ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪
Sharenews24

তৃতীয় ওয়ানডে জিতে সিরিজ নিজেদের করলো আফগানরা

২০২৪ নভেম্বর ১২ ০৯:১৫:৩৯
তৃতীয় ওয়ানডে জিতে সিরিজ নিজেদের করলো আফগানরা

ক্রীড়া ডেস্ক : আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিততে নিজেদের সামর্থ্যের সবটাই উজার করে দিল লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। কিন্তু বাংলাদেশের চেয়ে সেরা ক্রিকেট খেলে তৃতীয় ওয়ানডে জিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজটাও জিতে নিল আফগানিস্তান।

নিজেদের পরিচিত ডেরায় বাংলাদেশকে কোনো সুযোগ না দিয়ে ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতেছে আফগানিস্তান। শারজায় টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে ২৪৪ রান করে। জবাবে আফগানিস্তান ১০ বল হাতে লক্ষ্যে পৌঁছে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখে দারুণভাবে।

আগের দুই ওয়ানডে হয়েছিল ব্যবহৃত উইকেটে। তৃতীয় ওয়ানডেতে নতুন উইকেটে ধারনা করা যাচ্ছিল ব্যাটিং বান্ধব হবে। বাংলাদেশের শুরুটা সেই সুরও বেঁধে দেয়। কিন্তু ভালো শুরুর পর যা হলো, রীতিমত অভাবনীয়।

প্রথম ১৫ ওভারে ৪ উইকেটে ৭২ রান তুলে নেয় বাংলাদেশ। ৮.৩ ওভারে সৌম্য সরকার (২৪) যখন প্লেড অন হয়ে সাজঘরে ফেরেন তখন বাংলাদেশের রান ৫৩। পরের ওভারে ওই একই রানে আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান (১৯) ফেরেন সাজঘরে। শান্তর পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পাওয়া জাকির হাসান (৪) ৫৮ রানে লম্বা ওয়াক দেন ড্রেসিংরুমে। মিরাজের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে। তাওহীদ হৃদয় (৭) আরেকবার ব্যর্থ হয়ে যখন আউট হন তখন ১৪.৪ ওভারে বাংলাদেশের রান ৭২।

সেখান থেকে ১৮৮ বলে ১৪৫ রানের জুটি গড়েন মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ। দলের পরিস্থিতি আফগানিস্তানের আক্রমণ এবং অনভ্যস্ততা বিবেচেনায় এই জুটি লেটার মার্কস পাবে। কিন্তু দুই ব্যাটসম্যান যেভাবে বিপরীত চরিত্রে ব্যাটিং করেছে তা প্রশ্ন তুলছে।

মিরাজ ফিফটি পেয়েছেন ১০৬ বলে। যা ২০০৫ সালের পর বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাটসম্যানের মন্থরতম ফিফটি। অন্যদিকে মাহমুদউল্লাহ ফিফটি পেয়েছেন ৬৩ বলে। দুজনের ব্যাটিংয়ের ধরন দেখে মনে হচ্ছিল দুজন ভিন্ন উইকেটে ব্যাটিং করছিলেন। মিরাজ ১১৯ বলে মাত্র ৪ বাউন্ডারিতে ৬৬ রান করেন। মাহমুদউল্লাহ ইনিংসের শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরির প্রাণান্তকর চেষ্টা করেও ৯৮ রানের বেশি করতে পারেননি।

আফগানিস্তানও অপেক্ষায় ছিল আজমতউল্লাহ ওমারজাইয়ের ফাইফারের। ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত সুযোগ ছিল। কিন্তু ৭ ওভারে ৩৭ রানে ৪ উইকেটে সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাকে। দলের সেরা বোলারও ছিলেন তিনি।

বোলিংয়ে উইকেটের খোঁজে থাকা বাংলাদেশ অষ্টম ওভারে প্রথম সাফল্য পায়। অভিষিক্ত পেসার নাহিদ রানার তোপে বোল্ড হন সেদিকুল্লাহ অটল। পেসার তাসকিন গত দুই ম্যাচে নতুন বলে রহমানউল্লাহ গুরবাজকে ফিরিয়ে শুরুতেই বাংলাদেশকে আনন্দে ভাসিয়েছেন। আজ তাসকিন ছিলেন না। তাতে গুরবাজও যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন। এমন-ই স্বস্তিতে ব্যাটিং করেছেন যে, পেয়ে গেছেন ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরির স্বাদ। ৭ ছয় ও ৫ চারে ১১৭ বলে পৌঁছে যান তিন অঙ্কের মাইলফলকে।

দুই অভিজ্ঞ রহমত শাহ (৮) ও হাশমতউল্লাহ শাহিদীকে (৬) বাংলাদেশ টিকে দেয়নি। ৮৪ রানে ৩ উইকেট হারানো আফগানিস্তান চতুর্থ উইকেটে ম্যাচে ফেরে। শতরানের জুটি গড়েন গুরবাজ ও আহমতউল্লাহ। দুজনের প্রতি আক্রমণের ব্যাটিং পারফরম্যান্সে বাংলাদেশের ভাগ্যাকাশে কালো মেঘ দেখা দিতে থাকে। জয়টা যেন হাতের নাগাল থেকে ছুটে যেতে থাকে।

জয় নিশ্চিতের পর আফগানিস্তানের খেলোয়াড়দের উল্লাস এবং ড্রেসিংরুমের আবহ বলে দিচ্ছিল ম্যাচটা তারা যেকোনো মূল্যে জিততে চায়। ব্যাট-বলের দারুণ লড়াইয়ে জয়ের মালা তাদেরই প্রাপ্য।

এস/

পাঠকের মতামত:

খেলাধুলা এর সর্বশেষ খবর

খেলাধুলা - এর সব খবর



রে