ঢাকা, সোমবার, ৬ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা নিয়ে তোলপাড়: বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে ভারতীয় মিডিয়া

২০২৫ জানুয়ারি ০৪ ১০:১১:৩২
খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা নিয়ে তোলপাড়: বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে ভারতীয় মিডিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে কলকাতাভিত্তিক নিউজ পোর্টাল দ্য ওয়াল বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনটি খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তারের বরাত দিয়ে প্রকাশিত হলেও, তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

দ্য ওয়ালের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে বাড়তি নিরাপত্তা দিতে চায় তার দল। বাংলাদেশের ভিভিআইপি রাজনীতিকদের মধ্যে খালেদা জিয়া বর্তমানে তালিকার এক নম্বরে আছেন এবং তার জন্য সর্বক্ষণ সরকারি নিরাপত্তা বরাদ্দ রয়েছে। তবুও, তার দল বিএনপি বাড়তি নিরাপত্তার জন্য সরকারের কাছে চিঠি দিয়েছে। দলটি নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিতদের জন্য নতুন ওয়্যারলেস সেট কিনতে এবং সেগুলো ব্যবহারের জন্য পৃথক বেতার তরঙ্গ বরাদ্দ চেয়ে আর্জি জানিয়েছে।’

প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা বিষয়ক এই আবেদনে সরকার সাড়া দেয়নি, এবং বিএনপি এখন সরকারের টেলিকম মন্ত্রকের কাছে এই বিষয়ে পুনরায় আর্জি জানিয়েছে। এতে বলা হয়, বিএনপি আসলে সরকারকে বার্তা দিতে চেয়েছে যে, তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে সন্তুষ্ট নয়।

তবে, এই প্রতিবেদন নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে এবিএম আব্দুস সাত্তার জানান, তিনি গণমাধ্যমে যা প্রকাশিত হয়েছে সে বিষয়ে কিছুই বলেননি। তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমে যা লেখা হয়েছে তা আমি মন্তব্য করিনি। আমি এই বিষয়ে কিছু জানি না।’

এবং, তিনি এও উল্লেখ করেন যে, এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিএসএফ প্রধান কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ইসহাক মিয়ার সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে সিএসএফ প্রধান মুহাম্মদ ইসহাক মিয়া জানান, ‘খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় আগে ওয়্যারলেস, ওয়াকিটকি ব্যবহার করা হয়েছে। তবে, ২০১৮ সালে ম্যাডাম জেলে যাওয়ার পর তা ব্যবহার হয়নি এবং এর ফলে ডিভাইসগুলো নষ্ট হয়ে যায়। বর্তমানে নতুন ডিভাইস কেনার জন্য আমরা আবেদন করেছি। তবে, অনুমোদন পেতে হলে নতুন করে অনুমতি নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমে বিএনপি প্যাডে আবেদন করা হয়েছিল, কিন্তু বিটিআরসি জানায়, তারা কোনো রাজনৈতিক দলকে অনুমোদন দেয় না। পরে, খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা আবেদন করায় অনুমোদন দেয়া হবে।’

এভাবে, খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা এবং এ নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, যা নিশ্চিতভাবে রাজনৈতিক মহলে আলোচনার সৃষ্টি করেছে।

কেএইচ

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে