ঢাকা, সোমবার, ৬ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

আজহারীর মাহফিল, থানায় জিডির ছড়াছড়ি

২০২৫ জানুয়ারি ০৫ ১৪:৫৫:১১
আজহারীর মাহফিল, থানায় জিডির ছড়াছড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে ড. মিজানুর রহমান আজহারীর ওয়াজ মাহফিলে গিয়ে অসংখ্য মানুষের মোবাইল ফোন এবং স্বর্ণালংকার খোয়া যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (০৩ জানুয়ারি) রাতে শহরতলির পুলেরহাটে আদ-দ্বীন সকিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বর এবং আশপাশের এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।

এরপর থেকে ভুক্তভোগীরা যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় জিডি করতে আসছেন এবং বর্তমানে সেখানে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন।

পুলিশ জানায়, শনিবার (০৪ জানুয়ারি) পর্যন্ত মোবাইল ফোন এবং স্বর্ণালংকার খোয়া যাওয়ার ঘটনায় ৩০০ টি জিডি রেকর্ড করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর সংখ্যা বাড়তে পারে, কারণ মানুষ প্রতিনিয়ত থানায় আসছেন।

যশোরের পুলেরহাটে আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশন আয়োজিত তিন দিনব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের শেষদিন শুক্রবারের মাহফিলে আলোচিত ইসলামি বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী বক্তব্য দেন। তার আগমনের খবর পেয়ে মুসল্লিদের ব্যাপক সমাগম ঘটে, ফলে মাহফিল এলাকা জনাকীর্ণ হয়ে যায়।

শুক্রবার সকালে থেকেই মানুষ জমায়েত হতে শুরু করে এবং বিকেলের দিকে মাহফিল স্থান ছাড়িয়ে সড়ক ও মহাসড়কে নারীদের, শিশুদের এবং পুরুষদের ঢল নামে। সন্ধ্যা ১০টার পর মাহফিল শেষ হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পদদলনের ঘটনা নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ে, যা নিয়ে বেশ কিছু লোক আহত হয়।

হাসপাতাল ও থানা সূত্রে জানা গেছে, যশোর জেনারেল হাসপাতালে পদদলিত হয়ে ২১ জন ভর্তি হয়েছেন, যার মধ্যে ১০ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং ১১ জন বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

শনিবার বেলা ৩টা পর্যন্ত ৩০০ জিডি হওয়া সম্পর্কে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ডিউটি অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, "অসংখ্য মানুষ মোবাইল ফোন এবং স্বর্ণালংকার খোয়া যাওয়ার ঘটনায় জিডি করতে এসে ভিড় করছেন।"

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন, এমন বিপুল সংখ্যক মানুষের সমাগমে চোরের দল পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়েছে। কিছু মানুষ বলেছেন, কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো ভালো হওয়া উচিত ছিল।

যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, "মাহফিলে অসংখ্য মানুষের মোবাইল ফোন এবং স্বর্ণালংকার খোয়া যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে পদদলিত হয়ে মৃত্যুর খবর গুজব ছাড়া কিছু নয়।"

এছাড়া, মাহফিলটির শুরু ১ জানুয়ারি থেকে হয়েছিল এবং এর প্রথম দিন আলোচনায় ছিলেন মাওলানা মামুনুল হক এবং আব্দুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ। দ্বিতীয় দিন আলোচনায় ছিলেন মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী এবং মুফতি আমির হাজমা।

মামুন/

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে