ঢাকা, বুধবার, ৮ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

বিশ্বস্ত সূত্রে বেরিয়ে এল মেজর ডালিমের গোপন জীবন

২০২৫ জানুয়ারি ০৭ ১৬:৪০:২৭
বিশ্বস্ত সূত্রে বেরিয়ে এল মেজর ডালিমের গোপন জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক: মেজর শরিফুল হক ডালিম, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণকারী সেনা কর্মকর্তা, সম্প্রতি আবারো খবরের শিরোনামে আসেন। ৫০ বছর পর, প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের একটি লাইভ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর, মেজর ডালিমের বর্তমান অবস্থান এবং জীবনের বিষয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়। তার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়, কারণ অনেকেই জানতেন না তিনি জীবিত আছেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত দিন ছিল। সে দিনে সেনাবাহিনীর একটি অংশের হাতে নিহত হন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান। মেজর শরিফুল হক ডালিম সেই সেনা অভিযানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তীতে, তিনি লেফটেনেন্ট কর্নেল পদে পদোন্নতি পান, তবে সাধারণ জনগণের কাছে তিনি "মেজর ডালিম" হিসেবেই পরিচিত।

মেজর ডালিমের বর্তমান অবস্থান বিষয়ে কিছুটা রহস্য রয়েছে। ২০০৯ সালে ডেইলি স্টার সংবাদপত্র কূটনৈতিক এবং গোয়েন্দা সূত্রের মাধ্যমে জানিয়েছিল যে, মেজর ডালিম পাকিস্তানে বসবাস করছেন এবং তিনি প্রায়ই লিবিয়া সফর করেন। বিশেষ করে, তার লিবিয়ার বেনগাজি শহরে যাতায়াত রয়েছে। এছাড়া, সংবাদমাধ্যম আরও জানায় যে, বিএনপির নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকারের সময়ে মেজর ডালিম একবার বাংলাদেশে এসেছিলেন।

মেজর ডালিমের বিভিন্ন আফ্রিকান দেশে ব্যবসা রয়েছে। ১৯৯৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ সরকার একটি টাস্কফোর্স গঠন করে ১৫ আগস্টের ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের ফিরিয়ে আনার জন্য, তখন সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালি-উর-রেহমান দাবি করেন, মেজর ডালিমের কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিসহ আফ্রিকার অন্যান্য দেশে ব্যবসা রয়েছে এবং তিনি কেনিয়ার পাসপোর্টও সংগ্রহ করেছেন।

সম্প্রতি, মেজর ডালিম প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের সাথে একটি লাইভ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের পর, তাকে নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা এবং জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়। বিশেষ করে, ৫০ বছর পর তার জীবিত থাকার বিষয়টি অনেককেই অবাক করেছে।

এছাড়া, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার একটি টাস্কফোর্স গঠন করে, যার উদ্দেশ্য ছিল বিদেশে পালিয়ে থাকা ১৫ আগস্টের ঘটনার সাথে জড়িতদের দেশে ফিরিয়ে আনা। সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালি-উর-রেহমান জানিয়েছেন, এই টাস্কফোর্স ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত সক্রিয় ছিল এবং তাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল অভিযুক্তদের ফিরিয়ে আনা।

মেজর ডালিমের বর্তমান অবস্থান এখনো পুরোপুরি স্পষ্ট নয়, তবে তার পাকিস্তানে বসবাসের বিষয়ে বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে। লিবিয়া ও আফ্রিকায় তার ব্যবসার তথ্যও উঠে এসেছে। যদিও তিনি ৫০ বছর পর প্রকাশ্যে এসেছেন, তার সাথে সম্পর্কিত অনেক রহস্য এখনও অজানা রয়ে গেছে।

কেএইচ/

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে