত্থানের সময় বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন সম্পর্কে একটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, হাসিনা সরকার সহিংস উপায়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, যা তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের জন্য একটি বড় আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে, হাসিনার দেশে ফেরার সম্ভাবনা এখন চিরকাল অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি হয়তো এখন হুমায়ূন আহমেদের নাটকের সেই সংলাপের মতো বলবেন: "আমার সামনে হাসবা না, আমি হাসি পছন্দ করি না, হাসি বন্ধ।"

কেএইচ/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে